ঢাকা কলেজ এক নামেই যার পরিচিতি ।ভাল একটি কলেজে কে না ভর্তি হতে চায় ! আর সেটা যদি হয় ঢাকার ভিতর তা হলে তো কথাই নেই । আজ আমরা আলোচনা করব সরকারি ঢাকা কলেজে ভর্তি ও এর নিয়ম কানুন এর বিস্তারিত ।
ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী । আর এই রাজধানীর নামের সাথে মিল রেখে কলেজের নাম হল ঢাকা কলেজ । প্রাচীন বিদ্যাপীঠ হিসেবে ঢাকা কলেজের নাম সবার জানা । এই কলেজ টি সরকারী বিধায় এর নামের আগে সরকারি বসালে সরকারি ঢাকা কলেজে (Govt Dhaka College)হিসেবেও অনেকে বলে থাকে ।
সরকারি ঢাকা কলেজ ভর্তি ও এর নিয়ম কানুনঃ-
এমন অনেকে আছেন যারা ঢাকা কলেজে পড়তে আগ্রহী , কিন্তু এই কলেজে ভর্তি হওয়ার নিয়ম কানুন সম্পর্কে ধারনা নেই।আজ আমরা এই ব্যাপারে ১০০% সঠিক তথ্য দিব । আমাদের আগে অন্য কেউ এত সুন্দর ভাবে ঢাকা কলেজ সম্পর্কে সঠিক তথ্য বা ইনফরমেশন দিয়ে সাহায্য করে নাই ।
এত সুন্দর ভাবে আমাদের মত করে কেউ আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে পারবে না । সম্পূর্ণ লেখা টি মনোযোগ সহ কারে পড়ুন ।
আশা করি আমাদের লেখা এই লেখা গুলো শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে বার বার পড়তে থাকলে ঢাকা কলেজে ভর্তি হবার জন্য আর কোন সমস্যা হবে না । অন্য কোথাও থেকে আপনার আর সাহায্য নিতে হবে না ইনশাল্লাহ ।
সরকারি ঢাকা কলেজে ভর্তি ও এর নিয়ম কানুন জানার আগে আমরা জেনে নিব এই কলেজের আদ্যোপান্ত । আজকে আলোচনায় যা থাকছে আমরা এক নজরে দেখে নিতে পারিঃ-
- বিডিনিউজ ওয়াল এর পক্ষ থেকে সবাই কে স্বাগতম ।
ঢাকা কলেজ পরিচিতি Information Of Dhaka College
- ঢাকা কলেজের ইতিহাস
- সরকারি ঢাকা কলেজের অবস্থান
- সরকারি ঢাকা কলেজের পরিচিতি
- সরকারি ঢাকা কলেজের অবস্থান
- সরকারি ঢাকা কলেজের পরিবেশ
ঢাকা কলেজ এ ভর্তি ও নিয়ম কানুন
- সরকারি ঢাকা কলেজে কি মাধ্যমে পড়ানো হয়
- সরকারি ঢাকা কলেজ ড্রেস কোড কি
- সরকারি ঢাকা কলেজের বিগত দিনের রেজাল্ট
- সরকারি ঢাকা কলেজে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও নিয়ম কানুন
- ঢাকা কলেজে আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা / আসন সংখ্যা / আবেদন
- ঢাকা কলেজে কোটা ও কত পেলে চান্স পাবে
ঢাকা কলেজ এ পড়াশুনা থাকা খাওয়া খরচ
- ঢাকা কলেজে যাতায়াত বা পরিবহন
- সরকারি ঢাকা কলেজের আবাসিক ছাত্রাবাস
- ঢাকা কলেজে ভর্তি ও মাসিক/ বাৎসরিক খরচের একটি ধারনা
বর্তমান ঢাকা কলেজ
বর্তমানের ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের একটি শীর্ষ ও ঐতিহ্যবাহী কলেজ হিসেবে পরিচিত । এই কলেজের সুনাম এক দিনে হয়ে উঠে নাই । সেই শুরু থেকে আজ আবধি এর সুনাম ও ঐতিহ্য এখনো অক্ষুন্ন রয়েছে । অনেক নাম করা ব্যাক্তি বর্গ এই কলেজে লেখাপড়া করেছেন ।
এই কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত । বর্তমানে এখানকার পড়ালেখার পরিবেশ খুব উন্নত । ঢাকা কলেজ ঢাকার প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত । এই কলেজ টি বাংলাদেশের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রদান করে। এই কলেজে অনার্স এবং মাস্টার্স প্রোগ্রাম রয়েছে যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।
এক নজরে সরকারী ঢাকা কলেজ এর বিস্তারিত
নাম | বিবরন |
কলেজের নাম | ঢাকা কলেজ |
নীতিবাক্য | নিজেকে জানো |
ধরন | সরকারি |
স্থাপিত | ১৮৪১ |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ২০০+ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৫০+ |
শিক্ষার্থী | ২৫০০০+ |
স্নাতক | বি.এ, বি.বি.এ, বি.এস.সি |
স্নাতকোত্তর | এমএ, এমবিএ, এমএসসি |
অধিভুক্তি | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) |
সময়সূচী
শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া শনি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২:৩০টা পর্যন্ত ক্লাশ চলে।
ঢাকা কলেজ এর ইতিহাস
১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২০ই নভেম্বর তারিখে উপমহাদেশের প্রথম আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেব ঢাকা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।। ১৮৩৫ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য লর্ড ম্যাকলের ‘মিনিট অন এডুকেশন’ এ প্রস্তাব রাখা হয় ।
এর ফলশ্রুতিতে ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিক ‘ইন্ডিয়ান এডুকেশন অ্যাক্ট’ প্রস্তাব করেন। এই অ্যাক্টের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ‘জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন’ এর প্রস্তাবে সমগ্র বাংলার প্রথম সরকারি স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকায়।
- স্কুলটি পরিচিত ছিল ’ইংলিশ সেমিনারি’ নামে। এই বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে ঢাকা হয়ে ওঠে আধুনিক শিক্ষা বিস্তারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
- ১৮৪০ সালে জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন গভর্নর জেনারেলের নিকট ঢাকায় একটি কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব করেন।
- প্রস্তাব অনুমোদিত হয় এবং ১৮৪১ সালের ২০ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ’ তথা ঢাকা কলেজ।
- ইংলিশ সেমিনারি স্কুল (বর্তমানে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল) ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৩টি কক্ষ নিয়ে উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজের যাত্রা শুরু হয়।
- ১৯৪৬ সালে ভবনের নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয় এবং ঐ বছরের ২৫ মে ছাত্ররা নতুন ভবনে তাদের নতুন শিক্ষা জীবন শুরু করে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং হিন্দু কলেজের শিক্ষক জে. আয়ারল্যান্ডকে প্রথম প্রিন্সিপাল নিযুক্ত করা হয়। যাত্রালগ্ন থেকেই পূর্ববঙ্গের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেয়ায় এখন পর্যন্ত ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
- নতুন শিক্ষানীতির কারণে ১৮৫৪ সাল থেকে ঢাকা কলেজের মেধাবী ছাত্ররা সমগ্র ভারতের একমাত্র চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় কলকাতা মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পায় এবং ১৮৫৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরই ঢাকা কলেজকে এর অধিভুক্ত করে নেওয়া হয়।
- প্রথম বছরেই বি.এ. পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ঢাকা কলেজ থেকে ৪ জন ছাত্রকে প্রেরণ করা হয়- যদিও একজন ছাত্র এ পরীক্ষায় অংশ নেন যার নাম দীননাথ সেন।
- ১৮৭৫ সালে ঢাকা কলেজে প্রতিষ্ঠা করা হয় স্বতন্ত্র বিজ্ঞান ভবন।
অতঃপর দর্শন, ইতিহাস, সাহিত্য, গণিত, আইন ও বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে ঢাকা কলেজ হয়ে ওঠে পূর্ববঙ্গের আধুনিক শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র-যা অব্যাহত থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা অর্থাৎ ১৯২১ সাল অবধি।
১৯০৩ সালে ঢাকা কলেজের জন্য অবকাঠামো বিষয়ে নতুন পরিকল্পনা করা হয় এবং ১৯০৪ সালে জমি অধিগ্রহণ করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
- ১৯০৮ সালে ঢাকা কলেজ স্থানান্তরিত হয় কার্জন হল ও সংশ্লিষ্ট কয়েকটি অট্টালিকায়। এখানেই স্বতন্ত্র বিজ্ঞান ভবন, ছাত্রদের জন্য ঢাকা কলেজ হোস্টেল (প্রথমে ঢাকা হল নামে এবং বর্তমানে শহীদুল্লাহ হল নামে পরিচিত), অধ্যাপকদের জন্য চারটি বাসভবনসহ মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে ঢাকা কলেজ রূপান্তরিত হয় একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক কলেজে।
- ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন-প্রদীপ জ্বালাতে ঢাকা কলেজের যে মহিমাময় ত্যাগ ও অবদান ইতিহাসে তা বিরল।
- ঢাকা কলেজের সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী, বিভিন্ন ভবন, পাঠাগার, বিজ্ঞানাগার, বই-পুস্তক ইত্যাদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করা হয় বলেই ১৯২১ সালের ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় তার একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে পারে।
ঢাকা কলেজের ইতিহাস এর সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর নাম জড়িত
- কলেজের বিপুল পরিমাণ জমি ও ক্যাম্পাস, হোস্টেলসহ অন্যান্য অবকাঠামো, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, মেধাবী ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ করা বিভিন্ন বৃত্তি ইত্যাদিও হস্তান্তর করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে।
ঢাকা কলেজের নতুন ক্যাম্পাস নির্দিষ্ট হয় পুরোনো হাইকোর্ট ভবনে। এখানে একটি কথা উল্লেখ্য, আজকের প্রজন্মের অনেকেই জিজ্ঞেস করেন, কার্জন হলের পূর্ব পাশের সড়কটি কেন কলেজ রোড নামে পরিচিত, কারণ এ সড়কটির নামকরণ করা হয়েছিল তখন, যখন কার্জন হল ছিল ঢাকা কলেজ নামে ।
- ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আহত সৈনিকদের পুনর্বাসনের জন্য হাইকোর্টের কলেজ ভবনটি ছেড়ে দিতে হয়। তখন কলেজটি লক্ষীবাজারে অবস্থিত ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজে (বর্তমান সরকারি কবি নজরুল কলেজ) স্থানান্তর হয়।
- পরবর্তীকালে লক্ষীবাজার থেকে সিদ্দিক বাজারে অবস্থিত মরহুম খান বাহাদুর আব্দুল হাই এর একটি ব্যক্তিগত ভবনে কলেজের দাপ্তরিক ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এছাড়া কয়েকটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে কলেজের হোস্টেল তৈরি করা হয়।
- ১৯৫৫ সালে বর্তমান ক্যাম্পাসে নতুন অবকাঠামোয় নতুনরূপে শুরু হয় ঢাকা কলেজের অভিযাত্রা।
- নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এক অপার লীলাভূমি ঢাকা কলেজ ১৮.৫৭ একর জমির উপর অবস্থিত।
এই ছিল সবার সেরা কলেজ ঢাকা কলেজের ইতিহাস
আরও জানতে পড়তে পাড়েন
সরকারি বিজ্ঞান কলেজ এ ভর্তি হবার নিয়ম কানুন |
ঢাকা কলেজ এর অবস্থান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর নিকট এবং ঢাকা নিউ মার্কেট এলাকার পাশে অবস্থিত এই ঢাকা কলেজ টি । এর সামনের রাস্তা টি মিরপুর রোড নামে পরিচিত । এই কলেজের উত্তর দিকে ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা । দক্ষিনে নিউ মার্কেট ও আজিম পুর এবং পশ্চিমে বি জি বি ( বি ডি আর) সদর দফতর আবস্থিত ।
- সরকারি ঢাকা কলেজের পরিবেশ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপার লীলাভূমি ঢাকা কলেজ । ইট পাথরের দেয়ালে ঘেরা এই ঢাকা শহরের মধ্যে ঢাকা কলেজে পা রাখলে বুঝাই যাবে এর মনোরম পরিবেশ কতটা সুন্দর । একেবারে আলাদা গাছ পালা পরিবেষ্টিত একটি নৈসর্গিক এলাকা মনে হবে ।
ঢাকা কলেজ টি ১৮.৫৭ একর জমির উপর অবস্থিত। বিশাল আয়তনের এই কলেজ টি তে সুন্দর পরিবেশ এর সাথে যে সব জিনিস লক্ষণীয় সেগুলো হলঃ-
- এর সম্মুখভাগে রয়েছে সুদৃশ্য বাগান, লন টেনিস ও বাস্কেটবল খেলার মাঠ।
- পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে ৮টি ছাত্রাবাস ও মসজিদ।
- কলেজের মূল ভবনের পেছনে এবং ছাত্রাবাসের সম্মুখে রয়েছে ২টি বিশাল খেলার মাঠ ও একটি পুকুর।
- পুকুরের পাড়ে কলেজের ক্যান্টিন ও জিমনেসিয়াম।
- পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তে অর্থাৎ প্রধান গেটের সামনেই শহিদ মিনার, আইসিটি ভবন, উদ্ভিদবিদ্যা ভবন, অধ্যক্ষের বাসভবন ও শিক্ষকদের জন্য একটি আবাসিক ভবন।
- এছাড়া শহীদ মিনারের পাশেই সদ্য নির্মিত হয়েছে একটি ১০ তলা একাডেমিক ভবন।
ঢাকা কলেজ এ ভর্তি প্রক্রিয়া
- ঢাকা কলেজে অনার্স এবং মাস্টার্স পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে
ঢাক কলেজে ভর্তি পরীক্ষার সব কার্যাবলী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম অনুসারে পরিচালিত হয়ে থাকে । কলেজে ভর্তি হবার যোগ্যতা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর মান অনুযায়ী নির্ধারিত হয়ে থাকে।
ঢাকা কলেজে ভর্তির ফরম কলেজ শাখায় পাওয়া যায় । এছাড়াও অনলাইনেও এই ফরম পাওয়া যায়। ফরম ফিলাপ শেষে কলেজ অফিসে ফরম জমা দিতে হয়।
ভর্তির ফরম মূল্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত হয়ে থাকে। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল কলেজের নোটিশবোর্ড এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়।
ভর্তির খরচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করে। ভর্তির সময় সাধারণত তিন থেকে চার হাজার টাকা লাগে। কলেজের মূল ভবনে অবস্থিত প্রশাসনিক অফিস থেকে ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়।
ঢাকা কলেজে এইচ এস সি-তে ভর্তি
সরকারী সব কলেজের এইচ এস সি ভর্তি প্রক্রিয়া শিক্ষাবোর্ড কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ঢাকা কলেজ এর বাহিরে নয় ।
টেলিটক মোবাইল ফোন অপারেটর এর এস এম এস (SMS) ব্যবস্থার মাধ্যমে ভর্তি ইচ্ছুক কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হয়। এখন আর কোন ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয় না। ভর্তি বিগত বোর্ড পরীক্ষার মার্ক এর উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে ।
- কোটায় আবেদনঃ- ভর্তির জন্য নির্ধারিত কোটা নির্বাচন করা হয়।
ভর্তি হবার জন্য যোগ্যতা নির্ধারণ পদ্ধতিঃ
নিম্নে উল্লিখিত জিপিএ (GPA) প্রাপ্ত ছাত্ররা ভর্তির আবেদনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।
আবেদনের জন্য ন্যূনতম জিপিএ
শাখা পরিবর্তন করে আবেদনের জন্য ন্যূনতম জিপিএ
ক) বিজ্ঞান শাখা : ৫.০০ | ক) বিজ্ঞান শাখা হতে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায়/মানবিক শাখায় : ৪.৮৮ |
খ) ব্যবসায় শিক্ষা শাখা : ৪.৫০ | খ) ব্যবসায় শিক্ষা হতে মানবিক শাখায় : ৪.২৫ |
গ) মানবিক শাখা : ৩.৫০ | গ) মানবিক শাখা হতে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় : ৪.২৫ |
ভর্তির আবেদন SMS এর মাধ্যমে শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল থেকে করা যাবে।
- ঢাকা কলেজ এর ইআইএন নাম্বার ১০৭৯৭৭
ভর্তির আবেদনের যাবতীয় তথ্য ও নিয়মাবলী ঢাকা কলেজ ওয়েব সাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
ভর্তি কোটা
- এটি কেবল ছেলেদের কলেজ হওয়ায় মেয়েদের ভর্তির সুযোগ নেই।
- মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও পোষ্য, প্রতিবন্ধী ও খেলোয়াড়দের জন্য বিশেষ কোটা থাকে।
ঢাকা কলেজ এ ভর্তির যোগ্যতাঃ-
- একাদশ শ্রেণিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য নূন্যতম কি যোগ্যতা থাকা লাগবে ?
আবেদনের করার জন্য নিম্নে উল্লেখিত বিভাগ অনুসারে ন্যূনতম ভাবে জিপিএ প্রাপ্ত ছাত্র যারা রয়েছে তারা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে বা আবেদন করার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে ।
ঢাকা কলেজে ভর্তি হবার জন্য মানবিক শাখায় যারা রয়েছে তাদের জন্য
- এস এস সি সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ থাকা লাগবে ৪.৫০।
ঢাকা কলেজে ভর্তি হবার জন্য বিজ্ঞান বিভাগে যারা রয়েছে তাদের জন্য
- এস এস সি সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫,০০ (৪র্থ বিষয়সহ) পয়েন্ট থাকতে হবে ।
ঢাকা কলেজে ভর্তি হবার জন্য ব্যবসা শিক্ষায় যারা রয়েছে তাদের জন্য
- এস এস সি সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৪.৭৫ অবশ্যই থাকতে হবে।
ঢাকা কলেজে ভর্তি হতে পয়েন্ট তালিকা এক নজরে দেখে নেয়া যাক
মানবিক শাখায় | জিপিএ ৪.৫০ |
বিজ্ঞান | জিপিএ ৫,০০ |
ব্যবসা | জিপিএ ৪.৭৫ |
ভর্তির সময় যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হয়
- এইচএসসিতে ভর্তির ক্ষেত্রে
ক. এসএসসি এর মূল সনদপত্র, মূল নম্বরপত্র, প্রবেশপত্র, রেজিষ্ট্রেশন কার্ড।
খ. চারিত্রিক সনদপত্র ইত্যাদি।
- অনার্স ভর্তির ক্ষেত্রে
ক. এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি এর মূল সনদপত্র, মূল নম্বরপত্র, রেজিষ্ট্রেশন কার্ড।
খ. ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র।
গ. আয়ের সনদপত্র।
ঘ. মেরিট পজিশন/পরীক্ষার রোল/মনোয়নপত্র।
ঙ. চারিত্রিক সনদপত্র।
http://www.online-dhaka.com/105_108_5235_0-dhaka-college-dhaka.html
ঢাকা কলেজে ভর্তির যোগ্যতা
- কারা এই ঢাকা কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে ?
ঢাকা সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা আর মানবিক শাখায় যে কোনো শিক্ষা বোর্ড হতে এস এস সি অথবা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী যারা রয়েছে তারা আবেদন করতে পারবে।
ঢাকা কলেজ এ আসন সংখ্যা
- ঢাকা সরকারি কলেজে কোন বিভাগে কি পরিমানে আসন সংখ্যা রয়েছে ?
এক নজরে ঢাকা কলেজের আসন বিন্যাস
বিভাগ | আসন সংখ্যা |
বিজ্ঞান বিভাগে | ৮১০টি |
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে | ১৩৫টি |
মানবিক বিভাগে | ১৩৫টি |
ঢাকা কলেজে যারা নতুন ভর্তি হতে ইচ্ছুক তাদের জন্য কিছু সংক্ষিপ্ত শব্দ যা জেনে রাখা উচিতঃ-
- বিজ্ঞান বিভাগে যারা রয়েছে তাদের জন্য SC
- মানবিকের বিভাগে যারা রয়েছে তাদের জন্য HU
- ব্যবসা শিক্ষার জন্য BS
- ঢাকা কলেজের EIIN নাম্বার হলো – 107977
ঢাকা কলেজ এ ভর্তির আবেদন পদ্ধতি
- সরকারি ঢাকা কলেজে অনলাইনে আবেদন করার পদ্ধতিঃ-
অনলাইনে আবেদনের জন্য Website Address । এছাড়াও ভর্তি সংক্রান্ত যে কোন তথ্য সরকারি ঢাকা কলেজের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন খুব সহজেই।
ঢাকা কলেজ এ ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া :
ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষার্থীরা ভর্তি হবার জন্য আবেদন করতে পারবে দুই ভাবেঃ-
- এস এম এস (SMS) এর মাধ্যমে
- অনলাইনের (Online) মাধ্যমে
এস এম এসের (SMS) মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া :
- SMS এর মাধ্যমে যেভাবে ভর্তির আবেদন করবেন:-
SMS এর মাধ্যমে আবেদন শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড সংযোগ থেকে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে। আবেদনের জন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে এভাবে টাইপ করতে হবেঃ-
CAD লিখে ভর্তিচ্ছু কলেজ/মাদ্রাসার EIIN নাম্বার।ভর্তিচ্ছু গ্রুপের নামের প্রথম দুই অক্ষর এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের রোল নম্বর এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের সন এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভর্তিচ্ছু শিফটের নাম ভার্সন কোটার নাম (যদি থাকে)।
- এরপর মেসেজটি সেন্ট করতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে।
উদাহরণ : CAD 107977 SC DHA 401438 2019 111186009 M B FQ
- এখানে 696954- ভর্তিচ্ছু কলেজ/সমমান প্রতিষ্ঠানের EIIN
- SC- ভর্তিচ্ছু গ্রুপের নামের প্রথম দুই অক্ষর (Science= SC)
- DHA- এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর
- 123456- আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের রোল নম্বর
- 2017- এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের সন
- 1212665968- আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের রেজিস্ট্রেশন নম্বর
- M- শিফটের নামের প্রথম অক্ষর
- B- ভার্সন এর প্রথম অক্ষর
- FQ- মুক্তিযোদ্ধা কোটা।
ঢাকা কলেজ এ পড়াশুনার খরচ কেমন ?
- সরকারি ঢাকা কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আপনাদের কি পরিমানে ফি দিতে হবে জেনে নিন:-
ঢাকা কলেজ সরকারি কলেজ হবার কারণে যে নির্ধারিত পরিমাণ ফি রয়েছে এর বাহিরে কোন ফি আদায় করা হয় না । একাদশ প্রথম বর্ষে যদি ভর্তি হতে হলে কোনো অতিরিক্ত ফি/ টাকা আদায় দিতে হয় না। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণের ফি আর বাহিরে কোন বর্ধিত ফি নেয়া হয় না ।
- একাডেমিক খরচ
ঢাকা কলেজে সরকারী নিয়ম অনুসারে ভর্তির সময় অনলাইনে = ৮০০০/- টাকা (কমবেশি ) নেয়া হয় এক বছরের জন্য ।
প্রতি বছর এর জন্য সেসন চার্জ দিতে হবে = ৫৫০০/- টাকা (কমবেশি )
প্রতি বছর ফাইনার পরক্ষার আগে ফর্ম ফিলাপ খরচ = ৪০০০/- টাকা (কমবেশি )
———————————————————————————————————
বছরে সর্বমোট খরচ = ১৭৫০০/- টাকা (কমবেশি )
সতর্কতাঃ এই হিসেব ডিপার্টমেন্ট ভেদে কম বেশী হতে পারে । এই হিসেব একটা আনুমানিক হিসেব । |
- ঢাকা কলেজের আবাসিক হলের খরচঃ
- ঢাকা কলেজের হোস্টেলের খরচ কেমন ?
ঢাকা কলেজে যারা হলে থাকবে তাদের জন্য এক বছরের সীট ভাড়া = ৬০০০/- টাকা
প্রতি মাসে খাবার খরচ = ৩০০০/- টাকা
প্রতি বেলা খাবার খরচ = ৩০/- টাকা
—————————————————————————————————–
ঢাকা কলেজে ২ বছরে থাকা খাওয়া বাবদ আনুমানিক খরচ ৯০,০০০/- টাকা ( নব্বই হাজার টাকা )
সতর্কতাঃ সব খরচ কম বেশী হতে পারে । তবে এই হিসেব আনুমানিক কাছা কাছি ।
- ঢাকা কলেজ ক্যান্টিনে কি কি খাবার পাওয়া যায় দাম ও তালিকা
ক্যান্টিনে সাধারণত খিচুরী, পরোটা ,ভাত, মাছ এবং মাংসও পাওয়া যায় ।কয়েকটি খাবারের মূল্যতালিকা:
- ১পিস মাংস ও ভাত ২৫ টাকা
- ১পিস মাছ ও ভাত ২০ টাকা
- ১পিস ডিম ও ভাত ২০ টাকা
- ১ প্লেট খিচুরী ১৫ টাকা
- যোগাযোগ
ফোন: ০২- ৮৬১৮৩৫০, ৮৬১৮৭০৭, ৮৬৫২২২৩, ৮৫১১৩৫৪
ই-মেইল: [email protected]
ওয়েবসাইট: http://www.dhakacollege.edu.bd
ঢাকা কলেজ পছন্দের তালিকায় কেন ১ নং কলেজ ?
- ঢাকা কলেজ কেন পছন্দের তালিকায় থাকে সবার আগে আসুন জেনে নেই এর কারন গুলোঃ-
সুন্দর ও মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থাঃ-
ঢাকা কলেজে বর্তমানে একদল দক্ষ শিক্ষক রয়েছে যাদের তত্বাবধানে ও সুপরিকল্পিত ভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে । প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে শিক্ষক রয়েছে ।
- বিজ্ঞান বিভাগ শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে তাদের নিয়মিত ও বাধ্যতামূলক ব্যবহারিক ক্লাস । এই বিভাগের ছাত্রদের হাতে কলমে শিক্ষার প্রতি বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে ।
- কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান’‘ব্যবসায় শিক্ষা’এবং ‘বিজ্ঞান’অনুষদের অধীনে ১৯টি বিভাগ রয়েছে ঢাকা কলেজে। ১৯টি বিভাগেই স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কোর্স চালু আছে।
- ২০১০ সালের ১ আগস্ট থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি [ICT] বিষয়ে স্নাতকোত্তর ছাত্রদের জন্য ননক্রেডিট কোর্স চালু আছে। অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন বিভাগে ২২০ জন শিক্ষক আছেন। কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই পিএইচডি ও এমফিলসহ অন্যান্য উচ্চতর ডিগ্রিধারী।
ঢাকা কলেজে অনেক নামকরা ব্যক্তি লেখাপড়া করেছেন। ঢাকা কলেজের অনেক শিক্ষার্থী স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ জাতীয় ও ছাত্র আন্দোলনসমূহে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের অবদান অপরিসীম।
১৯৬২ সালের গণবিরোধী শিক্ষানীতি বাতিল আন্দোলন এবং ১৯৬৯ ও ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে এ কলেজের ছাত্র-শিক্ষকগণ স্মরণীয় ভূমিকা পালন করে নজির স্থাপন করেছেন। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি সফল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা কলেজ সব সময় অবদান রেখে আসছে ।
- সরকারী কলেজ
- ড্রেস কোড /চুল
- বাস বা পরিবহন
- ফিঙ্গার প্রিন্ট টাইম
- গোয়েন্দা নজরদারি নিপক/ তাপক
ছাত্রাবাস/ আবাসন সুযোগ সুবিধাগুলো :
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান নিশ্চিত করার জন্য একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত মানের আবাসন সুবিধা রয়েছে ।
যারা ছাত্রাবাসে থেকে লেখা পড়া করতে চায় তাদেরকে ভর্তি হবার পরে ছাত্রাবাস এর জন্য আবেদন করতে হয় ।নির্দিষ্ট শর্তপূরণ সাপেক্ষ এখানকার শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্মিলিত ছাত্রাবাসে নামে মাত্র খরছে থাকার সুযোগ রয়েছে ।
- ঢাকা কলেজে রয়েছে ৮টি ছাত্রাবাস
- দক্ষিণ ছাত্রাবাস,
- দক্ষিণায়ন ছাত্রাবাস,
- ইলিয়াস ছাত্রাবাস,
- শহীদ ফরহাদ হোসেন ছাত্রাবাস,
- ইন্টারন্যাশনাল ছাত্রাবাস,
- উত্তর ছাত্রাবাস,
- ওয়েস্ট ছাত্রাবাস ও নবনির্মিত
- শেখ কামাল ছাত্রাবাস)।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭ কলেজের মধ্যে ১ টি ঢাকা কলেজ
পরিবহন সুযোগ সুবিধাঃ-
ঢাকা কলেজে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলে প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী সবাই হলে থাকে না । হলের বাহিরে যারা থাকে তাদের যাতায়াত এর জন্য রয়েছে এই বাস গুলো
ঢাকা কলেজে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যাতায়াত এর জন্য রয়েছে মোট চারটি বাস । |
- ০১।পদ্মনীল – মিরপুর রুট
- ০২।শঙ্খনীল – যাত্রাবাড়ী রুট
- ০৩।পুষ্পক – সাইনবোর্ড ( নারায়ন গঞ্জ )
- ০৪।শঙ্খচিল – রামপুরা রুট
উপরে উল্লেখিত রুটে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা যাতায়াত করতে পারে কলেজের নিজস্ব পরিবহন এর মাধ্যমে । এই সব রুটে পদ্মনীল-মিরপুর, শঙ্খনীল-যাত্রাবাড়ী, পুষ্পক-সাইনবোর্ড (নারায়ণগঞ্জ), শঙ্খচিল-রামপুরা রুটে প্রত্যেকদিন দুই বার করে বাস গুলো যাতায়াত করে থাকে ।
এছাড়া ঢাকা কলেজ এমন একটি যায়গায় অবস্থিত যেখানে ঢাকার যে কোন এলাকা থেকে অনায়াসে এই কলেজে যে কোন পরিবহনে যাতায়াত করা যায় ।
Read Also>
ঢাকা কলেজ এ কি কি বিষয় পড়ান হয়ঃ-
- এখানে কোন কোন বিষয়ে পড়া লেখার সুযোগ পাবেন
০১। বিজ্ঞান শাখা
০২। মানবিক শাখা
০৩। বাণিজ্য শাখা
বিজ্ঞান শাখা
বিজ্ঞান শাখায় কি কি বিষয় আছে তার তালিকা
- পদার্থ
- রসায়ন
- জীব বিজ্ঞান
- অংক
- বোটানি
- ভূগোল
- পরিসংখ্যান
- আই সি টি
মানবিক শাখা
- মানবিক শাখা শাখায় কি কি বিষয় আছে তার তালিকা
বাণিজ্য শাখা
- বাণিজ্য শাখায় কি কি বিষয় আছে তার তালিকা
সহশিক্ষা কার্যক্রমঃ-
সাধারন শিক্ষার পাশাপাশি যে সব শিক্ষা রয়েছে এই কলেজে
- রোভার স্কাউট, বি.এন.সি.সি শরীরচর্চা ইত্যাদির শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।
- কলেজের অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন কনফারেন্স ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে।
সবশেষঃ–
এতখনে আমরা এই লেখার মাধ্যমে আপনাদের কে জানাতে চেষ্টা করলাম যে, ঢাকা কলেজ এর আদ্যোপান্ত সহ সরকারি ঢাকা কলেজের ভর্তির নিয়ম কানুন সম্পর্কে । ভর্তি হতে কি কি লাগে ?
ঢাকা কলেজের শিক্ষার পরিবেশ সহ অন্যান্য বিষয় গুলো ।
- একাদশ শ্রেণীর সব বিভাগে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী দের কাছে ঢাকা কলেজ সব সময় ১ নং পজিশনে থাকে । তাই আপনি যদি এই কলেজে ভর্তি হতে ইচ্ছুক হন এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে থাকুন।
এই রকম নিখুঁত নিত্য নতুন লেখাপড়া বিষয়ক তথ্য আমাদের বিডি নিউজ ওয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।আজকে আমাদের এই লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না । ঢাকা কলেজ অথবা যে কোন কলেজ সম্পর্কে জানতে চাইলে কমেন্ট বক্সে লিখুন । আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাও লিখতে পারেন । আমরা আপনার কমেন্ট কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকি । ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য ।
আরও জানতে পড়তে থাকুন
- ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ
- সরকারি বিজ্ঞান কলেজ ঢাকা
অনুরোধ,
আশা করি আমাদের এই লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে । যদি আমরা আপনার সামান্য উপকারে আসি তবে আমাদের এই লেখাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন । অথবা লাইক ,কমেন্ট করে আমাদের সাথে থাকুন । আমরা আরও লেখা নিয়ে হাজির হব ইনশাল্লাহ । আপনার কোন মূল্যবান মতামত অথবা কিছু জানার আগ্রহ থাকলে আমাদের জানাতে পারেন । আমরা অবশ্যই উত্তর দিতে সচেষ্ট থাকবো । আপনার মূল্যবান কোন লেখা আমাদের বিডি নিউজ ওয়ালে পোস্ট করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা মেইল করতে এইখানে ক্লিক করুন । আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
- বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং যেকোনো প্রশ্ন করুতেঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বিডি নিউজ ওয়াল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বিডি নিউজ ওয়াল সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বিডি নিউজ ওয়াল সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- বিডি নিউজ ওয়াল এর সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন এই সাইট।