ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম । স্মার্ট কার্ড সহ নতুন নিয়ম অনুসারে আপডেট জানুন
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম জানার আগে, আমাদের জানতে হবে, আমি কেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করব, কি ধরনের গাড়ি চালাব অথবা এই লাইসেন্স দিয়ে আমি কোন কোন ধরনের গাড়ি চালাতে পারব ইত্যাদি প্রশ্ন ।
একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনার জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে । বর্তমান এই আধুনিক যুগে আপনার যদি একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে তবে আপনি আপানার প্রয়োজনের সময় আফসোস ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না ।
আজকে আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আলোচনা করব এবং এর খুঁটিনাটি থেকে শুরু করে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের সাথে থাকুন । কথা দিচ্ছি আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার ব্যাপারে এর পর আর কোন প্রশ্ন এর উত্তর খুজতে হবে না ।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার আগে জানতে হবে ড্রাইভিং লাইসেন্স কি ?
ড্রাইভিং লাইসেন্স হল একটি পরিচয়পত্র বা প্রমাণপত্র । কোন ব্যক্তি যদি মোটর গাড়ি চালনা করতে চায় তবে তাকে নির্দিষ্ট কিছু পরিক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হবার পর এটি প্রদান করা হয়। এই লাইসেন্স সাধারণত সড়ক সুরক্ষা আইন এবং বিভিন্ন রাজ্য বা দেশের ট্রাফিক নিয়মকানুন অনুযায়ী প্রদান করা হয়ে থাকে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স একটি বৈধ প্রমান বহন করে । প্রত্যেক গাড়ি বা যে কোন যানবাহনের চালক এর বৈধতা প্রমান করে এই ড্রাইভিং লাইসেন্স দ্বারা । মোটর যান আইন অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স খুব গুরুত্ব পূর্ণ একটি দলিল ।
একটি বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা শুধুমাত্র আইনি উদ্দেশ্যেই থাকে না । যানবাহনের চালক এবং এর যাত্রী ও অন্যান্য রাস্তা ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ।
ড্রাইভিং লাইসেন্স বাংলাদেশ সরকার এর একটি প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ ( বাংলাদেশ রোড ট্র্যান্সপোর্ট অথরিটি ) কর্তৃক প্রদান করা হয় । একজন ড্রাইভিং লাইসেন্স চাহিদা সম্পন্ন ব্যাক্তি বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে এই কাঙ্ক্ষিত ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারেন ।
ড্রাইভিং লাইসেন্স এখন স্মার্ট কার্ড ( ডিজিটাল )
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নতুন ডিজিটাল লাইসেন্স হল এই স্মার্ট কার্ড । যাদের কাছে স্মার্ট কার্ড সম্মিলিত জাতীয় পরিচয় পত্র আছে তাদের বুঝতে অসুবিধা হবার কথা না ।
ড্রাইভিং লাইসেস্ন প্রক্রিয়াকে সহজ ও গতিশীল এবং ডিজিটাল আধুনিকায়নের অঙ্গ হিসেবে চালু করা হয়েছে স্মার্ট কার্ড সম্মিলিত ড্রাইভিং লাইসেস্ন ।
এই স্মার্ট কার্ড লাইসেস্ন এ ইলেকট্রিক চিপ যুক্ত থাকে । যা সহজে মেশিনে প্রবেশ করিয়ে খুব দ্রত ডাটা বা তথ্য সংগ্রহ করা যায় । সমস্ত বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে এবং সঠিক ও নিরাপদ ডাটা সংগ্রহ করার জন্য এই স্মার্ট কার্ড ।
এই স্মার্ট কার্ডে একজন ড্রাইভারের সমস্ত জীবন বৃত্তান্ত সহ যাবতীয় তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে । গাড়ী চালন সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে অথবা ড্রাইভার দ্বারা কোন অপরাধ সংগঠিত হলে পুলিশ বা ট্র্যাফিক বা যে কোন পুলিশের তার তথ্য যাচাই এর দরকার হতে পারে ।
কোন চালক তার সঠিক তথ্য দিতে অসম্মত হলে, সময় ও কাজের সুবিধার জন্য পুলিশ প্রয়োজনে এই স্মার্ট কার্ড থেকে সহজেই তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারে । সমস্ত তথ্য সম্মিলিত এই প্লাস্টিক চিপ যুক্ত কার্ড টি কে স্মার্ট কার্ড বলে ।
ড্রাইভার দের জন্য এই কার্ড টি বিধায় একে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে । নিচের ছবি থেকে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স এর দেখে নমুনা নিন ।
ড্রাইভিং লাইসেন্স কত প্রকার ও কি কি ?
যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চান বা আগ্রহী তাদের প্রথম যে লাইসেন্স টি দেয়া হয় সেটা হল লার্নার বা “শিক্ষানবিস লাইসেন্স”। প্রতিটি লাইসেন্স পাবার আগে প্রথমে সবাইকে “শিক্ষানবিস লাইসেন্স” দিয়ে থাকে ।
আপনার যদি নিজের কোন প্রাইভেট গাড়ি থাকে আর সেটা যদি আপনি নিজেই চালাতে চান তবে আপনি পাবেন “অপেশাদার লাইসেন্স” ।
আর যদি কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে গাড়ি চালাতে চান তবে আপনার প্রয়োজন হবে “পেশাদার লাইসেন্সের” এর ।
যারা ভাড়ায় চালিত যাত্রীবাহী মোটরযান চালাতে আগ্রহী শুধু মাত্র তাদেরকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পাশাপাশি “পি,এ্,ভি” (Public Service Vehicle) লাইসেন্স নিতে হয়।
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রকারভেদ অনুযায়ী ৫ ধরনের হয়ে থাকে।
১। শিক্ষানবীশ লাইসেন্স
২। পেশাদার লাইসেন্স
৩। অপেশাদার লাইসেন্স
৪। পি.এস.ভি লাইসেন্স
৫। ইনস্ট্রাকটর লাইসেন্স
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবার প্রধান শর্ত সমূহ ।
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রথম গ্রহণ ।
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের এর জন্য যিনি আবেদন করবেন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কম পক্ষে ৮ম শ্রেণী পাশ হতে হবে ।
- অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে।
- মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবার মূল প্রক্রিয়া : যেখান থেকে শুরু করতে হবে ।
যে লাইসেন্স পেতে ইচ্ছুক তাকে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে (bsp.brta.gov.bd) এর মধ্যমে সঠিক নিয়মে আবেদন করতে হবে।
অনলাইন সিস্টেম থেকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হবে এবং গ্রাহক সাথে সাথেই সিস্টেম থেকেই তার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
এরপর ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের শেষ করে তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। এসময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় প্রমান স্বরূপ, তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সাথে আনতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম গুলি আপনাকে জানতেই হবে
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে প্রথমে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপর নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা দিয়ে মূল লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে।
অনলাইন থেকে কিভাবে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করবেন তা জানতে এখানে ক্লিক করুন।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কেবল মূল লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার সময় আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন- ফিঙ্গার, চোখের আইরিশ ইত্যাদি জমা দিতে হবে।
আর আপনার এই মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স টি হচ্ছে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স। আপনার আবেদন কমপ্লিট করার পর নির্ধারিত তারিখের মধ্যে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি হবে।
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে সঠিক নিয়মে অনলাইনে আবেদন করতে হবে ।
২। আবেদনকারীর ছবি সদ্য তোলা হতে হবে । ছবির সাইজ সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি (৩০০ x ৩০০ পিক্সেল) আবেদনের জন্য করতে হবে ।
৩। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)। মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের ফর্মের জন্য এখানে ক্লিক করুন ]
৪। জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি) ।
৫। ইউটিলিটি বিলের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি), [ আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তবে বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল সংযুক্ত করতে হবে ]
৬। বিদ্যমান ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান কপি [ ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন/শ্রেণী পরিবর্তন/শ্রেণী সংযোজন/ লাইসেন্সের ধরণ পরিবর্তণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ] (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)
৭। অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় ভুয়া তথ্য প্রদান করা হলে তার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৮। নির্ধারিত ফী, ১ ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা ও ২ ক্যাটাগরি-৭৪৮/-টাকা অনলাইনে পরিশোধ।
লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফী প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশিস্নষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।
গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। নির্ধারিত ফী (পেশাদার- ২,৭৭২/-টাকা ও অপেশাদার- ৪,৪৯৭/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকৃতিঃ
(১) পেশাদার হালকা (মোটরযানের ওজন ২৫০০কেজি-এর নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে, (২) পেশাদার মধ্যম (মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।
(২) পেশাদার ভারী (মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশী) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।
[বি:দ্র: পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে হালাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে এর ন্যূনতম তিন বছর পর তিনি পেশাদার মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং মিডিয়ম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কমপক্ষে ০৩ (তিন) বছর পর ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ]
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া:
(ক) অপেশাদারঃ
গ্রাহককে প্রথমে নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২,৪২৭/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ৫১৮/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।
আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে একইদিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণ করা হয়। স্মার্ট কার্ড wপ্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
(খ) পেশাদারঃ
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদেরকে পুনরায় একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষায় উত্ত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ৪,১৫২/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ৫১৮/- টাকা জরিমানাসহ ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।
গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণের জন্য গ্রাহককে নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে উপস্থিত হতে হয়। স্মার্ট কার্ড wপ্রন্টিং-এর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন;
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট (পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য);
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড -এর সত্যায়িত ফটোকপি;
৪। নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদের বিআরটিএ কপি;
৫। সদ্য তোলা ০২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি;
ডুপ্লিকেট লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া :
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে ।
২। জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স লাগবে ।
৩। নির্ধারিত ফী (হাই সিকিউরিউটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে ৯৩২/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ প্রদান করতে হবে ।
৪। এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগবে ।
লাইসেন্স প্রাপ্তির আগে সাধারণত একটি ড্রাইভিং টেস্ট দিতে হয় যাতে দেখা হয় যে চালক সঠিকভাবে গাড়ি চালানোর দক্ষতা আছে কিনা। লাইসেন্স প্রাপ্তি পরে চালক বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চালাতে পারেন, যেমন পাসেঞ্জার গাড়ি, ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল ইত্যাদি।
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কি করবেন?
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ দেয়া বা তারিখ দেয়া থাকে। বিভিন্ন করনে এই কার্ড এর মেয়াদ শেষ হতে পারে । আপনি নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করলে অথবা অন্য কোন কারনেও এর মেয়াদ শেষ হতে পারে ।
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ হলে আপনাকে ব্যাংকে নির্দিষ্ট টাকা জমা দিয়ে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করে নিতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে কি করবেন?
আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রতিলিপির জন্য আবেদন করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স।
আশা করি আমাদের এই লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে । যদি আমরা আপনার সামান্য উপকারে আসি তবে আমাদের এই লেখাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন । অথবা লাইক ,কমেন্ট করে আমাদের সাথে থাকুন । আমরা আরও লেখা নিয়ে হাজির হব ইনশাল্লাহ । আপনার কোন মূল্যবান মতামত অথবা কিছু জানার আগ্রহ থাকলে আমাদের জানাতে পারেন । আমরা অবশ্যই উত্তর দিতে সচেষ্ট থাকবো । আপনার মূল্যবান কোন লেখা আমাদের বিডি নিউজ ওয়ালে পোস্ট করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা মেইল করতে এইখানে ক্লিক করুন । আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
- বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং যেকোনো প্রশ্ন করুতেঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বিডি নিউজ ওয়াল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বিডি নিউজ ওয়াল সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বিডি নিউজ ওয়াল সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- বিডি নিউজ ওয়াল এর সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন এই সাইট।