তালাক দেওয়ার নিয়ম । তালাক মানে কি? কি কি কারনে তালাক হয়?
তালাক দেওয়ার নিয়ম নিয়ে আজকে আমাদের এই লেখা খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে । আশা করি তালাক দেওয়ার নিয়ম এত সুন্দর ভাবে আর কোথাও খুঁজে পাবেন না । ইসলামে তালাকের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে চূড়ান্ত বিপর্যয় থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারেন ।
যখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুব চরমভাবে বিরোধ দেখা দেয় এবং শান্তিপূর্ণ ও মাধুর্যমণ্ডিত জীবন যাপন সম্ভব হয় না , তখন ইসলাম তালাকের বিষয়টি বিবেচনা করে। ইসলামে তালাক একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয় বিষয়।
তালাক একটি শেষ উপায় হওয়া উচিত ।স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জীবনে একাধিক সময় অনেক চরম বিপর্যয় অনুভব হলে তালাক বিবেচনা করা উচিত । তালাক একটি সর্বোপরি ব্যাক্তিগত শেষ নির্বাচন।
ইসলামে তালাক ব্যবহৃত হওয়ার আগে সমস্যার সমাধানের জন্য বিবাদ সমাধান, পরিবার কাউন্সেলিং এবং সামাজিক পরামর্শ দেওয়া হয়। সমস্যার সমাধানের জন্য তালাক সর্বোপরি শেষ উপায় হিসেবে বিবেচনা করা উচিত ।
তালাক মানে কি? তালাক কাকে বলে ? Divorce Meaning
তালাক হলো একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ হলো “বন্ধনমোচন”। ইসলামিক পরিভাষায়, বিধিসম্মত বিয়ে দ্বারা স্থাপিত স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন ছিন্ন হওয়ার নাম হলো তালাক। তালাকের মাধ্যমে স্বামী ও স্ত্রী উভয় পক্ষের মধ্যে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করা হয়।
তালাক সম্পর্কিত বিষয়টি ইসলামিক শরিয়াতে অনুমোদিত হলেও এটি একটি গভীরভাবে বিবেচনা করা উচিত। হাদিসেগুলি উল্লেখ করে যাচাই করা যায় যে আল্লাহর দরবারে তালাক অত্যন্ত ঘৃণিত বিষয়।
এটি প্রতিষ্ঠিত করে যে পদ্ধতিতে তালাক প্রদান করা হয় সেটি সামাজিক সংস্কৃতি, ধর্ম, আইন এবং ব্যক্তিগত পছন্দের উপর ভিত্তি করে বিবেচিত হয়। যে কোনও ধর্মই বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে গণ্য করে বিবেচনা করা উচিত।
তালাক কত প্রকার ও কি কি?
তালাক প্রায়শই তিন প্রকারের হতে পারে:
- আহসান,
- হাসান এবং
- বিদ’ই।
আহসান তালাক হলো সর্বোত্তম বা সম্পূর্ণ তালাক, যা স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরেও ইদ্দতকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত স্পর্শ না করে স্পষ্টভাবে তার সঙ্গে সহবাস না করে ত্যাগ করা হয়। এই রকম তালাকের পর স্ত্রীকে পুনর্বিবাহ করা যায়।
হাসান তালাক হলো উত্তম বা সুন্নত তালাক, যা আগেই যৌনমিলন হয়েছিল এবং স্ত্রীকে ক্রমান্বয়ে তিন তালাক দিয়ে ত্যাগ করা হয়। এই রকম তালাকের পর স্ত্রীকে পুনর্বিবাহ করা যায় না।
বিদ’ই তালাক হলো শরিয়ত বিরুদ্ধ বা নিয়ম বিরুদ্ধ তালাক, যা স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে ত্যাগ করা হয়। এই রকম তালাকের পর স্ত্রীকে আর পুনর্বিবাহ করা যায় না, তিন তালাকের পরিবর্তে স্ত্রী পূর্ণরূপে পরিত্যক
কি কি কারনে তালাক হয়? What causes divorce?
ইসলামে জীবনের বিপর্যয় থেকে স্বামী-স্ত্রীর রক্ষার জন্য তালাকের সুযোগ আছে। যখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয় । তাদের মধ্যে নানাবিধ বিরোধ উত্পন্ন হয়, যখন তাদের শান্তিপূর্ণ এবং মিষ্টি জীবন যাপন অসম্ভব হয়ে পরে । যখন পারস্পরিক সম্পর্ক তীব্র হয়, একজনের মন অপরজনকে বিমুখ করে ।যেখানে সমঝোতার আর কোন সম্ভাবনা নেই, তখনই তালাকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈধ কারণে ইসলাম তালাক প্রদান করাকে জায়েয করেছে (বাক্বারাহ ২/২২৯)। তবে এটা হ’তে হবে তিন তুহুরে (পবিত্রাবস্থায়) তিন তালাক।
তালাকের কারণগুলি বিভিন্ন রকম হতে পারে । সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণগুলি নিম্নলিখিত হতে পারে:
মনস্থিরতা ও মানসিক সমস্যা:
মনস্থিরতা এবং মানসিক সমস্যা তালাকের একটি প্রধান কারণ হতে পারে।যেমন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যক্তিগত মতবিনিময় এবং মনস্থিরতার অভাব থাকলে তালাকের কারণ হতে পারে।
মনস্থিরতা ও মানসিক সমস্যা যেমন অস্থিরতা, স্থায়ী অভাব, পরিবার ও সামাজিক নানাবিধ তাণ্ডবের উপস্থিতিতেও তালাক হতে পারে।
যৌন সমস্যা:
যৌন সমস্যা তালাকের একটি কারণ হতে পারে। অসন্তোষজনক যৌন জীবন, যৌন পরিবর্তন, যৌন বিরক্তি ইত্যাদি যৌন সমস্যার উপস্থিতি তালাকের মধ্যে একটি প্রধান বা সহায়ক উদ্দীপন হিসেবে কাজ করতে পারে।
এই ধরনের সমস্যাগুলির জন্য যদি স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছিন্নতা ও অনৈতিক আচরণের দিকে উন্মুক্ত হয়, তবে সেই ক্ষেত্রে তালাক একটি সম্ভাবনার উপযুক্ত বিবেচনা হতে পারে।
অনৈতিক ক্রিয়াপদ্ধতি:
অনৈতিক ক্রিয়াপদ্ধতি এবং বিশ্বাসঘাতক ক্রিয়াপদ্ধতির উপস্থিতি তালাকের একটি কারণ হতে পারে। যেমন, দ্বিপক্ষীয় বিশ্বাসঘাতক ক্রিয়াপদ্ধতির মধ্যে অদলবদল, অন্যায়পূর্ণ আচরণ বা সহজাতির ভঙ্গ রয়েছে যেমন বিশ্বাস সম্পর্কে, সেই ধরনের ক্রিয়াপদ্ধতির কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছিন্নতা এবং বিশ্বাসের হার বৃদ্ধি পায়।
এই ক্রিয়াপদ্ধতির ফলে তালাক হতে পারে ।এছাড়াও, অনৈতিক ক্রিয়াপদ্ধতির মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পরস্পরের বিশ্বাস হারিয়ে যায় এবং তাদের সম্পর্ককে অসহ্য করে তুলে।
ধর্মীয় কারণঃ
ধর্মীয় কারনে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার দেওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে । যদি স্ত্রীর পক্ষে কোন মর্যাদামত শর্তাবলী ভঙ্গ করা হয়ে থাকে বা সম্প্রদায়ের নির্দিষ্ট কোন নীতি-নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়।
ধর্ম বা সম্প্রদায় নির্দিষ্ট কিছু সূত্র ধরে তালাকের অধিকার প্রদান করতে পারে । স্বামীর কাছে স্ত্রীর পক্ষে মর্যাদাহীন পর্যায়ে অপরাধ হলে তালাক দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও, ধর্মীয় নীতি-নিয়ম অনুযায়ী কোন ধর্মীয় পর্যায়ে তালাকের অধিকার দেওয়া হতে পারে ।
যৌন শোষণ ও নিপীড়ন:
স্ত্রী যদি যৌন শোষণ, নিপীড়ন, ব্যভিচার বা অন্যান্য যৌন উপরিবর্তনকারী আচরণের শিকার হয় বা তার স্বামী দ্বারা যৌন হিংসা অথবা শারীরিক এবং মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়, তাহলে সে স্বামী থেকে তালাক পেতে পারেন।
এই ধরনের সমস্যাগুলির উপস্থিতিতে, যদি স্ত্রী তালাক চান এবং এই সমস্যাগুলি সমাধান করার উপায় না পান, তাহলে তালাক হতে পারে।
শয়তানের প্রবৃত্তি:
শয়তান তালাক কে উৎসাহিত করে । মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে । সদিচ্ছা অধিকারে মার্জিত বিবাহ ও বিভাগের জন্য শয়তান প্রতিবাদ করে থাকে। প্রত্যেক প্রজন্মের মধ্যে শয়তানের প্রবৃত্তি রয়েছে, এর ফলে মুসলিম সমাজে তালাকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে।
ইসলাম থেকে দূরে থাকা :
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বাকবিতন্ডার মূল ইস্যু বা সূত্রপাত হয় আল্লাহর রাস্তা থেকে দূরে সরে পড়ার কারণে। স্বামী-স্ত্রী জীবনে অবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক ও সহযোগিতা ইসলামের মূল উপদেশ।
ইসলামের মূল সূত্রপাত থেকে দূরে থাকার কারণ হিসাবে পরিবারিক অসচ্ছলতা ও বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়ে থাকে।এর দ্বারা তালাকের সূত্রপাত হয় ।
হারাম উপার্জন ও তালাকের মধ্যে সম্পর্ক:
হারাম উপার্জন এবং তালাকের প্রবণতা একে অপরকে প্রভাবিত করে। হারাম উপার্জন দ্বারা মানুষ আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। তাছাড়াও, হারাম উপার্জন দ্বারা কোন ইবাদত কবুল করা হয় না।
ইসলামে হারাম উপার্জনে সমর্থন দেওয়া হয়নি, এবং এটি আমাদের পুরুষকে আদর্শ মুসলিম হিসাবে দেখা যায় না। সুতরাং, হারাম উপার্জনের প্রচলন এবং তালাক প্রবণতা সাধারণত একসাথে দেখা যায়।
বিয়ে করতে কি কি লাগে । পালিয়ে বিয়ে করতে কি কি লাগে সব জানুন ।
কিভাবে স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিবেন? তালাক দেওয়ার নিয়ম
এখন শুধু মুখে তালাক বললেই তালাক হয় না ৷সরকার এর জন্য আইন করে দিয়েছে । আগে সাধারণত রীতি নিতি অনুযায়ী বিবাহ হয়ে থাকত । আবার তালাকও সেই ভাবে রীতি নীতি অনুযায়ী হয়ে ছিল ।
তখন লিখিত কাবিন করতে হয় নাই এবং তালাক ও লিখিত হয় নাই । এতে করে অনেক সময় নানা ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি হত । আর এই সব ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবার জন্য সরকার বৈধ ভাবে বিবাহ করতে এবং তালাক দিতে আইন করে দিয়েছেন ।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগতে পাড়ে তালাক কিভাবে দিবো? এক কথায় এটার উত্তর হল প্রথমত আপনি মুখে তালাকের ঘোষণার পাশাপাশি আপনাকেঃ- বিভিন্ন ভাবে তালাকের নোটিশ পাঠাতে পারবেন ।
তালাক দেওয়ার জন্য নোটিশ যারা দিতে পারবেনঃ
- আপনাকে বিজ্ঞ আইন জীবীর মাধ্যমে লিখিত নোটিশ পাঠাতে হবে৷
- কাজী অফিসে থেকে লিখিত নোটিশ পাঠাতে হবে ।
- নিজে নিজেও তালাকের নোটিশ পাঠাতে পারবেন ।
- অন্য কাউকে দিয়ে লিখিত নোটিশ পাঠাতে পারবেন ।
তালাক দেওয়ার জন্য নোটিশ নোটিশ কার কাছে পাঠাতে হবে ?
তালাক দেওয়ার জন্য নোটিশ সাধারণত দুই যায়গায় পাঠাতে হয় । নোটিশের সেইম কপি দুই যায়গায় পাঠাতে হবে।
প্রথমতঃ – তালাক দেওয়ার জন্য নোটিশটি পাঠাতে হবে আপনার স্ত্রীকে, যাকে আপনি তালাক দিবেন তার বরাবর ।
দ্বিতীয়তঃ- তালাক দেওয়ার সময় যে জায়গায় আপনার স্ত্রি বসবাস করছে সে জায়গাটি যদি ইউনিয়ন পরিষদের এরিয়া হয় তাহলে চেয়ারম্যানের বরাবর, আর যদি পৌরসভার এরিয়া হয় সেই ক্ষেত্রে পৌরসভার মেয়র এর বরাবর আর যদি সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে হয় তবে মেয়র বা কমিশনার বা প্রশাসকের বরাবর নোটিশ পাঠাতে হবে৷
তালাকের নোটিশ দেওয়ার পর কি হবে ?
তালাক দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান বা মেয়র বা পৌরসভার কার্যালয়ের ঠিকানায় যখন এই নোটিশটি গ্রহণ করবে, সেদিন থেকে এর দিন গণনা শুরু করে ঠিক ৯০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলে তালাক কার্যকর হয়ে যাবে৷
তালাক দেওয়ার জন্য ৯০ দিনে কেন লাগবে এবং এই ৯০ দিনে কি হবে ?
চেয়ারম্যান, মেয়র বা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত কোন লোক যখন নোটিশটি বুঝে পাবে সেই দিন থেকে শুরু এর মেয়াদ গণনা করে তারা ৩০ দিনের মধ্যে তারা একটি সালিশ পরিষদ গঠন করবে৷ এখানে উভয় পক্ষের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শুনবেন। তাদের উভয়ের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন ।
এই সালিশী পরিষদ স্ত্রীর পক্ষ থেকে একজন কে প্রিতিনিধি মনোনীত করবে ।স্বামীর পক্ষ থেকে একজন কে প্রিতিনিধি মনোনীত করবে । চেয়ারম্যান নিজে অথবা তার পক্ষ থেকে একজনকে এই সালিশি পরিষদের প্রধান করে এই সালিশি পরিষদ গঠন করবেন৷
যদি স্ত্রী বা স্বামী তাদের পক্ষ থেকে কাউকে মনোনীত করতে আগ্রহী না হন তাহলে চেয়ারম্যান তার নিজ উদ্যোগে তিনজন ব্যক্তির সম্বনয়ে এই সালিশি পরিষদ গঠন করবেন৷
এই সালিশি পরিষদের প্রধান উদ্দেশ্যই হল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে সমস্যা আছে, সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করা । তাদেরকে পুনরায় সংসারে ফেরানো সর্বশেষ চেষ্টা করা ।
আর সালিশি পরিষদ যদি তাদের এই উদ্দেশ্য পালনে ব্যর্থ হয় বা তারা যদি স্বামী বা স্ত্রীকে সংসার করানোর জন্য রাজি করাতে না পারে অথবা তাহলে ৯০ দিন পর গিয়ে ডিভোর্স কার্যকর হয়ে যাবে৷
এই ৯০ দিন গণনা হবে চেয়ারম্যান, মেয়র বা ভারপ্রাপ্ত লোক যেদিন থেকে তালাকের নোটিশ গ্রহণ করেছিলো সেদিন থেকে৷
এখানে একটা বিষয় সবসময় মনে রাখতে হবে তালাকের সময় যদি স্ত্রী গর্ভবতী থাকে তবে সন্তান ডেলিভারি না হওয়া পর্যন্ত এই তালাক কার্যকর হবে না৷
কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ আপনি চেয়ারম্যান বা মেয়র বরাবর তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন এবং তারা তালাকের নোটিশ গ্রহণ করার পর ৯০ দিনের মধ্যে সালিশি পরিষদ গঠন করতে পারে নাই । তাহলে কি এখন তালাক হবে?
উত্তরঃ উত্তর হলো হ্যাঁ । তালাক অবশ্যই হবে৷ আপনি যেদিন নোটিশ পাঠাবেন, সেই নোটিশটি যখন চেয়ারম্যান গ্রহণ করবে সে গ্রহণ করার পর থেকে নব্বই দিন অতিবাহিত হয়ে গেলে আপনার তালাক কার্যকর হয়ে যাবে৷
তালাকের নোটিশ কার দ্বারা তৈরি করাবেন এবং কিভাবে পাঠাবেন?
এই তালাকের নোটিশ কার দ্বারা তৈরি করতে হবে এই বিষয়ে আইনে সুস্পষ্ট উল্লেখ নাই । আপনি চাইলে তালাকের নোটিশ নিজে লিখতে পারেন অথবা কাজী অফিসে গিয়ে কাজীর মাধ্যমেও করতে পারেন ।
বর্তমান সময়ে তালাকের নোটিশের ফরম্যাট বা ফরম পাওয়া যায় । লিখিত ফরম্যাট পূরণ করে আপনি পাঠাতে পারেন ।ফরম্যাট বা ফরমে আপনি প্রয়োজনীয় ঘর গুলো পূরণ করে তালাকের নোটিশ হিসেবে পাঠাতে পারেন ।
তালাকের নোটিশ একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠাতে পারেন৷আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠালে আইনগত অনেক ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে পারেন ।
তালাকের পরবর্তী অনেক ঝামেলা হবার সম্ভাবনা থাকে । এই সব ঝামেলা থেকে কি ভাবে রেহাই পেতে পারেন তা একজন বিজ্ঞ আইনজীবী বলে দিতে পারেন ।
তালাক দেওয়ার জন্য নোটিশ কি ভাবে পাঠাবেন?
তালাকের নোটিশ সাধারণত রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এডি সহকারে পাঠাতে হয় । কারন প্রমান হিসেবে এটা পরবর্তীতে কাজে লাগে । তালাকের নোটিশটি গ্রাহক দ্বারা গ্রহণ হয়েছে কিনা সেটার প্রমাণ স্বরূপ গ্রহণকারীর সই সংরক্ষন করতে হবে৷
এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা উচিত আর সেটা হল তালাকের নোটিশ আপনি জার দ্বারাই লিখে থাকুন না কেন, এ নোটিশটি একটি ফরম্যাট অনুযায়ী লিখতে হবে ।যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকা দরকার সেগুলো এর মধ্যে অবশ্যই থাকতে হবে৷
তালাক দেয়ার নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে তালাকের নোটিশ অবশ্যই দিতে হবে৷তালাকের নোটিশ যদি আপনি যদি আপনার স্ত্রী এবং চেয়ারম্যান বা মেয়র এর বরাবর না দেন, তাহলে এটি একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে৷
আর এই অপরাধের জন্য আদালতে আপনি দোষী প্রমাণিত হতে পারেন । এবং দোষী প্রমাণিত হলে এর জন্য আপনার শাস্তি ভোগ করা লাগতে পারে । তাই এটাকে কখনো হালকা ভাবে নিবেন না ।
উপরের নিয়ম অনুসারে এই ভাবেই আপনার তালাক কার্যকর হয়ে গেল।আপনি এখন চাইলে এই তালাকের রেজিস্ট্রি কপি সংগ্রহ করে নিজের কাছে রাখতে পারেন । আর তালাকের রেজিস্ট্রি কপি কি ভাবে পেতে পারেন এর বিস্তারিত জানতে নিচে আমাদের লেখা পড়তে থাকুন ।
বিয়ে করতে কি কি লাগে । পালিয়ে বিয়ে করতে কি কি লাগে সব জানুন ।
স্ত্রী কিভাবে তার স্বামীকে তালাক দিবে? স্ত্রী কর্তৃক স্বামী তালাকের নিয়ম ।
স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিয়েছে এ কথা তেমন একটা শোনা যেত না। তবে ইদানীং কালে আমাদের সমাজে স্ত্রী স্বামীর কাছে তালাক বা বিচ্ছেদ চাইছে । কোন স্ত্রী যদি একান্তই সংসার করতে না চায় তবে সে তার যুক্তিসংগত কারন নিয়ে তার স্বামীকে তালাক দিতে পাড়ে ।
যদি সংসারে কোন সন্তান থাকে তাহলে সন্তানের মঙ্গলের কথা জনের চিন্তা করা উচিত। তালাকের ক্ষেত্রে মুসলিম আইন অনুযায়ী স্ত্রীর তুলনায় স্বামীর ক্ষমতা বেশী থাকে ৷
স্বামী চাইলে কোন রকম কারণ ছাড়াই যে কোন সময় তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে৷ কিন্তু স্ত্রীর ক্ষেত্রে তালাকের বিষয়টি একটু ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে ৷
স্ত্রী ৩ ভাবে তার স্বামীকে তালাক দিতে পারেঃ-
এখন চলুন আমরা আমাদের আসল পয়েন্টে ফিরে আসি । স্ত্রী কিভাবে তার স্বামীকে তালাক দিবে? বা স্ত্রী কর্তৃক স্বামী তালাকের নিয়ম । আমারা যত টুকু জানি সেটা হল স্ত্রী স্বামীকে ৩ ভাবে তালাক দিতে পারে ।
স্ত্রী তার স্বামীকে তিনভাবে তালাক দিতে পারে৷
(ক) তালাক-ই-তৌফিজের মাধ্যমে
(খ) খুল বা খুলা তালাক
(গ) আদালতের মাধ্যমে তালাক
ক) তালাক-ই-তৌফিজঃ যদি বিয়ের সময় কাবিননামার ১৮ নাম্বার কলাম অনুযায়ী স্ত্রীকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় যে, সে তার স্বামীকে তালাক দিতে পারবে । তাহলে স্ত্রী এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে তালাক দিতে পারবে৷
সব সময় মনে রাখবেন এই ক্ষমতাটি কাবিননামার ১৮ নাম্বার কলামে দেওয়া থাকে৷তালাক-ই-তৌফিজের মাধ্যমে তালাক এর জন্য কিছু বিধি-বিধান মানতে হয়।
খ) খুল বা খুলা তালাকঃ এই তালাকটি সমঝোতার মাধ্যমে হয়ে থাকে৷যদি কাবিননামার ১৮ নাম্বার কলামে স্বামীকে স্ত্রী দ্বারা তালাক দেয়ার কথা উল্লেখ না থাকে সেই ক্ষেত্রে স্ত্রী তার স্বামীকে খুলা তালাক দিতে পারে৷
খুলা তালাক হলো স্ত্রী তার স্বামীকে নিজ থেকে তালাকের প্রস্তাব দিবে । বিনিময়ে স্ত্রী তার স্বামী থেকে দেনমোহরের টাকা নিবে না অথবা অন্য কোন কিছুর বিনিময়েও খুলা তালাক দেওয়া যায়৷
গ) আদালতের মাধ্যমে তালাকঃ এই পদ্ধতিটি হলো আদালতের মাধ্যমে তালাক৷ স্ত্রী আদালত বা কোর্টে গিয়ে তালাকের জন্য মামলা করতে পারে৷একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে কোন বিবাহিত মহিলা তার স্বামীকে আদালতের মাধ্যমে খুব সহজেই তালাক দিতে পারে ।
একজন স্ত্রী বা বিবাহিত মহিলা তার স্বামীকে তালাক কি কি কারনে দিতে পারে তার একটি তালিকা নিচে দেয়া হলঃ
মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন ১৯৩৯ অনুসারে স্ত্রী যে সব কারণ স্বামীকে তালাক দিতে পারে তা নিচে দেয়া গেল :
১. এক নাগারে চার বৎসর বা তার বেশি সময় ধরে, যদি স্বামীর কোন হদিস পাওয়া না যায়৷
২. দুই বছর সময় পর্যন্ত স্বামী দ্বারা অবহেলিত বা কোন খোঁজ না করলে বা স্ত্রীর ভরণপোষণ না দিলে৷
৩. ১৯৬১ সালের মুসলিম আইন এর বিধান না মেনে একের অধিক বিয়ে করলে৷
৪. স্বামীর সাত বছর বা তার বেশি মেয়াদের যে কোন ধরনের কারাদণ্ড হয়ে থাকলে৷
৫. স্বামী কোন অজুক্তিক কারনেতিন বছর ধরে বিবাহিত দায়িত্ব পালন না করলে ৷
৬. বিয়ে করার সময় স্বামী পুরুষত্বহীন থাকলে এবং এ অবস্থা চলমান থাকলে৷
৭. দুই বছর ধরে স্বামী পাগল থাকলে বা কুষ্ঠ জাতীয় রোগ বা যে কোন সংক্রমক যৌন ব্যাধিতে ভুগে থাকলে ৷
৮. আঠারো বছর বয়স হবার আগে অভিভাবকের মাধ্যমে বিয়ে দেওয়া হয় এবং স্বামী স্ত্রী সহবাস না করলে । ১৯ বছর বয়স হওয়ার আগেই এই বিয়ে অস্বীকার করা হলে৷
৯. স্ত্রীর প্রতি স্বামী খুব নিষ্ঠুর আচরণ করে থাকলে ৷
নিষ্ঠুর আচরণ গুলোর ধরন হবে :
ক. অযথা স্ত্রী কে মারধর বা শারীরিক নির্যাতন ছাড়াও এমন আচরণ যা স্ত্রীর জীবন দুর্বিষহ করে তুলে৷
খ. খারাপ চরিত্রের মহিলাদের সাথে অনৈতিক মেলা মেশা করে থাকলে ৷
গ. স্ত্রীকে খারাপ বা অনৈতিক জীবন যাপনে বাধ্য করার চেষ্টা করলে৷
ঘ. স্ত্রীর সম্পত্তি আত্মসাৎ করা বা স্ত্রীর সম্পত্তির অধিকার বাধা দেওয়ায় যদি হস্তক্ষেপ করা হয়৷
ঙ. স্ত্রীর ধর্ম পালনে বাধা দিলে৷
চ. একাধিক স্ত্রীর ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআনের বিধান অনুসারে সমানভাবে অধিকার দিতে না পারলে ।
উপরে উল্লেখিত কারন থেকে যে কোনো এক বা একাধিক কারণ দেখিয়ে কাবিন নামায় তালাকের ক্ষমতা না থাকা সত্বেও স্ত্রী চাইলে আদালতের মাধ্যমে তার স্বামীকে তালাক দিতে পারবেন৷
কাজী অফিসে তালাকের নিয়ম
তালাকের নিয়ম সাধারণত আইন এবং ব্যবহারিক প্রথাগুলি অনুসরণ করে করা হয়ে থাকে।
কাজী অফিসে তালাকের নিয়মগুলো উল্লেখ করা হলো:
আবেদনপত্র: তালাকের জন্য সঠিক আবেদনপত্র জমা দিয়ে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি শুরু করতে হয়। আবেদনপত্রে প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো সম্পূর্ণরূপে উল্লেখ করা উচিত।
আবেদন কারী : তালাকের আবেদনপত্রে উল্লিখিত পক্ষ তালাকের কারণ এবং অভিযোগগুলি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করবে।
স্বাক্ষরঃ আবেদনপত্রের প্রত্যয়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত ফরমে প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর করতে হবে। স্বাক্ষরকারী নিজে এবং স্বাক্ষরকারী পক্ষের লোক থাকতে হবে।
প্রমাণপত্র: আবেদনপত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকলে তা সঠিকভাবে নির্দিষ্ট করতে হবে। তালাকের জন্য প্রমাণপত্রগুলি সম্পূর্ণভাবে সংগ্রহ করতে হবে।
তদন্ত: আবেদনপত্র সংগ্রহের পরে, তালাক নিয়ে তদন্তের জন্য কাজী অফিসের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই তদন্ত সম্পন্ন হলে কাজী অফিস তালাকের সিদ্ধান্ত নেয়।
তালাকের নিয়মগুলো দেশের আইন এবং ব্যবহারিক প্রথার উপর নির্ভর কর
আপনি নিজে কাজী অফিসে যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট নিয়মগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।
তালাক দিতে কত খরচ হয়?
তালাক নিবন্ধনের ফি বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে বিবাহ রেজিস্ট্রারের (কাজী) লাইসেন্স ফি এবং বার্ষিক ফি। ‘মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন (বিধিমালা), ২০০৯’ সংশোধন করে এই ফি বাড়ানো হয়েছে।
গত ২১ ডিসেম্বর, আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুসলিম ম্যারেজেস অ্যান্ড ডিভোর্সেস (রেজিস্ট্রেশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৪ এর বিধিমালা সংশোধনের জন্য। পূর্বে নিকাহ রেজিস্ট্রার তালাক নিবন্ধনের জন্য ৫০০ টাকা ফি নিতেন, কিন্তু এখন তা এক হাজার টাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
তালাক রেজিস্ট্রি আগের খরচঃ
নিকাহ বা তালাক রেজিস্ট্রি ফিঃ ৫০০ টাকা
নকল প্রাপ্তি ফিঃ ৫০ টাকা
যাতায়াত ফি; ১০ টাকা প্রতি কিলোমিটার এর জন্য
তালাক রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতি
বর্তমানে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়৷কিন্তু মুসলিম তালাক দিলে সেটি রেজিস্ট্রেশন করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই ।তালাক রেজিস্ট্রেশন আপনি চাইলে করতে পারেন । যদি আপনি কোন কারনে তালাকের রেজিস্ট্রেশন করতে চান তবে নিচের লেখা থেকে জেনে নিতে পারেন ।
তালাক রেজিস্ট্রেশন করতে চাইলে আপনাকে উপরের নিয়ম অনুযায়ী আগে তালাক দিতে হবে । এবং তালাক কার্যকর হবার পর । অর্থাৎ উল্লেখিত ৯০ দিন অতিবাহিত হবার পর আপনি কাজী অফিস অথবা চেয়ারম্যান বা মেয়র এর কাছ থেকে তালাক কার্যকরের একটি সার্টিফাই কপি সংগহ করতে পারেন ।
কাজী অফিস সব কিছু পর্যবেক্ষণ করে আপনাকে তালাক রেজিস্ট্রেশন সার্টিফাই কপি দিয়ে দিবে । আপনি এটা সংগ্রহ করতে পারবেন ।আপনার কোন প্রয়োজন হলে এই কপি আপনি কাজে লাগাতে পারবেন ।
Read Also
মিথ্যা মামলা হলে আপনার করনীয়?
উপসংহার
তালাক দেয়ার আগে অনেক সময় নিয়ে ভাবা উচিত । শুধু তালাক দিলেই শেষ নয় । পরবর্তী জীবন নিয়ে ভাবতে হবে । যদি সন্তান থাকে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা উচিত । সবশেষ কোন উপায় না থাকলে তালাক দেয়া যেতে পারে । কারো জীবনে তালাক শব্দটি যেন না আসে এই কামনায় আজ এই পর্যন্ত । আমাদের বিডি নিউজ ওয়ালের আইন আদালত বিভাগের লেখা গুলো ভাল লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন । এবং কোন প্রশ্ন থাকলে নীচে কমেন্ট বক্সে লিখবেন আমরা উত্তর দিতে চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ ।
মুনতাসির মাহমুদ জজ কোর্ট আইনজীবী
প্রশ্নঃ তালাকের ক্ষেত্রে স্বামী/স্ত্রীর অধিকার কি সমান ?
উত্তরঃ বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটাতে স্বামী-স্ত্রীর অধিকার সমান নয়। এক্ষেত্রে স্বামীর ক্ষমতা বা অধিকারই বেশি।
প্রশ্নঃ হিল্লা বিয়ে কি ?
উত্তরঃ প্রাচীন সমাজে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তালাক হয়ে গেলে তারা আবার বিয়ে করতে চাইলে মধ্যবর্তীসময়ে স্ত্রীকে আরেকটি বিয়ে করতে হত। এই দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাক্তি (স্বামী) স্ত্রীকে তালাক দিলে বা মারা গেলে স্ত্রী পুনরায় প্রথম স্বামীকে বিয়ে করতে পারত। এই মধ্যবর্তীকালীন বিয়েকে ‘হিল্লা’ বিয়ে বলে। তবে বর্তমানে হিল্লা বিয়েকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রশ্নঃ মুখে তালাক দিলে তালাক হয়ে যাবে ?
উত্তরঃ না
প্রশঃ তালাক দেয়ার পর স্বামী- স্ত্রী কি পুনরায় ঘর সংসার করতে পারেন?
উত্তরঃ ১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইনের ৭ (৬) ধারা অনুসারে তালাকের মাধ্যমে কোন বিবাহ বিচ্ছেদ হলে বা তালাকপ্রাপ্ত স্বামী-স্ত্রী পুনরায় একত্রে ঘর- সংসার করতে চাইলে নতুন করে নিয়ম অনুসারে বিয়ে করতে হবে। তবে পুনরায় বিবাহ করতে কোন আইন বাধা নেই।
লেখাটি পুনরায় দেখতে চাইলে >>
অনলাইনে মামলা দেখার নিয়ম . থানার মামলা দেখার উপায়
আশা করি আমাদের এই লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে । যদি আমরা আপনার সামান্য উপকারে আসি তবে আমাদের এই লেখাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন । অথবা লাইক ,কমেন্ট করে আমাদের সাথে থাকুন । আমরা আরও লেখা নিয়ে হাজির হব ইনশাল্লাহ । আপনার কোন মূল্যবান মতামত অথবা কিছু জানার আগ্রহ থাকলে আমাদের জানাতে পারেন । আমরা অবশ্যই উত্তর দিতে সচেষ্ট থাকবো । আপনার মূল্যবান কোন লেখা আমাদের বিডি নিউজ ওয়ালে পোস্ট করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা মেইল করতে এইখানে ক্লিক করুন । আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
- বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং যেকোনো প্রশ্ন করুতেঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বিডি নিউজ ওয়াল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বিডি নিউজ ওয়াল সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বিডি নিউজ ওয়াল সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- বিডি নিউজ ওয়াল এর সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন এই সাইট।