প্রতারনা মামলা করার নিয়ম । প্রতারণা মামলার শাস্তি । প্রতারনা মামলা কোথায় করবেন ।

প্রতারণা মামলা করার নিয়ম

প্রতারনা মামলা করার নিয়ম । প্রতারনা মামলার শাস্তি । প্রতারনা মামলা কোথায় করবেন বিস্তারিত নিয়ে আজকে বিডি নিউজ ওয়াল এর এই পোস্ট । আজকাল আমাদের  সমাজে যে অপরাধটি সবচেয়ে বেশি ঘটে থাকে সেটা হল  প্রতারণা। 

আমাদের সমাজে উত্তরোত্তর প্রতারনার প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলছে । আপনিও যেকোন সময় যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতারিত হতে পারেন। দৈনন্দিন জীবনে চলতে হলে নানা কারনে অবশ্যই আপনাকে প্রতারণা মামলা কি এবং প্রতারণা মামলার শাস্তি এবং প্রতারনা মামলা করার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। 

অনেকেই প্রতারিত হবার পর সঠিক ভাবে এর প্রতিকার সম্পর্কে না জেনে চুপ থাকে । আপনি যদি প্রতারনার প্রতিকার পেতে চান তাহলে আমাদের এই লেখাটি পড়তে থাকুন । এই পোষ্টে আমরা প্রতারনা মামলা করার নিয়ম এবং শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব । 

কিভাবে প্রতারনার মামলা করতে হয় এবং এর শাস্তি কি ? সকল ধরনের প্রতারনা মামলা করার পদ্ধতি, প্রতারনা মামলা কোথায় করতে হয় এবং প্রতারনা মামলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই লেখায় । প্রতারনা মামলা সম্পর্কে সকল তথ্য জানার পর আপনি যদি চান তাহলে যে কোনো ধরনের প্রতারনা মামলা আইন জীবীর মাধ্যমে করতে পারবেন ।

প্রতারনা কাকে বলে? প্রতারনা সংজ্ঞা ? 

প্রতারনা বা  জালিয়াতি সাধারণ অর্থে আমরা বুঝি , প্রতারনা বা প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করার কাজকে বোঝায় । যে কোনও প্রকারের মিথ্যাকে অন্তর্ভুক্ত করে  একজন ব্যক্তি যদি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অন্যের উপর অযৌক্তিক প্রভাব ফেলে, তাদের কাছ থেকে কিছু আহরণ করে, তবে এটি প্রতারণার কারণ হয় ।

বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, 1860, ধারা 415-এ প্রতারনার ধারণার রূপরেখা তুলে  ধরা হয়েছে । এই বিধান অনুসারে, প্রতারনাকে এর শর্তগুলির সীমানার মধ্যে সংজ্ঞায়িত এবং চিত্রিত করা হয়েছে।

প্রতারনার সংজ্ঞাঃ ( ৪১৫ ধারা দণ্ডবিধি )  যদি কেউ কোন ব্যক্তিকে ছলনা করে বা অসাধুভাবে সে ব্যক্তিকে বা অন্য কাউকে কোন সম্পত্তি প্রদানে  প্ররোচিত করে অথবা কোন ব্যক্তির কোন সম্পত্তি রেখে দেওয়াতে সম্মতি প্রদানে প্ররোচিত করে অথবা ইচ্ছাকৃত ভাবে বা উদ্দেশ্য মুলক ভাবে অনুরুপ প্রতারিত ব্যক্তিকে এমন কোন কাজ করতে বা করা হতে বিরত থাকতে প্ররোচিত করে, যে কাজ সে ব্যক্তি অনুরুপ ভাবে প্রতারিত না হলে করত না বা করা হতে বিরত থাকত না, এবং যে যে কাজ  করার বা করা হতে বিরত থাকার ফলে তার দেহের, মনের, খ্যাতির বা সম্পত্তির দিক হতে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে, তবে অনুরুপ ছলনাকারি প্রতারনা করেছে বলে গণ্য হবে ।

প্রতারনা মামলার শাস্তিঃ
প্রতারনা মামলার শাস্তিঃ

প্রতারনা মামলার শাস্তিঃ 

প্রতারনা বা জালিয়াতি বিভিন্ন আকারে প্রকাশ পায়। উদাহরণ স্বরূপ, এতে কারো ক্ষতি করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতারনা করা, জালিয়াতি করা, প্রতারনামূলক উদ্দেশ্যে একটি মিথ্যা পরিচয় প্রদান করা, বৈবাহিক বিশ্বাসঘাতকতা বা অবিশ্বস্ততায় লিপ্ত হওয়া, প্রেম-সম্পর্কিত প্রতারণা এবং আর্থিক প্রতারণার মতো কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রতারণা বা জালিয়াতির প্রকারের বৈচিত্র্যের পরিপ্রেক্ষিতে, এই ধরনের মামলাগুলির জন্য সংশ্লিষ্ট শাস্তিগুলিও পরিবর্তিত হয়। বিশেষত, পেনাল কোডের ধারা 420 এর অধীনে আসা মামলাগুলি সাধারণত জালিয়াতির উদাহরণগুলির সাথে যুক্ত করে শাস্তির ধরন নির্ণয় করা হয়।

দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা  অনুসারে প্রতারনা বা জালিয়াতির শাস্তিঃ  দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা অনুসারে  শাস্তি সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত  যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড এর বিধান রয়েছে। 

দণ্ডবিধির ৪১৭ ধারা অনুসারে প্রতারনার শাস্তিঃ  যদি কোন ব্যক্তি দন্ডবিধির ৪১৫ ধারা অনুযায়ী প্রতারনা করে, তাহলে সেই ব্যক্তি দন্ডবিধির ৪১৭ ধারা অনুযায়ী ১ বছর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। 

দণ্ডবিধির ৪১৭ ধারা অনুসারে প্রতারনার শাস্তিঃ অপরের রূপ ধারন পূর্বক প্রতারনার শাস্তি ৩ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ড ।

আরও জানতে পড়তে থাকুন

খতিয়ান অনুসন্ধান-জমির খতিয়ান চেক করার নিয়ম

প্রতারনার শিকার হলে  কি করবেন ?

বর্তমানে আমাদের সমাজে নিয়মিত অনেক ধরনের প্রতারনা বা জালিয়াতির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে থাকে । জালিয়াতির হাত থেকে প্রতারিত হওয়ার পূর্বে আমাদের কে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময় সতর্ক থাকার পরেও কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমাদের নানা ছল ছাতুরির মাধ্যমে সুযোগ নিয়ে প্রতারনা করে থাকে । এখন প্রশ্ন হল আপনি  যদি কখনো প্রতারণার শিকার হন তখন কি করবেন? 

 আপনি যদি কখনো প্রতারনার শিকার হন অর্থাৎ কেউ আপনার  সাথে প্রতারনা করে বা বিশ্বাস ভঙ্গ করে এবং কথা না রাখে তাহলে আপনি তার নামে মামলা করতে পারবেন। প্রতারনার ধরণ অনুসারে  আপনি প্রতারনার মামলা করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী এর পরামর্শ নিতে হবে ।

অভিজ্ঞ আইনজীবী  আপণার সাথে প্রতারনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনার পর তিনি ডিসিশন দিবেন কি করণীয় ।  প্রতারণা মামলা হতে পারে কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে প্রতারনা করে প্রতারনা, মিথ্যা পরিচয় প্রদান করে প্রতারনা, বিয়ে নিয়ে প্রতারনা, প্রেম নিয়ে প্রতারনা, আর্থিক প্রতারনা ইত্যাদি। 

প্রতারনা মামলা দুই ভাবে করা যায়ঃ 

ক) থানায় জি আর মামলা

থানায় এজাহার দায়ের এর মাধ্যমে সরাসরি প্রতারনার মামলা করা যায় । তবে থানায় বর্তমানে প্রতারনা সংক্রান্ত মামলা নিতে চায় না । 

খ) কোর্টে সি আর মামলা  

কোর্টে আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতারনার মামলা করা যায় । কোর্টের মাধ্যমে এই মামলাকে সি আর মামলা বলা হয়ে থাকে ।   

প্রতারনার মামলা করতে কি কি লাগে
প্রতারনার মামলা করতে কি কি লাগে

প্রতারনার মামলা করতে কি কি লাগে ? খরচ কেমন ? 

একটি কথা আছে ! আদালত চায় প্রমান । আপনি যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করতে চান তবে অবশ্যই প্রমাণ লাগবে। প্রমাণ ছাড়া আপনি কারো বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা করতে পারবেন না । কোন প্রমান ছাড়া প্রতারণা মামলা করতে চাইলে সেই মামলা টিকবে না।উলটো মিথ্যা মামলায় ফেঁসে যেতে পারেন । 

 প্রতারনার মামলার জন্য আপনি যে বিষয়ে প্রতারিত হয়েছেন সেই বিষয়ের লিখিত চুক্তি  অথবা  প্রমান স্বরূপ কোনো রসিদ বা দলিল অবশ্যই দেখাতে হবে । আদালত প্রমান হিসেবে এইসব দলিলের উপর ও সাক্ষী দের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় প্রদান করে থাকেন ।

প্রতারনা মামলা করার নিয়মঃ কি ভাবে সুফল পেতে পারেন । 

প্রতারনা মামলা করা তেমন কঠিন নয় । আপনি চাইলে থানায় সরাসরি যেয়ে এই মামলা করতে পারবেন । থানা কোন ভাবে মামলা নিতে না চাইলে আপনি যে কোন অভিজ্ঞ একজন আইন জীবীর পরামর্শ নিয়ে কোর্টে প্রতারনার মামলা করতে পারবেন ।  

নোটঃ মামলা করার আগে আপনি অবশ্যই একজন ভাল আইন জীবীর পরামর্শ নিয়ে নিবেন ।  প্রতারনার ধরন এবং এর প্রমাণাদি সাপেক্ষে একজন আইন জীবী বলতে পারবে আপনি মামলা করলে ফলাফল আপনার পক্ষে আসবে কি না ? আইন জীবীর সাথে খরচ পাতি আলাপ আলোচনা করে নিবেন ।   

প্রপ্রতারনা কত প্রকার? প্রতারনার প্রকারভেদ আলোচনা করঃ  

প্রতারনা বলতে আমরা সাধারণত বুঝে থাকি যদি কোন বিষয়ে কোন ব্যক্তি কোন ধরনের মিথ্যার আশ্রয় নেয় বা অসাধুভাবে কোন কিছু আদায় করে নেয়, অথবা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে থাকে তবে তাকে প্রতারনা বলে। প্রতারনা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। নিম্নে প্রতারনার কিছু ধরন দেয়া গেলঃ  

  • কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে প্রতারনা, 
  • জালিয়াতি করে প্রতারনা, 
  •  মিথ্যা পরিচয় প্রদান করেপ্রতারনা, 
  • বিয়ে নিয়ে প্রতারণা, 
  • প্রেম নিয়ে প্রতারণা, 
  • আর্থিক প্রতারণা 
বিকাশ প্রতারনা মামলা করার নিয়ম
বিকাশ প্রতারনা মামলা করার নিয়মঃ

বিকাশ প্রতারনা মামলা করার নিয়মঃ 

বিকাশ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম । এই সিস্টেম এর মাধ্যমে একজনের মোবাইল থেকে আরেক জনের মোবাইলে টাকা পয়সা লেনদেন করে থাকে । দিন দিন এই বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম এর জনপ্রিয়তার সাথে সাথে এর বিকাশ এর প্রতারনা অনেক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে ।

বিকাশ একটি ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন তাই এখানে কাস্টমার কেয়ারের কথা বলে কিছু অসাধু লোক এই প্রতারনায় জড়িয়ে পরছে ।এইসব প্রতারক সাধারন বিকাশ গ্রাহক দের বোকা বানিয়ে তাদের বিকাশ কাউন্ট থেকে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । আপনি যদি কখনো বিকাশ এর মাধ্যমে প্রতারনার শিকার হয়ে থাকেন অথবা প্রতারিত হয়ে থাকেন তবে এর জন্য মামলা করতে পারবেন । 

আপনি যদি বিকাশ প্রতারণা শিকার হন তাহলে আপনি যে নাম্বারে টাকা ট্রানজেকশন করেছেন বা সেন্ড করেছেন সেই ট্রানজেকশন নাম্বার সহ থানায় একটি জিডি করবেন। জিডির এক কপি বিকাশ হেড অফিসে জমা দিবেন । হেড অফিস যদি কোন ব্যবস্থা করতে না পারে তবে পুলিশ তদন্ত এর মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে ।  

আপনি যদি ডি বি অফিস চিনেন সেখানেও চাইলে জি ডি এর এক কপি জমা দিতে পারেন । এভাবে বিকাশ প্রতারক এর বিরুদ্ধে আপনি ব্যবস্থা নিতে পারেন । শেষে থানা পুলিশ যদি কিছু না করতে পারে তাহলে একজন অভিজ্ঞ আইন জীবীর সাহায্য নিয়ে আপনি কোর্টে বিকাশ প্রতারনার মামলা করতে পারেন । মামলা করে অধিক তদন্ত এর মাধ্যমে আপনি আপনার বিকাশের টাকা ফেরত পেতে পারবেন। 

অনলাইন প্রতারণা মামলা করার নিয়মঃ 
অনলাইন প্রতারণা মামলা করার নিয়ম

অনলাইন প্রতারণা মামলা করার নিয়মঃ 

অনলাইন ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাবার কারণে, সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন প্রতারনা ক্রমবর্ধমানভাবে প্রচলন হয়ে উঠেছে। অনেক বুদ্ধিমান প্রতারক ইন্টারনেটে কাজ করে, ব্যক্তিদের দুর্বলতাকে কাজে লাগায়। এই দৃশ্যটি অনলাইন কেনাকাটা এবং অর্থ লেনদেন কার্যক্রমে বিশেষভাবে স্পষ্ট।

 আপনি যদি অনলাইন   প্রতারনারশিকার হন, তাহলে আপনার স্থানীয় থানায় ঘটনাটি রিপোর্ট করে বা সরাসরি আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করতে পারেন। একটি অনলাইন  প্রতারনা মামলা জমা দেওয়ার সময়, সমস্ত প্রমাণ দাখিল করা  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ যথেষ্ট প্রমাণ ব্যতীত, মামলাটিকে দুর্বল বলে মনে করা হতে পারে এবং প্রায়শই, এটি ভাল ফলাফল নাও পেতে পারেন ।

অনলাইন প্রতারণা মামলা করার সময় মনে রাখতে হবে আপনি কিভাবে প্রতারিত হয়েছেন সকল তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। পুলিশ তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নিবেন । এর জন্য প্রাথমিক ভাবে আপনাকে থানায় একটি জি ডি করার প্রয়োজন হবে । তারপর আইন গত পদ্ধতি অনুযায়ী মামলা করা যেতে পারে ।  

আরও জানতে পড়তে থাকুন

অনলাইনে মামলা দেখার নিয়ম ।থানার মামলা দেখার উপায়

বিয়ে প্রতারণা মামলা কি ভাবে করবেনঃ

বর্তমানে, সমাজের মধ্যে বিবাহ প্রতারণা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ছে। প্রতারণামূলক বিয়ের উদ্দেশ্যে অসংখ্য যুবক যুবতী নারীদের কে কাজে লাগায়। বিবাহ জালিয়াতি আর্থিক, শারীরিক নির্যাতন, এবং বিবাহের প্রতিশ্রুতির ছদ্মবেশে অনুপযুক্ত আচরণে জড়িত হওয়ার মতো কাজকে বুঝায় । 

সমসাময়িক সমাজে, বিবাহ প্রতারনার ঘটনাটি ক্রমবর্ধমান দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। একটি সম্পর্কিত প্রবণতার সাথে জড়িত বেশ কিছু যুবক তাদের নিজেদের প্রতারণামূলক বৈবাহিক পরিকল্পনার জন্য যুবতী মহিলাদের বিশ্বস্ত প্রকৃতিকে শোষণ করে। বিবাহ জালিয়াতি বিভিন্ন ধরনের অসদাচরণকে অন্তর্ভুক্ত করে, যার মধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক টাকা দাবি, শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা, এবং বিবাহের প্রতিশ্রুতির ভান দ্বারা মুখোশিত অনুপযুক্ত আচরণে জড়িত।

আপনি যদি এই ধরনের বিবাহ প্রতারণার শিকার হন তবে থানায় অভিযোগ করুন বা সরাসরি আদালতে প্রতারণার মামলা করুন। কিন্তু বিয়ের প্রতারণার ক্ষেত্রে আপনাকে কীভাবে প্রতারিত করা হয়েছে এবং আপনি কী প্রতারিত হয়েছেন তার সমস্ত তথ্য দিতে হবে। তাহলে এই বিয়ে প্রতারককে সেই অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।

প্রেমে প্রতারণার মামলা করার নিয়মঃ 

আজকাল তরুণ-তরুণীরা না বুঝেই প্রেমে পড়ছে এবং কখনও কখনও প্রেমে প্রতারিত হচ্ছে। যদি কখনো প্রেমে প্রতারিত হন তাহলে আপনি চাইলে প্রতারণার মামলা করতে পারেন। সাধারণত যখন কেউ প্রেমে পড়ে, তারা একে অপরকে কিছু প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে সে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে প্রেমে প্রতারণা করে।

যদি আপনার বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড আপনার সুবিধা নেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রেমে পড়ে এবং আপনার বিশ্বাস অর্জন করে আপনার ক্ষতি করে, তাহলে আপনি তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করতে পারেন। এছাড়াও, যদি আপনার প্রেমিক বা বান্ধবী আপনার বিশ্বাস লঙ্ঘন করে, তাহলে আপনি বিশ্বাসভঙ্গের জন্য দণ্ডবিধির 406 ধারার অধীনে প্রতিকার চাইতে পারেন।

দণ্ডবিধির 406 ধারায় বলা হয়েছে যে, বিশ্বাসের অপরাধমূলক লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে, দায়ী ব্যক্তিকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। বিশ্বাসভঙ্গ একটি জামিন অযোগ্য অপরাধ। আপনি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেন বা প্রেমের প্রতারণার মামলা দায়ের করতে সরাসরি আদালতে যেতে পারেন।

মিথ্যা মামলা হলে আপনার করনীয়?

উ প সং হা র 

প্রতারনা মামলা করার নিয়ম নিয়ে বিডি নিউজ ওয়াল এর লেখা আপনার জীবনের চলার পথে একটু হলেও কাজে আসবে । আমাদের লেখা যদি ভাল লাগে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আমাদের আইন বিভাগ এ নিয়মিত অভিজ্ঞ আইনজীবীদের কলাম প্রকাশিত হয়ে থাকে । আপনি যে কোন আইন গত সহায়তার জন্য আমাদের ( আইন বিভাগ ) পেজ এ নক দিতে পারেন । একে বারে ফ্রি তে আপনি ভাল পরামর্শ পাবেন ইনশাল্লাহ । আইন সম্পর্কিত সকল নতুন পোস্টের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন । আর আমরা আপনার যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করে থাকি । একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন ।

প্রতারণা মামলা নিয়ে প্রশ্ন এবং উত্তর পর্বঃ  
প্রতারণা মামলা নিয়ে প্রশ্ন এবং উত্তর পর্বঃ

প্রতারনা মামলা করার নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন এবং উত্তর পর্বঃ  

বিডি নিউজ ওয়ালের এই পোস্টে প্রতারণার মামলা করার নিয়ম সম্পর্কে ব্যাপক সঠিক  তথ্য দেয়া হয়েছে। প্রতারণা মামলা সম্পর্কে আরও কোন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন। প্রতারনা সম্পর্কে সাধারান কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে নিচের প্রশ্ন উত্তর পর্ব পড়তে পারেন ।

প্রশ্নঃ প্রতারণা মামলা কাকে বলে

উঃ প্রতারণার মামলা হল কারও দ্বারা প্রতারিত হলে প্রতারণা মামলা করাকে বুঝায় ।বিবাহ বিষয় প্রতারনা, প্রেম বিষয় প্রতারণা, আর্থিক প্রতারণা ইত্যাদির জন্য দায়ের করা মামলা।

প্রশ্নঃ প্রতারণা কি

 উঃ  প্রতারণা হল ছলনার মাধ্যমে এক জন আরেক জন কে ধোঁকা দেয়া বা ছলনা করা । এটা হতে পারে  আর্থিক ,বিয়ে অথবা জমি অথবা অন লাইনে প্রতারণা । 

প্রশ্নঃ প্রতারণা মামলা কোথায় করা যায়

উঃ  হ্যাঁ ! থানায় জি আর মামলা করে অথবা আদালতে সি আর মামলা করে প্রতারণা মামলা করা যায়। 

প্রশ্নঃ প্রেমে প্রতারণা মামলা করা যায়

উঃ হ্যাঁ, প্রেমে প্রতারণা মামলা করা যায়। আপনি প্রেমে প্রতারণা মামলা করার পাশাপাশি বিশ্বাসভঙ্গের মামলাও করতে পারেন। 

প্রশ্নঃ প্রতারণার মামলা করতে কি  প্রমান লাগে? 

উঃ হ্যাঁ ! প্রতারণার মামলা করতে প্রমান বা তথ্য লাগবে। 

প্রশ্নঃ প্রতারণা মামলার শাস্তি কি হয়

উঃ হ্যাঁ! প্রতারণা মামলায় শাস্তি হয়। পেনাল কোডের ৪২০ ধারা অনুযায়ী প্রতারনার সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের  কারাদণ্ড এবংঅর্থদণ্ডের বিধান চালু আছে। 

  • বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং যেকোনো প্রশ্ন করুতেঃ এখানে ক্লিক করুন
  • বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
  • বিডি নিউজ ওয়াল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
  • গুগল নিউজে বিডি নিউজ ওয়াল সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
  • বিডি নিউজ ওয়াল সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে
  • বিডি নিউজ ওয়াল এর সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন এই সাইট।

A B Siddique Shohel

1 Comment

  1. মহিউদ্দিন Reply

    আমি একটা মিথ্যা মামলায় পড়ছি। যেমন আমি একটা কাগজে জমির মালিক। বিবাদি গন আমার থেকে জৌর করে বয় বিতী দেখাই জমিটা নিয়ে গেছে। আবার আমার সাথে 150 টাকার এস্টাম্পে আপোষ নামা করে দিয়েছে, অথছ আপষ নামায় ইস্টম্পের তারীখ সন উল্লেখ নাই এবং কোনন সিল মারা নাই আমাকে টাকাইছে খুব পরে আমি অনেক সমস্যা পড়ে ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *