ব্যাংক জব কি ভাবে পেতে পারেন ? Bank Job এ টু জেড গাইড লাইন ।

ব্যাংক জব

ব্যাংক জব Bank Job কি ভাবে পেতে পারেন ? এ টু জেড জানতে পারবেন ।

মুক্তবাজার অর্থনীতির ফলে দেশে বাণিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গড়ে উঠছে প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক ব্যাংক ব্যবস্থা।আজকাল ব্যাংকিং পেশা হিসেবে অনেকটাই বিশেষায়িত হয়ে উঠেছে।আজকের আমাদের আলোচনা ব্যাংকের চাকরি কি ভাবে পেতে পারেন ? এ টু জেড জানতে পারবেন ।

অন্য যেকোনো ধরনের পেশা থেকে ব্যাংকিং পেশার সুযোগ-সুবিধা একটু বেশি। দেশের তরুণ প্রজন্ম, যাঁরা এখন চাকরির বাজারে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অথবা সবেমাত্র চাকরিতে ঢুকেছেন, তাঁদের কাছে ব্যাংকের চাকরি এখন অনেক বেশি আকর্ষণীয়। 

আকর্ষণীয় বেতন, সামাজিক সম্মান ও মর্যাদা, ক্যারিয়ারে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার সব রকম সুযোগ- আর এই সবকিছু যে গুটিকয়েক পেশায় মেলে, ব্যাংকিং জব তার মধ্যে একটি অন্যতম জব ।

ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে আমরা যে বিষয়  উপলব্ধি করবো সেটা হল আপনার প্রস্তুতি ।প্রস্তুতি না থাকলে ব্যাংকে চাকরি পাওয়া অসম্ভব ।

বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্য যে কোন ব্যাংকে চাকরি পেতে হলে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি ।একমাত্র নিয়মমাফিক প্রস্তুতির মাধ্যমে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব ।

সময়ের দিকে না তাকিয়ে একবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই শুরু করতে হবে ।আপনার লক্ষ্য যদি থাকে  অটুট তবে আপনি এই ব্যাংকিং জব পেতে সফলকাম হবেন এতে কোন সন্দেহ নেই ।

ব্যাংক জব  Best Job Bank Job

ব্যাংকের চাকরি কেন এত জনপ্রিয় ? Bank Job Bangladesh .

বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যাংক খাতে সবচেয়ে বেশি চাকরীর অফার চলছে । আমাদের দেশে সরকারি এবং বেসরকারি মিলে প্রায় (৬০ টি) অনেক গুলো ব্যাংক কাজ করেছে । 

আর এসব প্রতিটি ব্যাংক এর শাখা, প্রশাখা, উপ শাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং ও এটি এম বুথ সহ অনেক ধরনের আউটলেট রয়েছে । বলতে গেলে ব্যাংক এখন জনগনের একেবারে দরজায় । গ্রাহকের দ্বারপ্রান্তে ।

এর সাথে আছে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা । কে ভাল ব্যাংকিং সেবা দিতে পারবে ।  গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণ এর জন্য আছে নানা রকম অফার । যে ব্যাংক গুলো এই সব প্রতিযোগিতায় বেশী আকর্ষণ দেখাতে পারবে তাদের কাস্টমার বেশী হবে এটাই স্বাভাবিক ।

প্রতি বছর ভাল চাহিদার কারনে বাংক গুলো তাদের শাখা প্রশাখা বৃদ্ধি করে চলছে ।ফলে প্রতিনিয়ত দরকার হচ্ছে দক্ষ জনবলের। সরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সংখ্যা ও শাখা, কার্যক্রম বৃদ্ধি, উন্নত গ্রাহকসেবা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করছে ।

এখানে ক্যারিয়ার গড়ার নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিবছরই ব্যাংকগুলোতে জনবল নিয়োগ দেওয়া  হচ্ছে প্রচুরসংখ্যক। আর এসব ক্ষেত্রে  প্রাধান্য দেওয়া পাচ্ছে তরুণ/তরুণীরা বেশী ।

একটি স্মার্ট জব হিসেবে এখন ব্যাংকিং খাত সমাদৃত । এই সেক্টরে নিরাপত্তা ও ভাল বেতন এবং আধুনিক সব সুযোগ সুবিধার কারনে ব্যাংকের চাকরি এখন অনেক জনপ্রিয় ।  

ব্যাংক জব  Bank job preparation

ব্যাংক জব বা ব্যাংকের চাকরির জন্য সবার আগে চাই ভাল প্রস্তুতি !

একটি ভাল প্রস্তুতি আপনার চাকরী পাবার ক্ষেত্রে একমাত্র ভূমিকা পালন করে থাকে । এটা শুধু ব্যাংকের ক্ষেত্রে নয় । সব ক্ষেত্রে এই প্রস্তুতি কাজে দিয়ে থাকে ।

প্রস্তুতি ভাল না হলে আপনি পরীক্ষায় কি লিখবেন এ ব্যাপারে তো আপনার ই ভাল জানার কথা । একবার ভাবুন নিজের সম্পর্কে, আপনি এর উত্তর পেয়ে যাবেন ।

আর যদি ব্যাংকের চাকরির জন্য আপানার ভাল প্রস্তুতি থাকে তবে কেন ভাবতে হবে । সব দিক বিবেচনা করে এটা বলা যায় যে প্রস্তুতি এর কোন বিকল্প নেই । 

সুতারাং আর কোন বিলম্ব নয়, এখুনি নেমে পড়ুন প্রস্তুতির জন্য । তৈরি করুন নিজেকে । প্রমান করুন আপনি পারবেন । এটা আপনার কাছে কোন ব্যাপার না । 

ব্যাংকে জব পেতে পড়াশোনা ও যোগ্যতা:

ব্যাংকগুলো বর্তমানে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক ডিগ্রিধারীদেরকে বেশী অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।  সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা হিসেবে নিচের বিষয় গুলো বেশী কার্যকরী হয়ে থাকে । প্রাইমারি লেভেলে চাকুরী পেতে যে কোন বিভাগ থেকে পাস করে এখানে আবেদন করা যায় । 

  • এমবিএ, 
  • এমবিএম, 
  • বাণিজ্যিক বিষয়ে স্নাতকোত্তর, 
  • অর্থনীতি, 
  • ইংরেজি, 
  • পরিসংখ্যান 

সাধারণত ব্যাংকে নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা দ্বিতীয় শ্রেণী চাওয়া হয়। আবার কিছু ব্যাংকে সব বিষয়ে প্রথম শ্রেণী চায়। এ ছাড়া ইংরেজিতে দক্ষতা ও কম্পিউটার জানা থাকতে হবে। ‌

অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের আবেদন চাওয়া হয়ে থাকে । সেই ক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারেন। 

যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকলে ব্যাংকে চাকরির জন্য আবেদন করা যায়। স্নাতক করার পর আপনি যেকোনো ব্যাংকে আবেদন করতে পারবেন।

বিভিন্ন ধরনের ‘সফট স্কিল’ থাকলে বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে কাজ দেয়। কারণ ব্যাংকের চাকরির পূর্বশর্তগুলোর মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রতি আনুগত্য, নৈতিকতা, সামাজিকতা ও মানুষের সঙ্গে মেলামেশার ক্ষমতা অন্যতম। 

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ইংরেজি, ও যোগাযোগ দক্ষতা অবশ্যই ভালো থাকতে হবে। গনিত বিষয়ে ভাল পড়ালেখা করতে হবে ।

ব্যাংক এ চাকরী Bank Job

ব্যাংক জব বা ব্যাংক এ চাকরীর ধাপ সমূহ 

প্রথমে বাছাই পরীক্ষা হয়ে থাকে । এই পরীক্ষা কে (এমসিকিউ) বলে । সাধারণত বাছাই পরীক্ষা হয়ে থাকে প্রিলিমিনারি বা  (এমসিকিউ) ও লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে।

প্রিলিমিনারিতে পাস করলেই লিখিত পরীক্ষা দেওয়া যাবে।লক্ষ লক্ষ আবেদন কারী তো আর সবাই উপযুক্ত নয় । তাই প্রথমে এই পরীক্ষার মাধ্যমে এক ধরনের যোগ্যতা নির্ণয় এর পদ্ধতিতে অনেক কে বাদ দেয়া হয়ে থাকে ।

 প্রিলিমিনারি পরীক্ষার রেজাল্ট হবার কিছুদিন পরই হয় লিখিত পরীক্ষার তারিখ দেয়া হয়। অর্থাৎ প্রিলির পর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য খুব বেশি সময় পাওয়া যাবে না। 

প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি নেওয়ার সাথে সাথে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি ভাল ভাবে করতে হবে। যেহেতু কিছুদিন পর পর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় তাই।তাই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখাই ভাল ।

  1. প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ)
  2. লিখিত (রিটেন )
  3. ভাইবা (মৌখিক) 

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানভেদে দুই থেকে তিনটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়ে থাকে। নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য আপনি বিভিন্ন ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র দেখে নিতে পারেন ।

ব্যাংক জবে সব চেয়ে বেশী ভাল কোর্স গুলো 

বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক প্রশিক্ষণ এর কোর্স রয়েছে । নিজেকে তৈরি করে নিতে এই সব কোর্স করা যেতে পারে । বিভিন্ন পেশা কে আরও ভাল ভাবে প্রফেশনাল হিসেবে গ্রহন করার প্রাইমারি তে এই কোর্স গুলো অনেক কাজে লাগে । 

স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি এমবিএ কোর্স এবং পরবর্তী সময়ে সিএ কোর্স করতে পারলে তা ভবিষ্যতে অনেক কাজে লাগবে। 

ব্যাংক জব বা ব্যাংক এ চাকরির জন্য আলাদা যে কোর্স গুলো করে নিতে পারেন 

যে কোন জব এর ক্ষেত্রে বাড়তি যোগ্যতা চাকরি দাতারা কামনা করতেই পারে । সরকারি জবের কথা বাদ দিলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনাকে তারা কেন নিয়োগ দিবে ?

হাজার হাজার প্রার্থীদের মধ্য থেকে যখন বাচাই করা হবে তখন এই বাড়তি যোগ্যতা যাদের আছে তাদের কেই আগে রাখতে চেষ্টা করা হবে এটাই স্বাভাবিক ।

পেশা ভিত্তিক জবের মধ্যে ব্যাংকের জব  অন্যতম ।এই পেশার যে কোর্স গুলো করে নিলে আপনি একধাপ এগিয়ে থাকবেন   এরূপ কয়েকটি কোর্স নিম্নে দেয়া গেল ঃ- 

ব্যাংক জবের ক্ষেত্রে এম বি এ কোর্স 

বর্তমান সময়ে এমবিএ অনেক পেশারই উৎকর্ষ বিকাশের জন্য একটি চাহিদাসম্পন্ন প্রফেশনাল ডিগ্রি। ব্যাংকিং পেশায়ও এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে।

এম বি এ হল দুই বছরের একটি প্রফেশনাল কোর্স । এই কোর্স টি সাধারণত কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য গঠন করা হয়েছে । এম বি এ কোর্স এর মাধ্যমে আপনি নিঃসন্দেহ ভাবে নিজেকে অনেক ডেভলপ করে  নিতে পারবেন ।

এই কোর্স কমিনিকেশন স্থাপনের দক্ষতা, বিজনেস দক্ষতা সহ আরও অনেক দক্ষতা বাড়াবে এমনকি নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী হতেও সাহায্য করবে।

এম বি এ কোর্স কাজের দক্ষতার পাশাপাশি একাউন্টিং, ফিনান্স, অর্গানাইজেশনাল বিহেভিয়ার, অপারেশন এন্ড রিসার্চ ইত্যাদি সম্পর্কে ধারনা দিয়ে থাকে । 

এর সব কিছুই ব্যাংক জবের সাথে রিলেটেড বিধায় এই কোর্স টি করে নিতে পারেন । অনেক সময় দেখা যায় চাকরীর বিজ্ঞাপনে সরাসরি এম বি এ ডিগ্রী ধারী দের অগ্রাধিকার দেয়া হয়ে থাকে ।

ব্যাংক জবের ক্ষেত্রে  সি এ কোর্স 

সি এ কোর্স  ব্যাংক জবের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । সি এ কোর্স শেষ করতে মিনিমাম ৩ বছর সময় লাগে । আসল কথা হল ব্যাংকের চাকরির জন্য নির্দিষ্ট কোন কোর্স বা প্রতিষ্ঠান জরুরি নয় ।

এই কোর্স আপনার ব্যাংক জবে বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে কাজে দিবে ।আপনি যে কোন কোর্স করেন না কেন, ওই বিষয়ের প্রতি আপনাকে অবশ্যই পরিপূর্ণ ভাবে মনোযোগ দিতে হবে এবং একটি ভালো ফল নিয়ে পাস করতে হবে। 

বিভিন্ন কোর্স এর পাশাপাশি ইংরেজির  উপর দক্ষতা বাড়াতে হবে। এভাবে নিজেকে যোগ্যতাসম্পন্ন করে তুললে সহজে ব্যাংকিং খাতে ভবিষ্যৎ জীবন গড়া মোটেও কষ্ট কর হবে না ।

ব্যাংক জবের ক্ষেত্রে প্রফেশনাল কোর্স 

আজকাল অনেক প্রতিষ্ঠান ভাল মানের প্রফেশনাল কোর্স অফার করে থাকে । যাচাই বাছাই করে নানা রকম প্রফেশনাল বা স্কিল ডেভেলপমেনট কোর্স করা যেতে পারে । ভাল মানের কোর্স আপনার কাজের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে ।

ব্যাংক জব

ব্যাংক জব বা ব্যাংক এ চাকুরীর ক্ষেত্রে কি কি পড়াশুনা করতে হবে সব বিস্তারিত 

  • প্রিলিমিনারি
  • লিখিত 
  • ভাইবা 

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় যা যা থাকে 

চাকরি প্রার্থী দের মধ্যে পেশা হিসেবে ব্যাংকিং খাত অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করছে দিন দিন । প্রাথমিক ভাবে এক ঘণ্টার এম, সি, কিউ বা মাল্টিপল চয়েস বা প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে । 

এক ঘণ্টার এই প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মোট নম্বর থাকে ১০০ । এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই কাঙ্ক্ষিত সপ্ন পূরণের লক্ষে এক ধাপ এগিয়ে থাকবে । 

যারা এই এম, সি, কিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে তারা লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারবে । এই পরীক্ষাটা সাধারণত তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক হয়ে থাকে ।

বিগত দিনের ব্যাংকের নিয়োগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ধারাবাহিকতা থেকে দেখা যায় এম, সি, কিউ এর জন্য বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান, আই সি টি ও সমসাময়িক বিশ্ব থেকে প্রশ্ন হয়ে হয়ে থাকে।  

ব্যাংক জব এর ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারি বিষয় গুলো 

  1. বাংলা 
  2. ইংরাজি 
  3. গনিত
  4. সাধারন জ্ঞান 
  5. আই সি টি 
  6. সমসাময়িক বিষয় 

উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলোর কোন এক টিকেও অবহেলা করা যাবে না । এই সব বিষয় গুলোর মধ্যে কোন অংশই কম গুরুত্ব পূর্ণ নয় । যদি আপনি কোন বিষয় কম গুরুত্ব দিয়ে থাকেন তবে পরীক্ষায় কম নম্বর পাবার চাঞ্ছ থাকবে । 

কম নম্বর এর শেষ অর্থ হল বাদ পড়ে যাওয়া । সব বিষয়ে নিজেকে ভাল ভাবে গড়ে গড়ে তুলতে হবে । কোথাও কোন কিছু বাদ দেয়া যাবে না ।

ব্যাংক জবে লিখিত পরীক্ষা  

ব্যাংক প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবার পর পরই লিখিত পরীক্ষার ঘোষণা আসে ।লিখিত পরীক্ষায় ভাল করতে হলে নিয়ম মাফিক ভাবে লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে  

ব্যাংক জবে ২০০ নম্ব‌রের লিখিত পরীক্ষা দি‌তে হ‌বে । এই পরীক্ষায় সময় মাত্র  মাত্র ১২০ মি‌নিট বা দুই ঘণ্টা।সুতরাং দ্রুত ,সং‌ক্ষিপ্ত ও নির্ভুল লিখ‌তে হ‌বে।‌এই পরীক্ষায় কোন বাড়তি কাগজ দেয়া হয় না।

অ‌নেক সময় উত্তরপ‌ত্রের সা‌থেই প্রশ্ন দেয়া থা‌কে । এক্ষে‌ত্রে প্র‌তি‌টি প্র‌শ্নের জন্য প্রদত্ত স্থা‌নে উত্তর লিখ‌তে হ‌বে।আলাদা প্রশ্ন থাক‌লে প্রদত্ত উত্তরপ‌ত্রে কোন পে‌জে কত নং প্র‌শ্নের উত্তর লিখ‌বেন তা নির্ধারন ক‌রে নি‌বেন।

ব্যাংক এ লি‌খিত পরীক্ষায় মূলত ইংরাজি ও গ‌নি‌তের খেলা চলে । বেসরকারি ব্যাংক গুলো বাদ দিলে প্রায় সব সরকা‌রি ব্যাংক এ লি‌খিত পরীক্ষায় মূলত তিনটি বিষয় এর উপর বেশী প্রশ্ন থা‌কে। 

এগুলোর মান বণ্টন মোটামুটি এই ভাবে হয়ে থাকেঃ

  • ইংরেজি  (১০০ নম্বর)
  • গনিত    (৫০-৭০ নম্বর)
  • বাংলা    (২৫-৩০ নম্বর)

আরও জানতে চাইলে পড়তে থাকুন 

ব্যাংক লিখিত পরীক্ষার এ টু জেড 

Bank Job Exam

ব্যাংক জবে ভাইবা বা মৌখিক  

ব্যাংকিং  সেক্টরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার একটি সুন্দর ও অন্যতম সার্থক ক্যারিয়ার হল এই ব্যাংকিং জব।এই জবের জন্য চেষ্টা করাই যেতে পারে। 

ব্যাংকিং  সেক্টরে চাকুরী প্রার্থী অনুসরণকারীর সংখ্যা প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে ।যদি কেউ এই দৌড়ে এগিয়ে থাকতে চান এবং অন্য প্রার্থীদের থেকে এগিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে এখন থেকেই, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রস্তুত করতে হবে ।

কিভাবে একটি ইন্টারভিউতে সবার সাথে টেক্কা দিতে সক্ষম হতে হবে । আর এ সব কিছুর জন্য জানতে হবে কিছু কৌশল।

সাক্ষাত্কারকারীরা স্বাভাবিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে নিম্নলিখিত বিভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে :

  1. নিজের সম্পর্কে 
  2. ব্যাংকের চাকরিতে আগ্রহের কারণ
  3. ব্যাংক সম্পর্কিত প্রশ্ন

ব্যাংক জব বা ব্যাংকের চাকরি পেতে হলে পরিকল্পনা ও রুটিন এর বিকল্প নেই

  • একই বিষয় বার বার পড়তে পড়তে হয়তো ভালো নাও লাগতে পারে তাই বিরক্তি দূর করার জন্য শর্ট রুটিন বা সূচি তৈরি করুন।
  •  কখন কোন বিষয় থাকবে সেই রকম সুবিধা অনুযায়ী সময় ও বিষয় ভাগ করে নিতে পারেন ।
  •  সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গণিত । গনিত শেষ করে দুপুরের যাবতীয় কাজ শেষে করা যেতে পারে ।
  •  দুপুরে এ বিশ্রাম নিতে নিতে পত্রিকার খুঁটিনাটি পড়তে পারেন, যেগুলো পড়লে সাধারণ জ্ঞান বাড়বে। 
  • বিকালে ইংরেজি নিয়ে বিস্তারিত শেষ করতে পারেন । বন্ধু বান্ধব দের সাথে আড্ডা এর ফাঁকে ইংরেজি চর্চা করা যেতে পারে ।
  • রাতে আপনার সুবিধা অনুযায়ী যেকোনো একটি বিষয় পড়তে পারেন এবং ।আই সি টি বা সম সাময়িক বিষয় অথবা অন্য কিছু । 
  • রাতে বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই সারা দিন কী কী পড়লেন, সেগুলো স্মরণ করার চেষ্টা করুন।

সবশেষেঃ

প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি আপনি কোন কোচিং সেন্টার এ ভর্তি হয়ে তাদের গাইড লাইন অনুসারে পড়ালেখা শুরু করতে পারেন । তবে কোচিং সেন্টার চয়েজ করার ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই তাদের বিগত দিনের রেজাল্ট এর দিকে খেয়াল রাখবেন । 

আপনার ভাল আমাদের কাম্য । আমাদের এই লেখাটি আপনার কাছে ভাল লাগলে অথবা আপনার কোন মতামত থাকলে আমাদের কে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না । আমরা আপানার যে কোন মন্তব্য কে গুরুত্ব দিয়ে থাকি ।   

আরও জানতে পড়তে থাকুন কাজে আসবে ১০০%

অনুরোধ

আশা করি আমাদের এই লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে । যদি আমরা আপনার সামান্য উপকারে আসি তবে আমাদের এই লেখাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন । অথবা লাইক ,কমেন্ট করে আমাদের সাথে থাকুন । আমরা আরও লেখা নিয়ে হাজির হব ইনশাল্লাহ । আপনার কোন মূল্যবান মতামত অথবা কিছু জানার আগ্রহ থাকলে আমাদের জানাতে পারেন । আমরা অবশ্যই উত্তর দিতে সচেষ্ট থাকবো । আপনার মূল্যবান কোন লেখা আমাদের বিডি নিউজ ওয়ালে পোস্ট করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা মেইল করতে এইখানে ক্লিক করুন । আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

কোচিং ছাড়াই কিভাবে ব্যাঙ্ক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়:-

  • বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং যেকোনো প্রশ্ন করুতেঃ এখানে ক্লিক করুন
  • বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
  • বিডি নিউজ ওয়াল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
  • গুগল নিউজে বিডি নিউজ ওয়াল সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
  • বিডি নিউজ ওয়াল সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে
  • বিডি নিউজ ওয়াল এর সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন এই সাইট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *