ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার যোগ্যতা, ম্যাজিস্ট্রেট এর বেতন কত ফুল গাইডলাইন
ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার যোগ্যতা, ম্যাজিস্ট্রেট এর বেতন কত,ম্যাজিস্ট্রেট এর কাজ কি ফুল গাইডলাইন নিয়ে আজকে বিডি নিউজ ওয়াল এর বিস্তারিত আলোচনা । আমাদের সাথে থাকুন সব শেষ আপডেট জানতে আমাদের বিডি নিউজ ওয়ালে সব সময় চোখ রাখুন । আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যে, ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার ইচ্ছা বা স্বপ্ন থাকে কিন্তু সঠিক গাইড লাইন না জানার কারনে, ম্যাজিস্ট্রেট হতে পারেন না ।
আমাদের দেশে ম্যাজিস্ট্রেট পদবী সামাজিক ভাবে অনেক একটি সুনামের যায়গা দখল করে রেখেছে । ম্যাজিস্ট্রেট এর সামাজিক দায়িত্ব, বেতনভাতা পদমর্যাদা অনেক সম্মানের হয়ে থাকে। এই সব বিবেচনা করে অনেক শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন। ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার স্বপ্ন পূরণে জানতে হবে এর ধাপ গুলো এবং কি করণীয়।আজকের এই পোষ্টে বিস্তারিত গাইড লাইন আমরা তুলে ধরব ।
আজ আমাদের পোষ্টে যে সমস্ত বিষয় গুলো থাকবে তা এক নজরে দেখে নিতে পারেনঃ
- ম্যাজিস্ট্রেট এর কাজ কি ?
- ম্যাজিস্ট্রেট পদের উৎপত্তি কখন হয় ?
- ম্যাজিস্ট্রেট কত প্রকার ও কি কি ?
- জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার যোগ্যতা
- ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার শারীরিক যোগ্যতা
- ম্যাজিস্ট্রেট এর বেতন কত
- জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা
- জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার বয়স
- ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার গল্প
- সহকারী জজ হওয়ার যোগ্যতা
ম্যাজিস্ট্রেট এর কাজ কি ?
বাংলাদেশে ম্যাজিস্ট্রেট হলেন একজন সিভিল অফিসার যাদের কাছ হল আইন পরিচালনা ও প্রয়োগ করার ক্ষমতা। এছাড়া তাদের সীমিত বিচারিক ক্ষমতাও রয়েছে। সরকার নির্ধারিত আরও কিছু কাজ আছে যা সময়ের সাথে সরকার তাদের নির্দেশ দিয়ে থাকে ।
ম্যাজিস্ট্রেট !
একজন ম্যাজিস্ট্রেট হতে হলে, সরকার স্বীকৃত যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট শেষ করে বি,সি,এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একজন প্রার্থী । যিনি প্রশাসনিক ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হন এবং একটি জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে যুক্ত থাকেন।
তিনি জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবেও পরিচিত। একটি জেলার প্রশাসনিক এর অধীনে আইন শৃঙ্খলা ,কৃষি ব্যবস্থা, এবং সরকারি সমস্ত প্রকল্প ও জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে থাকে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলা রয়েছে, প্রতিটি জেলায় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যুক্ত রয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেট পদের উৎপত্তি কখন হয় ?
Magistrate শব্দটি ল্যাটিন Magistratus শব্দ থেকে এসেছে, এর অর্থ শাসক (Administrator)। বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ (২০০৭ সালে সংশোধিত) ৪/ক ধারা অনুযায়ী, ম্যাজিস্ট্রেট বলতে শুধুমাত্র জুডিসিয়াল বা বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটকে বোঝায়।
২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদটি সৃষ্টি করা হয় বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের মাধ্যমে। এর ফলে জেলা প্রশাসকের সকল প্রকার বিচারিক ক্ষমতা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে দেয়া হয়।
নোটঃ ( ফৌজদারি কার্যবিধি ২০০৯ সালে সংশোধন করা হলেও এটিকে Retrospective Effect দিয়ে ২০০৭ সাল থেকে কার্যকর করা হয় )
ম্যাজিস্ট্রেট কত প্রকার ও কি কি ?
ম্যাজিস্ট্রেট বলতে সাধারণত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই দুই শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটদের কে বুঝায় । এছারাও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিশেষ ম্যাজিস্ট্রে নামে আরো পদ রয়েছে।
ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬ ধারা অনুসারে ২ শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে ।
- ক) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ( ৪ প্রকার )
- খ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
ক) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটঃ চার শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে । সরকার সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদ শর্তানুসারে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত বিধি অনুসারে জুডিশিয়াল সার্ভিসে নিযুক্ত ব্যক্তি দের মধ্য থেকে মহানগরীর বাইরের প্রত্যেক জেলায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং অন্যান্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে পারেন ।
- ০১) মেট্রোপলিটন এলাকায় চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ( সি, এম, এম, )
অন্যান্য এলাকায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ( সি, জি, এম )
- ০২) প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট ( মহানগর এলাকায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে গণ্য করা হয় ।
- ০৩) দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট ।
- ০৪) তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট ।
খ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটঃ ( Executive Magistrates ) ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১০ ধারা অনুসারে সরকার প্রত্যেক জেলায় বা মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রয়োজন অনুযায়ী যত জন দরকার তত সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিবেন । আর এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দের মধ্য থেকে একজনকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত করবেন ।
- সরকার যে কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করতে পারেন ।
- সরকার বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিস ( প্রশাসন ) এ নিয়োজিত যে কোন ব্যক্তিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন । উক্ত যে কোন সদস্য কে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর ক্ষমতা দিতে পারেন ।
- কোন জেলায় বা উপজেলায় সহকারী কমিশনার ( Assistant Commissioner ) AC , অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার ( Additional Deputy Commissioner ) ADC, বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে নিযুক্ত ব্যক্তি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে গণ্য হবেন ।
- সরকার মেট্রোপলিটন বা মহানগর এলাকার পুলিশ কমিশনার কে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর ক্ষমতা অর্পণ করতে পারেন ।
- বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট ( Special Magistrate ) ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১২ ধারা মোতাবেক সরকার মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে যে কোন এলাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর উপর অর্পিত ক্ষমতা অন্য যে কোন ব্যক্তির উপর অর্পণ করতে পারেন । তবে শর্ত থাকে যে, এরুপ কোন ক্ষমতা সহকারী পুলিশ সুপার এর ( ASP ) নিম্নের কোন পুলিশ অফিসারের উপর অর্পিত হবে না । যে ব্যক্তি বর্গ এর উপড় এরূপ ক্ষমটা অর্পিত হবে তারা বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে অভিহিত হবে ।
- কোন ব্যক্তিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর ক্ষমতা দেয়া হলে তাকে Special Executive Magistrate বলে ।
- কোন ম্যাজিস্ট্রেট কে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর ক্ষমতা দেয়া হলে তাকে Special Magistrate বলে ।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর পার্থক্য
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট | জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট | |
সংজ্ঞা | নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হলেন একজন সিভিল অফিসার যার কাছে আইন পরিচালনা ও প্রয়োগ করার ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া তার সীমিত বিচারিক ক্ষমতাও রয়েছে। | জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হল একজন ফৌজদারি আইন পরিচালনা ও প্রয়োগ করার সীমিত কর্তৃত্ব সহ একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা । |
প্রকার | জেলা প্রশাসক (ডি, সি ), অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (এ, ডি, সি ), উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউ, এ্ ও ), সহকারী কমিশনার (এ, সি )। | চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ( সি, জি, এম) অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ( সি, এ্ এম ) অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। |
যোগ্যতা | যে কোন বিষয় নিয়ে অনার্স/মাস্টার্স পাস হতে হবে। | অবশ্যই আইন বিষয়ে ডিগ্রি থাকতে হবে। |
নিয়োগ প্রক্রিয়া | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে বি,সি,এস (প্রশাসন) ক্যাডারে পাশ হতে হবে। | বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (BJS) পরীক্ষা দিয়ে পাশ হতে হবে। |
বেতন | বেতন স্কেল প্রাথমিক নবম গ্রেড ( মূল = ২২,০০০ টাকা)। | বেতন স্কেল প্রাথমিক ৬ষ্ঠ গ্রেড (মূল =৩০,৯৩৫ টাকা)। |
কার্যাবলী | নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম জনিত সমস্যস এবং মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন | ফৌজদারি অভিযোগ আমল, গ্রহণ ও বিচার করেন। এছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং অপরাধ দমন করার জন্য যেকোন আদেশ দিতে পারেন। |
ক্ষমতা | সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত অপরাধের বিচার করতে পারেন | মৃত্যুদন্ড দণ্ডিত ছাড়া সকল অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা অর্পণ করতে পারবে। |
পদবি | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) থেকে নিয়োগপ্রাপ্তদের পদ হলো সহকারী কমিশনার। একটি জেলার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক | চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পদমর্যাদা সচিব মর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের সমান। জেলার প্রধান ম্যাজিস্ট্রেট হচ্ছেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। |
ম্যাজিস্ট্রেটের এর কাজ কি
১. আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা।
২. সরকারের কাছে বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া।
৩. বিভাগীয় কমিশনার কে সমস্ত অফিসিয়াল কাজ অবহিত করা।
৪. বিভাগীয় কমিশনার অনুপস্থিতে যাবতীয় অফিসিয়াল দায়িত্ব পালন করা ।
৫. পুলিশ ও কারাগার পরিদর্শন করা।
ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতা :
১. ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধকারী কে গ্রেফতার করা ও এবং অপরাধকারীকে হেফাজতে রাখার ক্ষমতা। (ধারা ৬৪)
২. গ্রেফতার করার ক্ষমতা ও গ্রেফতারের জন্য পরোয়ানা জারি করতে পারবেন । (ধারা ৬৫)
৩. সরাসরি তল্লাশি করা ক্ষমতা। (ধারা ১০৫)
৪. ওয়ারেন্ট অনুমোদন করার ক্ষমতা, বা ওয়ারেন্ট ধারার অধীনে গ্রেপ্তার কৃত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপসারণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা। (ধারা ৮৩ ,৮৪, ৮৬)
৫. বেআইনের সমাবেশকে ছএ ভঙ্গ করে দেয়ার ক্ষমতা। (ধারা ১২৭)
৬. শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা প্রয়োজনের ক্ষমতা
ধারা। (১০৭)
৭. অভ্যাসকারী অপরাধীর কাছে থেকে ভালো আচরণ জামিন প্রদানের ক্ষমতা (ধারা ১২৬)
৮. বেআইনি সমাবেশ কে ছএ ভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করা।( ধারা১২৮)
ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার যোগ্যতা । ম্যাজিস্ট্রেট এর বেতন কত
০১) ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার যোগ্যতা
০২) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার যোগ্যতা
ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার যোগ্যতা নিচে আলোচনা করে গেল
ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার যোগ্যতা এবং ধাপসমূহ নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
০১) ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার যোগ্যতা
ম্যাজিস্ট্রেট বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার যোগ্যতা
শিক্ষাগত নূন্যতম যোগ্যতা:
- যে কোনো বিষয়ে আনার্স বা স্নাতক পাশ করতে হবে।
- স্নাতক পরীক্ষায় নূন্যতম দ্বিতীয় শ্রেণী থাকতে হবে।
- বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশাসনিক ক্যাডার পদে নির্বাচিত হতে হবে।
- সরকার কর্তৃক অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে বহাল হতে হবে।
০২) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার যোগ্যতা
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
- শিক্ষাগত নূন্যতম যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ বছর মেয়াদি আইন বিষয়ক যেকোন বিষয়ে পাশ হতে হবে অথবা এল.এল.বি ডিগ্রীধারী হতে হবে।
- গ্রেড: নূন্যতম দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতম ডিগ্রীধারী বা ৬০% মার্ক নিয়ে পাশ হতে হবে।
অন্যান্য যোগ্যতা:
- ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার শারীরিক যোগ্যতা: শারীরিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই তবে শারীরিকভাবে ফিট হতে হবে। এমন কোনো শারীরিক অক্ষমতা থাকা যাবেনা যার কারণে উক্ত পদের দায়িত্ব পালনে পতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতে পারে।
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে ।
- বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন কেউ স্ত্রী/স্বামী হলে অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদের নিয়োগ পক্রিয়া:
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের প্রবেশ পদ অর্থাৎ সহকারী জজ পদের নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যম সকলেই সহকারী জজ পদে নিয়োগ হয়ে থাকেন। পরবর্তীতে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রীম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ এবং পদন্নতি দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করে থাকেন এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক চূড়ান্তভাবে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
জুডিশিয়াল সার্ভিসের প্রবেশ পদের নিয়োগ পরীক্ষা তিনধাপে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
- প্রথমত ১০০ নম্বরের MCQ পরীক্ষা হয়।
- এরপর ১০০০ (এক হাজার) মার্কের লিখিত পরীক্ষা,
- সর্বশেষ ১০০ মার্কের মোখিক পরীক্ষার মধ্যদিয়ে চুরান্তভাবে প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার যোগ্যতা আপনি যদি ম্যাজিস্ট্রেট হতে চান
আপনি যদি ম্যাজিস্ট্রেট হতে চান তাহলে অবশ্যই জানতে হবে সেই ম্যাজিস্ট্রেট হতে হলে কি যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আপনার যদি ম্যাজিস্ট্রেট হবার যোগ্যতা জানা না থাকে তবে আপনি কোনোভাবে ম্যাজিস্ট্রেট হতে পারবেন না । আগে থেকেই জানুন কি কি যোগ্যতা অর্জন করলে আপনি একদিন ম্যাজিস্ট্রেট হতে পারবেন এবং নিজেকে সেই ভাবেই তৈরি করুতে থাকুন ।
ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার জন্য আপনাকে ন্যূনতম গ্রাজুয়েশন পাশ করতে হবে। গ্রাজুয়েশন পাশ করার পরে আপনাকে বিসিএস পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হবে এবং এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে আপনি ম্যাজিস্ট্রেট হতে পারবেন। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে বিসিএস ক্যাডার বা প্রশাসন এ উত্তীর্ণ হতে হবে ।
যারা বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয় তাদের জন্য নিয়োগ প্রাপ্তদের পদ রয়েছে সহকারি কমিশনার এবং ম্যাজিস্ট্রেট। সব মিলিয়ে ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ১০(৫) অনুযায়ী সরকার চাইলে প্রশাসনের ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সীমিত আকারে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করতে পারে।
একজন ম্যাজিস্ট্রেট পদোন্নতির মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনার, তারপরে মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব হন এবং অতিরিক্ত সচিব তার পরবর্তী পদ এবং সর্বোচ্চ পদে যিনি থাকবেন তাকে বলা হয় সচিব হন ।
ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার শারীরিক যোগ্যতা
ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার ক্ষেত্রে শারীরিক যোগ্যতাটার বেশি গুরুত্ব নয় । এখানে পড়ালেখার যোগ্যতা অনেক বেশী । শারীরিকভাবে তেমন কোন জটিল সমস্যা না থাকলে ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার ক্ষেত্রে কোন বাঁধা হয় না ।
এমন অনেক আছেন যারা শারীরিকভাবে একটু পিছিয়ে থেকেও পড়াশোনার দিক দিয়ে এবং নিজের যোগ্যতা দিক দিয়ে বেশ এগিয়ে রয়েছেন এবং তারা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত আছেন।
আপনি যদি বি,সি,এস ক্যাডার (প্রশাসনিক) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন তাহলে সেই যোগ্যতা দিয়েই আপনি ম্যাজিস্ট্রেট হতে পারবেন।এখানে অবশ্যই প্রশাসনিক ক্যাডার হতে হলে আপনার শারীরিক যে যোগ্যতার প্রয়োজন পড়বে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষেত্রেও একই শারীরিক যোগ্যতার প্রয়োজন পড়বে।
আপনি এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে পারেন । সব বিবেচনা করে ম্যাজিস্ট্রেট পদবি সমাজের একটি সম্মান জনক স্থান দখল করে আছে । পড়াশোনায় মনোযোগ দিন । এখন থেকে শপথ নিন দেখবেন আপনি একজন গর্বিত ম্যাজিস্ট্রেট হতে পেরেছেন । ধন্যবাদ ভাল থাকবেন ।