সিভি লেখার নিয়ম । প্রফেশনাল ভাবে সিভি লেখা হলে চাকরি পাবার সম্ভাবনা বেশী থাকে ।

curriculum vate

সি ভি (CV) হল একটি প্রফেশনাল দলিল । কাজের অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ও ব্যক্তিগত সব কিছু বিষয় সম্পর্কে একটি বর্ণনা করে। সি ভি একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ, যা একজন ব্যাক্তি সম্পর্কে বলে দেয় । আজ আমরা সিভি লেখার নিয়ম এবং এর বিস্তারিত জানতে পারব । 

সি ভি (CV) ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কে বর্ণনা করে থাকে । সি ভি দ্বারা একজন সুপারিশদাতা ও কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তথ্য জানতে সাহায্য করে।

এখানে আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেল এবং পেশাগত তথ্য সহ বিস্তারিত বিবরন থাকে ।সি ভি কর্মদক্ষতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, টিম ও প্রকল্প ম্যানেজমেন্ট এবং অন্যান্য দক্ষতা সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে থাকে।

Bank-Job-Without-Coaching-center

প্রফেশনাল ভাবে সিভি লেখার নিয়মঃ-

চাকরি পাবার প্রথম শর্তই হলো সিভি । নিয়োগ দাতারা সর্ব প্রথম আপনার সিভিটা দেখে থাকেন । যেটা দেখে নিয়োগদাতারা আপনার সম্বন্ধে প্রাথমিক ধারণা পেয়ে থাকেন ।

আজকে আমরা জানব সিভি লেখার নিয়ম । কি ভাবে সিভি লেখা হলে চাকরি পাবার সম্ভাবনা থাকে । 

চাকরি পাবার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে বিষয়টির ওপর নজর দিতে হয় সেটা হল একটি ভালো সিভি তৈরি করা ।

ভালো সিভি তৈরি করা এখন খুব কঠিন কাজ নয় । আমাদের এই লেখা পুরাটি পড়লে আপনি একটি ভালো সিভি তৈরি করতে পারবেন । 

আমরা প্রথমে যে ভুলটা করে থাকি সেটা হলো , কম্পিউটারের দোকানে যেয়ে আমরা বলি মামা আমাকে একটি সিভি তৈরি করে দেন । 

আমাদের দেশের বহু সংখ্যক  চাকরি প্রার্থী  এই কমন ভুলটি করে থাকেন । কম্পিউটারের দোকানে থাকা সিভির ফরমেট থেকে কম্পোজে করে সিভি তৈরি করে চাকরির জন্য জমা দিয়ে থাকেন ।

এ ধরনের সিভির ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই উত্তম ।  বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এইসব সিভি এর  মান সঠিক থাকে না । 

আমাদের লেখাটির ফলো করে আপনি একটি ভাল সিভি বানাতে পারবেন । এতে আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা ও বেড়ে যাবে । এই কাজটা মোটেও কঠিন নয় । আর বিলম্ব না করে এখনি একটা সিভি তৈরি করে ফেলুন ।

সিভি লেখার নিয়ম

আরও জানতে পড়তে থাকুন

ব্যাংক জব কি ভাবে পেতে পারেন ? Bank Job এ টু জেড গাইড লাইন ।

সিভি বা CV কি ?

সিভি হল সংক্ষিপ্ত রূপ ,এর পূর্ণ রূপ হল কারিকুলাম ভিটা (Curriculum Vitae)। সিভি বা Curriculum Vitae হল একজন লোকের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত । 

এটি এক পাতা বা দুই থেকে তিন পাতার একটি ডকুমেন্ট যেখানে একজন লোকের নাম ঠিকানা , শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে, ও দক্ষতার বর্ণনা সহ আরও কিছু কিছু আনুসাঙ্গিক বিষয় এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা থাকে ।

চাকরি ক্ষেত্র ছাড়াও এটা একাডেমিক ও রাজনৈতিক সহ নানা রকম কাজে ব্যাবহার হয়ে থাকে । এটি সাধারণত ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়ে থাকে । যদিও কোথাও বাংলা ভাষায় লিখার নিষেধ নেই । 

Resume কি ? সিভি এর সাথে এর কোন পার্থক্য আছে কি ?

সিভি (Curriculum Vitae) এবং রিজুউম (Resume) প্রায় এক জিনিস। এই দুটো জিনিস প্রায় একই কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে । 

তবে সিভি এবং রিজুউম এর মধ্যে গঠনগত পার্থক্য রয়েছে । সিভি (Curriculum Vitae) সাধারণত দুই তিন পাতার হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন বিষয়ে সংক্ষিপ্ত  বর্ণনা রয়েছে । 

অপরদিকে রিজুউম (Resume) সাধারণত এক পাতার হয়ে থাকে এবং সকল তথ্য খুব সংক্ষেপ হয়ে থাকে । 

সি ভি তে ইনফরমেশন কে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়  অপরদিকে রিজুউম এর ক্ষেত্রে ইনফরমেশন এর পাশাপাশি ডিজাইনের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় ।

আরও জানতে পড়তে থাকুন

কানাডা ইমিগ্রেশন Canada Express Entry Guide Line

একটি ভাল সিভির মান কেমন হওয়া দরকার ।

প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে সি ভি যেন সহজ সরল সুন্দর হয়ে থাকে । কোন ভাবেই জটিল করা যাবে না । একটি ভাল মানের সিভিতে কিছু জিনিষ আবশ্যক । আর এগুলা হলোঃ-

  • সিভি ফরম্যাট, 
  • সিভি কন্টেন্ট, 
  • সিভির পেইজের সাইজ,
  • সিভির পেইজের সংখ্যা,
  • সিভির কালার বাছাইকরণ, 
  • সিভির লেখার ফন্ট, 
  • সিভির ফন্ট স্টাইল, 
  • সিভির ইন্ডেন্টেশন, 
  • সিভিতে ব্যবহার করা ছবি ইত্যাদি। 

উল্লিখিত সবগুলোর যথাযত ব্যবহার একটি সিভির মান অনেক অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়ার সাথে সাথে চাকরি পাবার সম্ভাবনাও বাড়তে পারে।

এক টি ভাল সিভি তে কি থাকা উচিত?

একটি ভাল মানের সি ভি আপনাকে প্রতিযোগিতায় অনেক খানি এগিয়ে রাখার সম্ভাবনা রাখে । কাজের ধরন অনুসারে সিভিতে প্রয়োজনীয় তথ্য থাকা দরকার ।

সিভি লেখার ধরন টি নির্ভর করবে কি কাজের জন্য সিভি তৈরি করছেন ।আপনি যে কাজের জন্য সিভি তৈরি করবেন সেই কাজের তথ্যই সিভি তে থাকা উচিত । 

কাজের ধরন অনুসারে সিভিতে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য থাকলেও বেশ কিছু  বেসিক ইনফর্মেশন রয়েছে যা সব সিভি তে একই রকম হয়ে  থাকে । 

প্রয়োজনীয় তথ্য ছাড়া অপ্রোজনীয় কোন তথ্য সিভিতে থাকা উচিত নয় । সংক্ষেপে স্মার্ট ভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে  সংক্ষেপে সুন্দর একটি সিভি তৈরি করতে হবে । 

একটি ভাল মানের সিভি চাকরিদাতাদের দৃষ্টি আকর্ষনে সহায়তা করে থাকে যার ফলে চাকরির খবর সম্ভাবনা বেশি থাকে । 

Resume  cv

একটি ভাল মানের সি ভি তে কি কি থাকে । এবার এক নজরে দেখে নেয়া যেতে পারে ? 

  • ব্যক্তিগত তথ্যঃ- 

০১) নামঃ- সার্টিফিকেট বা সনদ পত্র অনুসারে আপনার পুরো নাম লিখবেন । নামের আগে বাড়তি মিঃ অথবা মিসেস (Mr  অথবা  Mrs) কখনো লিখবেন না । 

কখনোই ডাক নাম বা ছদ্ম নাম ব্যবহার করা যাবে না । বাবার নাম এবং মায়ের নাম লিখতে পারেন । 

০২) বয়সঃ- যেমন এই ভাবে দিতে পারেন জন্ম তারিখ ১৪ জানুয়ারি ১৯৮৯ ।

০৩) ধর্মঃ- ইসলাম/ হিন্দু 

০৪) বৈবাহিক অবস্থাঃ- বিবাহিত/ অবিবাহিত 

  • ঠিকানাঃ– 

সব সময় সঠিক ঠিকানা দিতে হবে । মনে রাখবেন এই ঠিকানায় আপনার ইন্টারভিউ এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ আসবে । এখানে ভুল হলে আপনার ইন্টারভিউ এর কার্ড আশার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে থাকবে । 

স্থায়ী ও অস্থায়ী দুই ঠিকানা দিয়ে দিতে হবে । পোস্ট কোড অবশ্যই দিয়ে দিবেন ।

  • মোবাইল নং / ই মেইলঃ-

 বর্তমান যুগ হল তথ্য প্রযুক্তির তাই যোগাযোগ এর জন্য মোবাইল নং অবশ্যই দিতে হবে । খেত্র বিশেষ ২ টা মোবাইল নং দেয়া যেতে পারে ।

এর বিশেষ সুবিধা হল কোন কারনে একটি নং বন্ধ থাকলে অন্য নং এ যোগাযোগ এর মাধ্যমে আপনাকে পাবার সম্ভাবনা বেশী থাকে । তবে ২ এর অধিক কখনো না দেয়াই ভাল । 

আপনার নামের সাথে সামঞ্জস্য এই রকম একটি মেইল ব্যাবহার করবেন । 

সোশ্যাল মিডিয়া লিংকঃ-

লিংকড–ইন প্রোফাইলের এর আপনার আই ডি লিংক ব্যাবহার করতে পারেন । আপনার যদি নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট অথবা  পোর্টফোলিও থাকে সেটা দিতে পারেন । 

দরকার হলে প্রফেশনাল ফেসবুক লিংক দেয়া যেতে পারে পার্সোনাল ফেস বুক এর লিংক প্রয়োজন ছাড়া না দেয়াই ভাল । 

  • ছবিঃ- 

সদ্য তোলা ভাল মানের ছবি যাতে আপনার চেহারা সঠিক এবং বাস্তব মনে হয় দিতে হবে । প্রয়োজনে একটি ভাল মানের স্টুডিও থেকে তুলে নিতে হবে । 

কখনো মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে প্রিন্ট করে দিতে চেষ্টা করবেন না । ছবির পটভূমি সব সময় এক রঙের হতে হবে । ভাল মানের পোশাক এবং পরিপাটি থাকতে হবে । 

ফরমাল পোশাক দিয়ে তোলা ছবি ব্যাবহার করতে হবে । 

  • শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ- 

সদ্য পাওয়া ডিগ্রি মানে যে ডিগ্রি টা শেষে অর্জন করা হয়েছে সে টা প্রথম লিখতে হবে । বিশ্ববিদ্যালয় এর ডিগ্রী  থেকে ক্রমান্বয়ে  মাধ্যমিক  পর্যায় এর অর্জন সাজিয়ে লিখতে হবে । 

সাল , গ্রেড উল্লেখ থাকতে হবে । সর্বশেষ লেখা পড়া অবস্থায় থাকলে অথবা পরীক্ষার্থী হয়ে থাকলে সেখানে শিক্ষার্থী লিখে দেয়া যেতে পারে । নিচে একটি চার্ট দেয়া হল সুবিধার জন্য।

C V Sample

Name Of ExamDivision/ClassBoard/UniversityPassing Year
AAAA
BBBB
CCCC
  • কাজের অভিজ্ঞতাঃ- 

অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান নতুন বা ফ্রেসার দের সুযোগ দিয়ে থাকে । অভিজ্ঞতা না থাকলেও কোন সমস্যা নেই । কারন আপনি তো নতুন । কোথাও এর আগে জব করেন নি । অতএব এ নিয়ে কোন টেনশন না করাই ভাল ।

যদি ইন্টার্ন করে থাকেন বা কোন কোর্স করে থাকেন সেটা অবশ্যই দিবেন । কত দিন ইন্টার্ন করেছেন কোথায় করেছেন সংক্ষেপে দিয়ে দিবেন।

যারা আগে জব করেছেন তারা খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা দিবেন কোন সংস্থায় কাজ করেছেন, কত দিন কাজ করেছেন , আপনার পদবি বা ডেজিগনেশন কি ছিল ইত্যাদি । 

এগুলো আপনি চাইলে একটা টেবিল আকারে সাজিয়ে লিখতে পারেন । যাতে চাক্রিদাতার বুঝতে সুবিধা হয় ।

এখানেও শিক্ষাগত যোগ্যতার মতই শেষ যে চাকরিটা করেছেন বা বর্তমানে আছেন সেটা আগে লিখতে পারেন ।

  • দক্ষতা ও অর্জনঃ- 

আপনার যদি কোন দক্ষটা বা কাজের শেষে সমাপ্তি সার্টিফিকেট বা কোন পদক পেয়ে থাকেন সেটা লিখে দিতে পারেন ।

  • রেফারেন্সঃ (Reference)ঃ-

কোন কোন চাকরির ক্ষেত্রে চাকরিদাতারা রেফারেন্স চেয়ে থাকে । তাই খেয়াল রাখবেন যেসব ক্ষেত্রে চাকরিদাতারা রেফারেন্স দিয়ে থাকে সেই সব জায়গায় রেফারেন্স দিতে হবে ।

যেসব জায়গায় রেফারেন্সের কোন উল্লেখ থাকে না সেখানে রেফারেন্স না দেওয়াটাই ভালো । 

দুই থেকে তিন জনের রেফারেন্স আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখা ভালো ।যে সব রেফারেন্স সিভিতে সংযুক্ত করবেন তার কাছ থেকে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে রাখবেন ।

তালিকায় সুন্দরভাবে রেফারেন্স কারীর নাম পদবী ফোন নাম্বার মেইল এবং ঠিকানা সংযুক্ত করুন ।

রেফারেন্স সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনেকেই বিপদে পড়ে থাকে এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অথবা যে প্রতিষ্ঠানে থেকে পাশ করেছেন সেই প্রতিষ্ঠান শিক্ষকের কাছ থেকে তার অনুমতি নিয়ে আপনি রেফারেন্স সংগ্রহ করতে পারেন ।

  •  সারাংশঃ- 

একটি ভাল সিভি হাজার হাজার চাকুরি প্রাথি এর মাঝ থেকে আপনাকে চাকুরিদাতার কাছে যোগ্য বলে বিবেচিত করতে সহায়তা করবে এতে কোন সন্দেহ নেই । 

একটি ভাল সিভি কিভাবে তৈরি করতে হয় তা এখুনি শিখে ফেলুন । নিজের সিভি নিজেই বানাতে শিখুন । 

এটা এখন এতটাই সহজ যা আপনি আগে কখনো চিন্তাও করতে পারেন নাই । এর জন্য আপনি আমাদের আরও কিছু প্রম্রশ আছে যা পড়তে পারেন ।

আরও জানতে পড়তে থাকুন

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম । স্মার্ট কার্ড সহ নতুন নিয়ম অনুসারে আপডেট জানুন

How to made cv

সি ভি তে কি থাকা উচিত নয় ?

  • আরেক জনের  সি ভি দেখে হুবহু নকল করা যাবে না । মনে রাখা উচিত যিনি নিয়োগ দিবেন তারা সি ভি দেখলেই বুঝতে পারেন যে সিভি টা আলাদা অথবা নকল । অতএব একটু এই ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া চলবে না ।
  • সি ভি তে কখনো রঙিন বা চক চকে কাগজ করা যাবে না ।
  • বানান ভুল করা যাবে না । বানান ভুলের কারনে আপনার চাকরি পাবার চেয়ে না পাবার সম্ভাবনা বেশী থাকে ।
  • বানান ভুলের সাথে গ্রামার এ ভুল করা চলবে না । একদম নিখুত হতে হবে ।
  • সদ্য পাশ করা বা ডিগ্রী অর্জন করা এবং যাদের কাজের অভিজ্ঞতা নেই তারা ২ পাতার বেশী ব্যাবহার করবেন না । প্রয়োজন ছাড়া বাড়তি কিছু লিখার দরকার নেই ।
  • একটা সি ভি দিয়ে সব ধরনের চাকুরী র জন্য আবেদন করা মোটেও উচিত নয় । প্রতিটি আলাদা জব আলাদা অভিজ্ঞতা দরকার এর জন্য এক এক ধরনের জব এর ক্ষেত্রে এক এক ধরনের সি ভি দিতে হবে । অর্থাৎ চাকুরীর ধরন বুঝেই সি ভি লিখা উচিত ।
  • সিভির শিরোনামে   CV, Curriculum Vitae and Resume জাতীয় কথা লেখার , কোনো দরকার নেই।
  • অপ্রোজনীয় তথ্য দিয়ে সিভি তৈরি করা উচিত নয় ।
  • চশমা পরিহিত ছবি কখনো দিবেন না ।
  • সাদা কালো ছবি দিবেন না ।সিভিতে সবসময় ছবি ডানদিকে  পিন বা জেমস ক্লিপ দিয়ে আটকীয়ে  দিবেন। ৬ মাসের বেশি পুরনো ছবি না দেয়াটাই ভাল । 
  • কোন ভাবেই ভুল তথ্য দেয়া যাবে না । একটি ভুল তথ্য এর কারনে আপনার প্রত্যাশিত চাকুরী থেকে আপনি বাদ পরে যেতে পারেন ।

সিভি লেখার নিয়ম /ফরম্যাট কেমন হওয়া দরকার ?

  • পাতা এর সংখ্যাঃ– 

অজাচিত তথ্য যেন সংযুক্ত না হয় সে দিকে খেয়াল রেখে পাতার সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে । 

  • পাতার সাইজঃ– 

সব সময়  A4 সাইজ কাগজ ব্যাবহার করতে হবে । অনলাইনে কখনো পি ডি এফ ফাইল করতে হলেও A4 সাইজ সিলেক্ট করে নিবেন । সি ভি এর চারপাশে মার্জিন এর জন্য যায়গা রাখতে হবে ।

  • ফন্ট এর ধরনঃ-  

জনপ্রিয় ফন্ট হিসাবে Times new roman /Calibri / Arial বা  Verdana  এই চারটি ফন্ট থেকে আপনি যে কোন একটি বেছে নিতে পারেন । 

  • ফন্টের সাইজঃ- 

ফন্ট এর সাইজ সাধারনত ১১ থেকে ১৩ এর মধ্যে রাখলে ভাল হয় এবং হেড লাইন বা সাব হেড লাইন এর  জন্য ১৪ , ১৫ বা ১৬ এর মধ্যে রাখতে পারেন । 

এবং এটিকে বোল্ড করে দিয়ে আরও আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন হবে ।

  • দুই লাইনের মাঝে যায়গাঃ- 

দুই লাইনের মাঝে দৃশ্য মান যায়গা রাখা ভাল । এই ক্ষেত্রে  লাইন স্পেসিং 1.15 বা  1.50 ব্যাবহার করা যেতে পারে ।

  • স্বাক্ষর ও তারিখঃ (Signature And Date):-

স্বাক্ষর ও তারিখ দিতে হবে । কিছু কিছু ক্ষেত্রে নাম সহ স্বাক্ষর দেয়া যেতে পারে । সাথে তারিখ দিতে ভুলবেন না ।  

নিজের সি ভি নিজে লিখতে নিচের লিঙ্ক এর সাহায্য নিতে পারেন ।

Sample Download  Here 

আশা করি আমাদের এই লিখাটি আপনার সামান্য হলেও উপকারে আসবে ।সি ভি লেখার জন্য আপনার কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট এ লিখতে পারেন । আমারা আপনার কমেন্ট এর মূল্যায়ন করে থাকি । 

আরও জানতে ক্লিক করুন এই খানে 

অনলাইন থেকে সিভি বানানোর পদ্ধতি 

প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা

কি ভাবে একটা ভাল সি ভি বানাব

আমাদের লেখা ফলো করুন

অনুরোধ

আশা করি আমাদের এই লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে । যদি আমরা আপনার সামান্য উপকারে আসি তবে আমাদের এই লেখাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন । অথবা লাইক ,কমেন্ট করে আমাদের সাথে থাকুন । আমরা আরও লেখা নিয়ে হাজির হব ইনশাল্লাহ । আপনার কোন মূল্যবান মতামত অথবা কিছু জানার আগ্রহ থাকলে আমাদের জানাতে পারেন । আমরা অবশ্যই উত্তর দিতে সচেষ্ট থাকবো । আপনার মূল্যবান কোন লেখা আমাদের বিডি নিউজ ওয়ালে পোস্ট করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা মেইল করতে এইখানে ক্লিক করুন । আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
  • বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং যেকোনো প্রশ্ন করুতেঃ এখানে ক্লিক করুন
  • বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
  • বিডি নিউজ ওয়াল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
  • গুগল নিউজে বিডি নিউজ ওয়াল সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
  • বিডি নিউজ ওয়াল সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে
  • বিডি নিউজ ওয়াল এর সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন এই সাইট।
A B Siddique Shohel

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *