উচ্চ রক্তচাপ কি ? What Is High Blood Pressure ?
উচ্চ রক্তচাপ হল রক্তের একটি সাধারনের চেয়ে বাড়তি গতির অবস্থা যা শরীরের ধমনীকে প্রভাবিত করে থাকে। একে হাইপারটেনশনও বলা হয়।
আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তাহলে ধমনীর দেয়ালের বিরুদ্ধে রক্তের ধাক্কা লাগার শক্তি ধারাবাহিকভাবে খুব বেশি হবে।
উচ্চ রক্তচাপ এর ফলে রক্ত পাম্প করার জন্য হার্টকে স্বাভাবিক এর চেয়ে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়।
রক্তচাপ পারদের মিলিমিটারে পরিমাপ করা হয় (মিমি Hg)। সাধারণভাবে, উচ্চ রক্তচাপ হল রক্তচাপ ১৩০ থেকে ৮০ mm Hg বা তার বেশি।
স্বাভাবিক রক্তচাপ কাকে বলে? What is normal blood pressure?
পারদস্তম্ভের মিলিমিটারের এককে (mmHg) রক্তচাপ পরিমাপ করা হয়। সাধারণত ১২০ থেকে ৮০ mmHg এর চেয়ে কম রক্তচাপকে স্বাভাবিক বলা হয়, যেখানে ১২০ সিস্টোলিক এবং ৮০ ডায়াস্টলিক রক্তচাপ বিরাজ করে ।
উচ্চ রক্তচাপ কত প্রকার ? What are the types of high blood pressure?
আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি এবং আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন রক্তচাপকে চারটি সাধারণ বিভাগে ভাগ করেছেন । আদর্শ রক্তচাপ স্বাভাবিক হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।
- স্বাভাবিক রক্তচাপ। রক্তচাপ ১২০ থেকে ৮০ mm Hg বা কম।
- উচ্চ রক্তচাপ। উপরের সংখ্যাটি ১২০ থেকে ১২৯ mm Hg পর্যন্ত এবং নীচের সংখ্যাটি নীচে, উপরে নয়, ৮০ mm Hg৷
- পর্যায় ১ উচ্চ রক্তচাপ। উপরের সংখ্যাটি ১৩০ থেকে ১৩৯ mm Hg বা নীচের সংখ্যাটি ৮০ থেকে ৮৯ mm Hg এর মধ্যে।
- পর্যায় ২ উচ্চ রক্তচাপ। উপরের সংখ্যাটি ১৪০ mm Hg বা তার বেশি বা নীচের সংখ্যাটি ৯০ mm Hg বা তার বেশি৷
উচ্চ রক্তচাপ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে । তার মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের দুটি প্রধান প্রকার রয়েছে:
- প্রাথমিক এবং
- মাধ্যমিক উচ্চ রক্তচাপ।
০১। প্রাথমিক উচ্চ রক্তচাপঃ-
প্রাথমিক উচ্চ রক্তচাপ হল উচ্চ রক্তচাপের সাধারণ ধরন। বেশিরভাগ লোকেরা এই ধরনের রক্তচাপ সমস্যায় থাকেন , এটি সময়ের সাথে সাথে এবং আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিকাশ লাভ করে।
সাধারণত প্রাথমিক উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনো উপসর্গ থাকে না ।এই ধরনের রক্তচাপ একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নির্ণয় করতে পারেন ।
ঘন ঘন মাথাব্যথা, ক্লান্তি অনুভব করা , মাথা ঘোরা বা নাক দিয়ে রক্তপাত অনুভব করা। যদিও এসব কারন অজানা ।
গবেষকরা জানতে পারেন যে স্থূলতা, ধূমপান, অ্যালকোহল, খাদ্য এবং বংশগতি সবই অপরিহার্য উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে থাকে।
০২। মাধ্যমিক উচ্চ রক্তচাপ।
মাধ্যমিক উচ্চ রক্তচাপ বা সেকেন্ডারি হাই ব্লাড প্রেসার অন্য একটি মেডিকেল অবস্থা । এই ষ্টেজে রক্ত প্রবাহের অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায় ।
সেকেন্ডারি হাইপারটেনশনের সবচেয়ে সাধারণ একটি কারণ হল কিডনির রক্ত সরবরাহকারী ধমনীতে এক ধরনের অস্বাভাবিকতা।
- অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে
- ঘুমের সময় শ্বাসনালীতে বাধা,
- অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির রোগ এবং টিউমার,
- হরমোনের অস্বাভাবিকতা,
- থাইরয়েড রোগ
খাবারে অত্যধিক লবণ বা অ্যালকোহল জাতীয় খাবার এর কারনে এই রোগ দেখা দিতে পারে। কিচু কিছু ওষুধও সেকেন্ডারি হাইপারটেনশনের কারণ হতে পারে,
তবে সব চেয়ে একটি সুসংবাদ হল রক্তের এই উচ্চ চাপের কারণটি খুঁজে পাওয়া গেলে, উচ্চ রক্তচাপ প্রায়ই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
উচ্চ রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেশার এর চার্ট দেখে আপনার অবস্থা জেনে নিতে পারেন
শীর্ষ সংখ্যা (সিস্টোলিক) mm Hg | নীচের সংখ্যা (ডায়াস্টোলিক) mm Hg | রক্তচাপের বিভাগ | করনীয় |
১২০ এর নীচে | ৮০ এর ণীচে | স্বাভাবিক রক্তচাপ | একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখুন । |
১২০ থেকে ১২৯ | ৮০ এর ণীচে | উচ্চ রক্তচাপ | একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখুন । |
১৩০ থেকে ১৩৯ | ৮০ থেকে ৮৯ | পর্যায় ১ উচ্চ রক্তচাপ (উচ্চ রক্তচাপ) | একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখুন বা গ্রহণ করুন। একাধিক ঔষধ গ্রহণের বিষয়ে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। |
১৪০ এর উপরে | ৯০ এর উপরে | পর্যায় ২ উচ্চ রক্তচাপ (উচ্চ রক্তচাপ) | কটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখুন বা গ্রহণ করুন। একাধিক ঔষধ গ্রহণের বিষয়ে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। |
সূত্র: আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি; আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন
উচ্চ রক্ত চাপ কেন হয় ?
মাংস, মাখন বা তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত কোলেস্টোরেল যুক্ত খাবার খাওয়ার কারণেও রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। কারণ, রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টোরেল রক্তনালীর দেয়াল মোটা ও শক্ত করে ফেলে। এর ফলেও উচ্চ রক্তচাপ দেখা যেতে পারে
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণসমূহ . Symptoms of high blood pressure
উচ্চ রক্তচাপের একেবারে সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ দেখা যায় না বা বুঝা যায় না । সাধারণ কিছু লক্ষণ এর মাধ্যমে কিছুটা বুঝা যেতে পারে । এর মধ্যে রয়েছে:-
- মাঝে মাঝে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করা, মাথা গরম হয়ে যাওয়া এবং মাথা ঘোরানো
- ঘাড় ব্যথা করা
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
- অল্পতেই রেগে যাওয়া বা অস্থির হয়ে শরীর কাঁপতে থাকা
- রাতে ভালো ঘুম না হওয়া
- মাঝে মাঝে কানে শব্দ হওয়া
- অনেক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলা
এসব লক্ষণ দেখা দিলে নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া বা জীবন যাত্রার পরিবর্তন এর মাধ্যমে সঠিক ভাবে চিকিৎসা করা ও মেনে চলা ।
রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার কারণ সমূহ । Causes of high blood pressure
উচ্চ রক্তচাপ এর নির্দিষ্ট কারন অনেক সময় চিহ্নিত করা যায় না।বিভিন্ন কারণে উচ্চ রক্তচাপ এর সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার কারণ সমূহের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলঃ-
- ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়া ।
- খাবারে অতিরিক্ত লবণ এবং কাঁচা লবন খাওয়া ।
- খাবারের তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল না রাখা ।
- অতিরিক্ত পরিমাণে মদপান বা এলকোহল জাতীয় পানীয় পান করা ।
- অতিরিক্ত চা-কফি, কোমল পানীয় ও অন্যান্য ক্যাফেইন-জাতীয় পানীয় পানের অভ্যাস
- পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম না করা
- তামাক বা ধূমপান করা ।
- রাতে একটানা ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার চেয়ে কম ঘুমানো ।
- বয়স পঁয়ষট্টি বছরের ঊর্ধ্বে হওয়া ।
- পরিবারে বা নিকট আত্মীয়দের হাই ব্লাড প্রেশার থাকা ।
উচ্চ রক্তচাপ কেন হয় ? Why is high blood pressure?
উচ্চ রক্তচাপ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে । তবে ৯০% ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ কেন হয় ? তার কোন যথেষ্ট কারন খুজে পাওয়া যায় নাই ।
উচ্চ রক্তচাপ অনেক সময় বংশগত কারণেও হয়ে থাকে। আবার নানা রকম বদঅভ্যাসের কারণেও উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকে।
অধিকাংশ সময় রক্তচাপটা স্বাভাবিক মাত্রার ভেতরই থাকে। সাধারণত বয়স যত কম, রক্তচাপও তত কম হয়।
যদি কারো রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি হয় এবং অধিকাংশ সময় এমনকি বিশ্রামকালীনও বেশি থাকে, তবে ধরে নিতে হবে, তিনি উচ্চ রক্তচাপের রোগী।
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি Risk of high blood pressure
রক্তচাপ সাধারণত ১২০ থেকে ৮০ বা ১৪০ থেকে ৯০ এর মাঝা মাঝি থাকলে ভবিষ্যতে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি অনেক ক্ষেত্রে বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সময়মতো যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এই ঝুঁকি রয়ে যায়, এমনকি তা দিন দিন বাড়তে থাকে।
রক্তচাপ স্বাভাবিকের তুলনায় অত্যধিক বেড়ে গেলে তা রোগীর রক্তনালী, হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, কিডনি ও চোখের মত অঙ্গে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
উচ্চ রক্তচাপ একটি জটিল সমস্যা। এটি বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে। বিশেষ করে হৃদপিণ্ড, যকৃত, চোখ ও কিডনি ঝুঁকিতে থাকে হাই প্রেশারে।
রক্তচাপ একটানা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে মারাত্মক ও প্রাণঘাতী কিছু রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যেমনঃ-
- হৃদরোগ ( Heart Disease )
- হার্ট অ্যাটাক
- স্ট্রোক
- হার্ট ফেইলিউর (Heart Failure)
- কিডনির সমস্যা
- পায়ে রক্ত চলাচল কমে যাওয়া (Peripheral Artery Disease)। ফলস্বরূপ গ্যাংগ্রিন বা পচা ঘা হতে পারে।
- অ্যাওর্টা নামক দেহের বৃহত্তম ধমনীর রোগ (Aortic Aneurysms)
- মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট ডিমেনশিয়া (Vascular Dementia)
কখন ডাক্তারের সাথে দেখা করবেন ? When to see the doctor?
আপনার যদি মাধ্যমিক উচ্চ রক্তচাপ পর্যায়ে থাকে তবে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য আপনাকে একজন রক্তচাপ বিশেষজ্ঞ বা মেডিসিন স্পেশালিষ্ট এর শরণাপন্ন হতে হবে ।
তাছাড়া যারা রক্তচাপ নিয়ে সমস্যা ফিল করেন তাদেরও উচিত ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হওয়া । আপনি কোন ষ্টেজে আছেন । এবং আপনার কি কি করনীয় এবং কি কি করনীয় নয় ।
জীবন যাত্রার পরিবর্তন, এবং সুষম সঠিক খাদ্য গ্রহন ও সঠিক শারীরিক শ্রম এর মাধ্যমে অনেক সময় রক্তচাপ কমিয়ে আনা সম্ভব ।
রক্তচাপ বা প্রেসার মাপার সঠিক নিয়ম Correct rules for blood pressure measurement
যারা উচ্চ রক্তচাপ বা হাই-প্রেসারে ভুগছেন, তাদের নিয়মিত রক্তচাপ মাপা জরুরি। সাধারণত চল্লিশোর্ধ সুস্থ ব্যক্তিদের প্রতি এক থেকে পাঁচ বছরে অন্তত এক বার রক্তচাপ মেপে দেখার পরামর্শ দেয়া হোয়ে থাকে ।
আবার যাদের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে তাদের বছরে অন্তত একবার সঠিক নিয়মে রক্তচাপ মেপে দেখা উচিত।
রক্তচাপ পর্যবেক্ষণে রাখার মাধ্যমে এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে সহজেই বিভিন্ন মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা ও মৃত্যুঝুঁকি এড়িয়ে চলা সম্ভব।
রক্তচাপ মাপার আগে আমাদের যা যা করনীয় Everything we need to do before measuring blood pressure
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা টেনশন রক্তচাপকে প্রভাবিত করে থাকে। এর জন্য পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে সকালে কোনো কাজে যোগ দেবার আগেই রক্তচাপ মাপা উচিত।
- সঠিক ভাবে মনিটরের কাফ বেঁধে সঠিক রিডিং নিতে হবে। সঠিক রিডিং পেতে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ এর অধীনে রক্তচাপ মেপে নিতে হবে ।
- রক্তচাপ পরিমাপের এক ঘণ্টা পূর্বে যে কোন কোনো শারীরিক পরিশ্রম, ব্যায়াম বা খেলাধুলা করা যাবে না।
- রক্তচাপ মাপার আগে কমপক্ষে ১০ মিনিট বিশ্রাম নিতে হবে ধীর স্থির থাকতে হবে ।
- চা , কফি, বা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পান করে অথবা ধূমপান করে রক্তচাপ মাপা যাবে না।
- রক্তচাপ মাপার আগে প্রস্রাব করে নিতে হবে ।
- রক্তচাপ মাপার সময় শরীর বা যন্ত্র নড়াচড়া করা যাবে না ।
রক্তচাপ যেভাবে মাপা উচিত How blood pressure should be measured
- ১) রক্তচাপ সাধারনত হাতে মাপা হয় । রক্তচাপ মাপার সময় হাত কোন উচ্চতায় রাখবেন, এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। হৃদযন্ত্রের উচ্চতায় হাত রেখে রক্ত চাপ মাপা উচিত বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করে থাকেন ।
- ২) রক্তচাপ মাপার সময় আপনি শুয়ে থাকবেন , নাকি দাঁড়িয়ে মাপ দিবেন ? ডাক্তার রা অনেক সময় শুয়ে থাকা অবস্থায় মাপ নিয়ে থাকে । এতে শরীরের রক্তচাপ এর একটি সমান্তরাল ভাব দেখতে পাওয়া যায় । আবার অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকলে পায়ের দিকে রক্তের গতি বেড়ে যায়। ফলে শরীরের উপরের ভাগে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।তাই একেবারে দাড়িয়ে না মাপাই ভাল ।
- ৩) দুই হাত থেকে রক্তচাপ মাপলে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা দেখাতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে বাম হাত থেকে রক্তচাপ মাপা হলে, রক্তচাপ তুলনামূলক বেশি আসে।
রক্তচাপ মেপে দেখার প্রক্রিয়াটি আপনার কাছে যদি জটিল মনে হয় । আপনি কিভাবে রক্তচাপ মাপবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিও থেকে সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপার পদ্ধতি জেনে নিতে পারেন।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় কি
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় Ways to reduce high blood pressure quickly
উচ্চ রক্তচাপ কি
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর খাবার
উচ্চ রক্তচাপ কাকে বলে
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ব্যায়াম
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষন ও কারন
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর সহজ উপায়
উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর পর্বঃ-
Some questions and answers related to high blood pressure:-
০১) প্রশ্নঃ- স্বাভাবিক রক্তচাপ বলতে আমরা সাধারণত কি বুঝি ?
উত্তরঃ সিস্টোলিক ১২০ এর নিচে এবং ডায়াস্টোলিক ৮০ এর নিচে থাকলে স্বাভাবিক রক্তচাপ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।
০২) প্রশ্নঃ- আমার রক্তচাপ ১৫০ থেকে ৯০ হলে আমার কী করা উচিত?
উত্তরঃ অবশ্যই একজন একজন ডাক্তারকে কল করুন অথবা নিকটবর্তী হাসপাতালে যোগাযোগ করুন ।
- বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং যেকোনো প্রশ্ন করুতেঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বিডি নিউজ ওয়াল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বিডি নিউজ ওয়াল সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বিডি নিউজ ওয়াল সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- বিডি নিউজ ওয়াল এর সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন এই সাইট।
অনুরোধ
আশা করি আমাদের এই লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে । যদি আমরা আপনার সামান্য উপকারে আসি তবে আমাদের এই লেখাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন । অথবা লাইক ,কমেন্ট করে আমাদের সাথে থাকুন । আমরা আরও লেখা নিয়ে হাজির হব ইনশাল্লাহ । আপনার কোন মূল্যবান মতামত অথবা কিছু জানার আগ্রহ থাকলে আমাদের জানাতে পারেন । আমরা অবশ্যই উত্তর দিতে সচেষ্ট থাকবো । আপনার মূল্যবান কোন লেখা আমাদের বিডি নিউজ ওয়ালে পোস্ট করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ