বিয়ে করতে কি কি লাগে । পালিয়ে বিয়ে করতে কি কি লাগে সব জানুন ।

বিয়ে করতে কি কি লাগে । পালিয়ে বিয়ে করতে কি কি লাগে সব জানুন ।

বিয়ে এক ধরনের সামাজিক বন্ধন । এর মাধ্যমে একজন পুরুষ অপর একজন মহিলার সাথে ইসলামিক ও সামাজিকভাবে বৈধতা দেয়া হয় ।  আজ আমরা আলোচনা করব একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের বিয়ে করতে কি কি লাগে, এই বিষয় নিয়ে ।  

বিয়ের কাজ সম্পাদন করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় ও নিয়ম কানুন মেনে এই কাজটি সম্পন্ন করতে হয়। বিয়ের মাধ্যমে একে অপরের সাথে মিলন ঘটানোর নিয়ম । তাই সবার জানা উচিত বিয়ে করতে কি কি লাগে। 

বিয়ে করতে কি কি লাগে এই আলোচনার সাথে আরও যা থাকছে সেটা  হল, কোর্ট ম্যারেজ কি এর খুঁটি নাটি সব বিষয় । আমাদের সাথেই থাকুন । বিস্তারিত জানতে পারবেন এই লেখায় । 

বিয়ে করতে কি কি লাগে
বিয়ে করতে কি কি লাগে

বিবাহ কি? what is marriage ?

বিবাহ হল দুটি ব্যক্তির মধ্যে একটি আইনগত এবং সামাজিকভাবে স্বীকৃত মিলন । এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা প্রতিষ্ঠা করে। এটি একটি সাংস্কৃতিকভাবে সর্বজনীন রীতি ।ইতিহাস এবং সংস্কৃতি জুড়ে বিবাহের রীতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে । 

আধুনিক সময়ে, বিবাহকে প্রায়ই একটি রোমান্টিক এবং মানসিক অংশীদারিত্ব হিসাবে দেখা হয় । যেখানে দম্পতি প্রকাশ্যে একে অপরের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে ।এবং তাদের বাকি জীবনের জন্য একে অপরকে সমর্থন করার অঙ্গীকার করে। 

বিবাহের কার্যক্রম সুনির্দিষ্ট ধর্ম, সংস্কৃতি এবং আইনি ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে । সাধারণত বিবাহ একজন পুরুষ এর সাথে একজন মহিলার জীবন সঙ্গী হবার একটি মজবুত ভিত্তি তৈরি করে । একে অপরকে পছন্দের মাধ্যমে জীবনকে অর্থবহ করে তুলতে বিবাহ অপরিহার্য ।

বিয়ে কোথায় করা হয় ? Where is the marriage held?

বিয়ে সাধারনত বর বা কনের বাড়ীতে হয়ে থাকে । আবার কেউ চাইলে কাজী অফিসে যেয়ে ও বিয়ের

আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারে ।বাংলাদেশী মুসলিম পরিবার বিভিন্ন জায়গায় বিবাহ সম্পন্ন করে থাকে ।এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে তাদের আর্থিক অবস্থা ও ইচ্ছার উপর । 

বাংলাদেশে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য কিছু সাধারণ স্থানের মধ্যে রয়েছে:

মসজিদ: অনেক মুসলমান তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে মসজিদ কে পছন্দ করে। ইসলামে মসজিদ পবিত্র জায়গা হিসেবে বিবেচিত হয়। মসজিদ বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ এবং আধ্যাত্মিক পরিবেশ প্রদান করে থাকে।

কমিউনিটি সেন্টার: বাংলাদেশী মুসলিম বিবাহের জন্য আরেকটি জনপ্রিয় স্থান হল কমিউনিটি সেন্টার । এই জায়গা অতিথিদের জন্য পছন্দ অনুযায়ী সজ্জিত করা হয়ে থাকে।

অস্থায়ী স্থান: বাংলাদেশে মুসলিম বিবাহের জন্য বিবাহের অনেকে নিজেদের বাড়ির আঙিনা অথবা বাড়ির ছাদ ব্যাবহার করে থাকে । বিভিন্ন ধরনের ক্যাটারিং সার্ভিস এসব অনুষ্ঠান এবং অভ্যর্থনার জন্য আরও বিলাসবহুল ব্যাবস্থা করে থাকে  ।

চাইনিজ হোটেলঃ যারা একটু ভাল পরিবেশ আশা করে তাদের জন্য নিরিবিলি হতে পারে এই জায়গা ।

এসব যায়গায় আগে থেকে বুকিং দিতে হয় ।

কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে: বিয়ে সামাজিক রীতি বা সরকারি আইন অনুযায়ী সম্পাদনা করতে হয়। কাজী অফিসে গেলে কাজী সাহেব বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন ।

বিয়ে করতে কি কি লাগে? What does it take to get married?

বিয়ে করাটা একেবারে সহজ মন হলেও অনেকেই জানেন না বিয়ে করতে কি কি লাগে । এমন অনেকেই আছেন যারা এখনো জানে না যে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করতে কি কি লাগে ?

আবার কোর্ট ম্যারেজ কি ভাবে কোথায় করতে হয় এবং এর জন্য কি কি লাগে ? আসুন জেনে নেই কোর্ট ম্যারেজ ও কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করতে কি কি লাগে ? খরচ কত ? সব কিছু একসাথে।

বিবাহ কি what is marriage

 প্রথমে জানব বিয়ে করতে কি কি লাগে ?

  • বিয়ে করতে হলে জাতীয় পরিচয় পত্র লাগে 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে  জন্ম নিবন্ধন কার্ড 
  • পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি ছবি উভয়ের এবং 
  • দুই বা ততোধিক ব্যক্তির সাক্ষী লাগবে 
  • বাংলাদেশ সরকার এর আইন অনুযায়ী ছেলের বয়স ২১ এবং মেয়ের বয়স ১৮  হওয়া লাগবে তাহলেই বিবাহ কার্য সম্পাদন হইবে। 

কাজী অফিসে বিয়েঃ

সব চেয়ে সহজ এবং উত্তম ও আইনগত পথ হল কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করা ।  কাজী অফিসে বিয়ে করতে হলে কিছু নিয়ম মানতে হয় । 

  • ছেলের বয়স ২১ বছর এবং মেয়ের বয়স ১৮ বছর হতে হবে 
  • ছেলে এবং মেয়ের উভয় এর সম্মতি থাকতে হবে
  • ছেলের ২ জন প্রাপ্ত বয়স্ক অভিভাবক থাকতে হবে
  • মেয়ের ক্ষেত্রে ২ জন প্রাপ্ত বয়স্ক অভিভাবক থাকতে হবে 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে উভয়ের বয়স প্রমানের জন্য জন্ম নিবন্ধন পত্র লাগবে
  • ছেলে ও মেয়ের ৩ কপি করে পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগবে 
  • দেন মোহর নির্ধারণ করতে হবে 
  • বিয়ের জন্য নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে হবে 
  • সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে এবং স্বাক্ষর দিতে হবে 
  • সাক্ষীদের নাম ঠিকানা সহ লিখে স্বাক্ষর দিতে হবে 

বিয়ে সম্পন্ন করে কাজীর ফি দিয়ে এক কপি কাবিন নামা কাগজ সাথে সাথে নিয়ে নিবেন । এটা খুব দরকারি । আপনার যে কোন সময় প্রয়োজন হতে পারে । কাগজ টি সাথে সাথে তুলে নিলে আপনার খরচ লাগবে না ।

কিন্তু পরবর্তী তে তুলতে গেলে অনেক সময় কাজী টাকা দাবি করতে পারে । আবার সময় মত আপনি কাজী কে খুঁজে নাও পেতে পারেন ।

আরও জানতে পড়তে থাকুন

তালাক দেওয়ার নিয়ম . কি কি কারনে তালাক হয়? Divorce Rules

কোর্ট ম্যারেজ কি ? What is court marriage?

বাংলাদেশে, কোর্ট ম্যারেজ হল  প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে বা মেয়ের মধ্যে একটি আইনি মিলন, যা আদালত কর্তৃক স্বীকৃত। এটি একটি নিবন্ধিত বিবাহ বা নাগরিক বিবাহ হিসাবেও পরিচিত।

আদালতে বিয়ে করার জন্য প্রথমে, দম্পতিকে স্থানীয় বিবাহ নিবন্ধন অফিসে তাদের বিবাহ নিবন্ধন করতে হবে ।এখানে তাদের নাম, বয়স, ঠিকানা এবং পরিচয় প্রমাণের মতো তাদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে। 

তাদের দুজন সাক্ষীর দরকার হবে । যারা সাক্ষী হিসেবে তাদের পরিচয় এবং তাদের বিয়ের সব কিছু যাচাই করতে পারবে।

একবার আবেদন প্রক্রিয়া শেষ এবং অনুমোদন হয়ে গেলে, দম্পতিকে আদালত কর্তৃক একটি বিবাহের   দেওয়া হবে । এটা তাদের বিবাহের আইনি প্রমাণ হিসাবে কাজ করে। এই প্রশংসা পত্রটি পাসপোর্ট বা যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মতো অন্যান্য আইনি কাজ করতে লাগতে পারে ।

কোর্ট ম্যারেজ বাংলাদেশে দম্পতিদের জন্য একটি জনপ্রিয় পছন্দ । বিভিন্ন প্রতিকুলতার মধ্যে যারা প্রথাগত বিয়ের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে না গিয়ে বিয়ে করতে চায় । বা কোন রকম পারিবারিক বা সামাজিক ঝামেলা ছাড়া সহজ ভাবে সম্পন্ন করতে চায় । তারা চাইলে কোর্ট এর মাধ্যমে এটা সহজে সম্পন্ন করতে পারে । 

এমন অনেক দম্পতি আছেন যারা বিভিন্ন ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আসে এবং তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে করার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয় ।তারা অনায়াসে কোর্ট ম্যারেজ এর মাধ্যমে বিয়ের কাজটি শেষ করতে পারে ।

কোর্ট ম্যারেজ করতে কি কি লাগে

কোর্ট ম্যারেজ করতে কি কি লাগে ?

কোর্ট ম্যারেজ করতে নিম্নোক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে:

কোর্ট ম্যারেজ করতে প্রথমেই একজন  উকিল বা  এডভোকেট লাগবে । যিনি বিবাহ প্রক্রিয়ায় যা যা করনীয় সব করে দিবেন । উকিল সাহেব ৩০০ টাকা স্ট্যাম্প এর মাধ্যমে একটি হলফনামা তৈরি করবেন । এই হলফ নামায় ছেলে মেয়ে উভয় এর সই করতে হবে। 

১। উভয় পক্ষের বৈবাহিক অবস্থান প্রমাণপত্র

২। উভয় পক্ষের পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে  

৩। উভয় পক্ষের জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয় পত্র

৪। উভয় পক্ষ থেকে ২ জন করে প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষী লাগবে 

৫। যেকোনো অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হলে ।

কোর্ট ম্যারেজ করতে কত খরচ লাগে?

কোর্ট ম্যারেজ করতে তেমন খরচ হয় না । প্রথমে কাজী সাহেব বিবাহ পড়াবেন এবং এর জন্য দেন মোহর নির্ধারণ করবেন । দেন মোহর এর উপর ফি নির্ধারিত হয় । তার পর কাগজ পত্র তৈরি করতে যে খরচ লাগবে তার সাথে উকিলের ফিস নির্ধারণ করে নিতে হবে । 

প্রত্যেকের উচিত কোর্ট ম্যারেজ করার আগে কত টাকা খরচ হবে তা উকিলের কাছ থেকে জেনে নেয়া । 

এক এক জন উকিল এক এক ধরনের ফি চাইতে পারে। এটার জন্য কোন রেট করা থাকে না । উকিল ভেবে এই ফি নির্ধারণ হয়ে থাকে । আপনার পরিচিত কোন উকিল থাকলে আপনি ফ্রিতে কাজ করে নিতে পারেন । 

কোর্ট ম্যারেজ করতে বয়স কত লাগে ?

অনেকেই হয়ত জানেন না যে  কোট মেরেজ করতে বয়স কত লাগে? আবার অনেকের ভ্রান্ত ধারনা থাকে যে অল্প বয়স হলে কোর্ট ম্যারেজ করা যায় । আসলে ধারনাটা ভুল । 

বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বিবাহ কার্য সম্পাদন করতে হলে অবশ্যই ছেলের বয়স ২১ এবং মেয়ের বয়স ১৮ হওয়া লাগবে ।এর কম হলে  তারা কোট ম্যারেজ বা বিবাহ করতে পারবে না । কোর্ট ম্যারেজ করতে হলে মেয়ের বয়স ১৮ এবং ছেলের বয়স ২১ হইতে হবে।

দেন মোহর

দেন মোহর ফি । কাজী অফিস বা কোর্ট যে কোন ক্ষেত্রে ।

দেন মোহর ফি বাংলাদেশ সরকার দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে । যা সময়ে সময়ে সরকার পরিবর্তন করতে পারে বা করে থাকে । সরকার যে ফি নির্ধারণ করে দিবে তার একটি চার্ট থাকবে যেটা কাজী অফিস বা উকিলের কাছ থেকে চেয়ে দেখে নিতে পারেন ।

এখানে একটি দেন মোহরের বর্তমান হিসাব দেখান হল 

ধরুন আপনার বিয়ের দেনমোহর যদি ১০,০০০ টাকা হলে ফি হবে ২০০ টাকা । এখানে প্রতি ১ হাজার টাকায় ১২ টাকা ৫০ পয়সা হারে বিবাহ নিবন্ধন ফি  হবে ১২৫ টাকা । কিন্তু সরকার নিম্নতম ফি নির্ধারণ করে দিয়েছেন ২০০ টাকা । 

মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯ (সংশোধন ২০১১)-এর ২১ বিধি অনুযায়ী, একজন নিকাহ  রেজিস্ট্রার ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে প্রতি হাজার টাকা দেনমোহর বা তার অংশবিশেষের জন্য ১২ টাকা ৫০ পয়সা হারে ‘বিবাহ নিবন্ধন ফি’ আদায় করতে পারবেন। 

দেনমোহরের পরিমাণ ৪ লাখ টাকার বেশি হলে পরবর্তী প্রতি লাখ টাকা বা তার অংশবিশেষের জন্য ১০০ টাকা নিবন্ধন ফি আদায় করা যাবে। তবে দেনমোহরের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, সর্বনিম্ন ফি ২০০ টাকার কম হবে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নিকাহ রেজিস্ট্রার যাতায়াত বাবদ প্রতি কিলোমিটারের জন্য ১০ টাকা করে নিতে পারবেন।

দেহ মোহর ফি সব সময় ছেলে পক্ষ বহন করে থাকে । 

একটি দেহ মোহর এর সরকারি ফি চার্টঃ 

নংটাকাহিসাবমোট টাকা
০১১০০০১২.৫ ২০০ টাকা
০২১০০০০১২.৫২০০ টাকা
০৩২০০০০১২.৫২৫০ টাকা 
০৪৫০০০০ (পঞ্চাশ হাজার)১২.৫ ৬২৫ টাকা
০৫১০০০০০ (এক লক্ষ)১২.৫১২৫০ টাকা
০৬৪০০০০০ (চার লক্ষ)১২.৫৫০০০ টাকা
০৭৫০০০০০  (পাঁচ লক্ষ)৫০০০+১০০৫১০০ টাকা
০৮১০০০০০০ (দশ লক্ষ) ৫০০০+৫০০৫৫০০ টাকা
  • সরকার চাইলে যে কোন সময় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ফ্রি পরিবর্তন ও ধার্য করতে পারেন।

পালিয়ে বিয়ে করতে কি কি লাগে ?

পরিবারের কেউ রাজি না থাকলে অনেকেই পালিয়ে বিয়ে করতে চান । এর জন্য কোর্ট ম্যারেজ করা যেতে পারে । কোর্ট ম্যারেজ করা হলে আইন গত বাধা থাকে না । কোন ধরনের ঝামেলা হলে কোর্ট ম্যারেজ  এর কাগজ পত্র দেখালেই আর কেহ ঝামেলা করতে চাইবে না । 

তবে কোর্ট ম্যারেজ  করতে চাইলেও নিয়ম অনুযায়ী করতে হবে । উকিলের  পরামর্শ নিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করা ভাল । এতে করে ভবিষ্যতে কোন বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে না ।

অল্প খরচে কোর্ট ম্যারেজ . Court marriage at low cost

অল্প খরচে বিয়ে করতে হলে দেন মোহর এর পরিমান কমাতে হবে । যদি কম পক্ষে ১০০০০০ এক লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য করে উভয়ে একমত হন তাহলে আনুমানিক ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে কোর্ট ম্যারেজ সেরে ফেলতে পারবেন ।

হিন্দু কোর্ট ম্যারেজ কিভাবে করব

খরচ ছাড়া বিয়ে করার উপায় আছে কি ?

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কোনো খরচ ছাড়া বিয়ে করার উপায় নাই । বিয়ে বৈধ করতে হলে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন ফি এবং সাথে কাজীর ফি দিতে হবে । দেনমোহর এর উপর নির্ভর করবে আপনার বিয়ের খরচ ।প্রয়োজনে উপরে দেন মোহর এর চার্ট দেখে নিতে পারেন । যত কম দেন মোহর তত খরচ কম ।দেনমোহর যত কম হবে তত কম খরচে বিয়ে করতে পারবেন।

আরও জানতে পড়তে থাকুন

সাদিয়া নামের অর্থ কি ? Meaning The Name Of Sadiya

হিন্দু কোর্ট ম্যারেজ কিভাবে করব ? How to do Hindu court marriage?

হিন্দু কোর্ট ম্যারেজ সম্পন্ন করতে হলে দুজনকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে । এক্ষেত্রে ছেলের বয়স ২১ এবং  মেয়ের বয়স ১৮ বা তার বেশী হতে হবে । হিন্দু কোর্ট ম্যারেজ করতে যে সমস্ত কাগজ লাগবে তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দেয়া গেলঃ

১। উভয় পক্ষের বৈবাহিক অবস্থান প্রমাণপত্র

২। উভয় পক্ষের পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে  

৩। উভয় পক্ষের জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয় পত্র

৪। উভয় পক্ষ থেকে ২ জন করে প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষী লাগবে 

৫। যেকোনো অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হলে ।

ভিন্ন ধর্মের সাথে যদি বিয়ে করতে হয় সে ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হবে । সাধারণত এসব ব্যাপারে উকিল এর সাথে পরামর্শ করে এই বিয়ে করা উত্তম । পরবর্তী তে কোন ঝামেলা হতে পারবে না ।

আরও জানতে পড়তে থাকুন

অনলাইন জিডি । ঘরে বসে অনলাইনে জিডি করবেন কি ভাবে ।

  • বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং যেকোনো প্রশ্ন করুতেঃ এখানে ক্লিক করুন
  • বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
  • বিডি নিউজ ওয়াল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
  • গুগল নিউজে বিডি নিউজ ওয়াল সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
  • বিডি নিউজ ওয়াল সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে
  • বিডি নিউজ ওয়াল এর সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন এই সাইট।
A B Siddique Shohel

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *