ঢাকার আশে পাশে দর্শনীয় স্থান । ঢাকার পাশে এক দিনে বেড়ানোর মত ১০ টি জায়গা ।
ঢাকার আশেপাশে দর্শনীয় স্থান নিয়ে আজকে বিডি নিউজ ওয়াল এর আজকের বিস্তারিত আয়োজন থাকছে । বরাবরের মত আজকে আমরা ঢাকার আশে পাশে কম সময়ে ভ্রমণের জন্য সম্পূর্ণ একটি গাইড লাইন নিয়ে হাজির হয়েছি ।
আজকের দ্রুত গতির এবং চাহিদাপূর্ণ জীবনধারায়, আমাদের মধ্যে অনেক লোক নিজেদেরকে দৈনন্দিন জীবনের নিরলস তাড়াহুড়ো এবং ব্যস্ততার মধ্যে আটকা পড়ে থাকি।
আমরা আমাদের পরিবারের জন্য অক্লান্তভাবে চেষ্টা করে থাকি, আমাদের ব্যস্ত সময়সূচীর কারনে অনেক সময় আমরা বেড়ানোর জন্য সময় টুকু বের করতে পারি না ।
একটি সুগঠিত পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা চাইলে পরিবারের জন্য সাপ্তাহিক একটি ছুটি বের করতে পারি ।
প্রিয়জনের সাথে মূল্যবান মুহূর্ত গুলো কাটাতে আমরা ঢাকার আশেপাশের সুন্দর ভ্রমণ জায়গা গুলো খোঁজার চেষ্টা করতে পারি ।
ঢাকার আশেপাশে দেখার মত জায়গা গুলো ভ্রমণের জন্য এক দিনের ভ্রমণ প্রোগ্রাম হাতে নেয়া যায় । প্রিয়জনদের সাথে ঢাকার আশে পাশে মনোমুগ্ধকর স্থান দেখার জন্য আমরা ১০ টি স্থান নির্ধারণ করেছি ।
ঢাকার আশে পাশের এই সব মনোমুগ্ধকর স্থান দেখার জন্য নিচের লেখা গুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন ।
ব্যক্তিদের সুবিধাজনকভাবে তাদের পরিবার এবং প্রিয়জনদের সাথে মনোমুগ্ধকর স্থান এবং রিসর্ট পরিদর্শন করতে দেয়
এই ভ্রমণগুলি প্রিয়জনের সাথে পুনরায় সংযোগ করার এবং নির্মল এবং সুন্দর পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরি করার সুযোগ দেয়।
ঢাকার আশেপাশে দর্শনীয় স্থান কেন আপনার ভ্রমণের জন্য বেছে নিবেন ?
- মাত্র এক দিন ছুটি ।
- আপনার লং ভ্রমনে সমস্যা ।
- আশে পাশে দেখা হয় নাই ।
- অল্প খরচে ভ্রমণ করা যায় ।
- আপনি দূরে কোথাও যেতে পারছেন না ।
- প্রিয়জন কে এর বেশী সময় দিতে পারবে না ।
- এত সুন্দর যায়গা ঢাকার কাছে আগে দেখে নিতে হবে ।
- আপনার হাতে টাকা আছে কিন্তু ভ্রমণের সময় নেই ।
ঢাকার আশে পাশে দর্শনীয় স্থান গুলোর বর্ণনা
ঢাকার আশে পাশে দর্শনীয় স্থান গুলোর বর্ণনা পর্যায় ক্রমে সাজানো হয়েছে । এখানে নং গুলো দেয়া হয়েছে এগুলো শুধু পড়ার সুবিধার্থে দেয়া হয়েছে । সব গুলো ঘুরে ভ্রমণ পিপাসু যারা আছেন আপনারাই বলতে পারবেন কোন টা ভাল । এক এক জনের এক এক মত ।আমরা চেষ্টা করেছি আপনার ভ্রমণ কে সহজ করার জন্য । সুতারাং আর দেরি না করে শুরু করুন ঢাকার আশে পাশে দর্শনীয় স্থান গুলোর তালিকা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
০১) বালিয়াটি জমিদার বাড়ি ঢাকার আশেপাশে দর্শনীয় স্থান
ঢাকার আশে পাশে দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি ঘুরে আসার জন্য হতে পারে চমৎকার একটি যায়গা । ঢাকার খুব পাশে সাতটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার গৌরবের সাক্ষী হয়ে আছে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি । ঢাকা থেকে মাত্র ৩৫ কি মি দূরে অবস্থিত এই সুন্দর দর্শনীয় স্থান টি ।
ঢাকার আশে পাশে দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে আপনি এই যায়গাটি প্রথম পছন্দ হিসেবে রাখতে পারেন । এই সুন্দর দর্শনীয় স্থান টি দেখতে চাইলে এক দিনের প্রোগ্রামে অনায়াসে ঘুরে আসতে পারবেন ।
এই সুন্দর দর্শনীয় স্থান টি বাংলাদেশের উনিশ শতকে নির্মিত একটি অন্যতম প্রাসাদ। একে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বা বালিয়াটি প্রাসাদ নামেও ডাকা হয়।
মোট সাতটি সুন্দর দর্শনীয় স্থাপনা নিয়ে এই বালিয়াটি জমিদার বাড়িটি । এই জমিদার বাড়ির সবগুলো ভবন একসাথে নির্মাণ করা হয় নাই।এগুলো ধাপে ধাপে নির্মিত হয়েছে ।
এই জমিদার বাড়ির বিভিন্ন ভবন গুলো জমিদার পরিবারের উত্তরাধিকার দ্বারা একেক সময়ে তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্লকটি যাদুঘর। এই প্রাসাদটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত ও পরিচালিত।
জমিদার বাড়ির স্বতন্ত্র ইমারত প্রতিটি উত্তরাধিকারীর আভিজাত্যের প্রতীক।
বর্তমানে বাড়িটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং এই জমিদার বাড়ির একটি ভবনের মধ্যে একটি জাদুঘর স্থাপিত হয়েছে।
যাতায়ত ব্যবস্থাঃ Map
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি যেহেতু ঢাকার কাছে সাভার জেলার মানিকগঞ্জ থেকে মাত্র সাটুঁরিয়া উপজেলায় বালিয়াটি নামক গ্রামে অবস্থিত ।
এখানে ঢাকা থেকে যারা যাবেন তারা সুবিধা মত যে কোন যানবাহনে যেতে পারেন ।
যারা কম খরচে ঢাকা থেকে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি যেতে চান তারা ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে আরিচা বা মানিকগঞ্জগামী বাসে করে অনায়াসে যেতে পারেন।
পথে সাটুরিয়া বাস স্টপে নামতে হবে তারপর এখানে আপনি সিএনজি অথবা অন্য কোন স্থানীয় মাধ্যমে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি যেতে পারবেন ।
পরিদর্শনের সময়ঃ
গ্রীষ্ম কালঃ সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা । বিরতি দুপুর ১ টা থেকে ১.৩০ টা পর্যন্ত
শীতকালঃ সকাল সকাল ৬ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত । বিরতি দুপুর ১ টা থেকে ১.৩০ টা পর্যন্ত
বন্ধ : রবিবার পূর্ণ দিবস । সোমবার অর্ধ দিবস সহ সরকারি সব ছুটির দিন ।
খরচঃ গাবতলি থেকে বাসে ভাড়া ৭৫ থেকে ১০০ টাকা । আর সাটুরিয়ান থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা বালিয়াটি জমিদার বাড়ি পর্যন্ত । আর দুপুরের খাওয়া বাবদ আরও এক শত টাকারা মত যোগ করে । প্রবেশ টিকেট মাত্র ২০ টাকা । একজনের আসা যাওয় এবং খাওয়া খরচ বাবদ গাবতলি থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কম বেশী লাগতে পারে ।
০২) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুর
ঢাকার আশে পাশে দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে ঢাকার উত্তর পাশে একটি দর্শনীয় স্থান বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নে প্রায় ৩,৬৯০ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ঢাকার অদুরে এই দর্শনীয় স্থান টি ।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটি নানা রকম রোমাঞ্চ এ ভরপুর । এটি দক্ষিণ এশীয় মডেল হিসেবে থাইল্যান্ডের সাফারী ওয়ার্ল্ড এর সাথে মিল রেখে এর নকশা সাজানো হয়েছে।
এছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার বালি সাফারী পার্কের কতিপয় ধারণা সন্নিবেশিত করা হয়েছে। সাফারী পার্কে বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি ও অবাধ বিচরণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে ।
সাফারি পার্কে আসা দর্শক গন পর্যটকগণ পায়ে হেঁটে বা যানবাহনে এখানকার সব কিছু দেখার এবং চিত্তবিনোদনের সুযোগ গ্রহন করতে পারবেন।
বঙ্গ বন্ধু সাফারী পার্ক টি তে জীবজন্তুর চিড়িয়াখানার জীব জন্তুর মত আবদ্ধ অবস্থায় থাকে না । সাফারী পার্কে বন্যপ্রাণীসমূহ খোলা অবস্থায় বিচরণ করে ।
এখানে যারা দেখতে আসবে তারা সতর্কতার সহিত সাফারী পার্কের বন্যপ্রাণী উন্মুক্ত অবস্থায় বনজঙ্গলে বিচরণ দেখতে পারবেন ।
প্রাকৃতিক পরিবেশে বন্য প্রাণীদের চলাফেরা দেখতে দেশের দূর দূরান্ত থেকে লোকজন এসে থাকে ।
ঢাকার আশে পাশে ঘুরার জন্য এই যায়গা টি খুব চমৎকার । এই খানে অনেক বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর দেখা পাবেন ।
ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে যেতে ম্যাপ
যাতায়ত ব্যবস্থাঃ Map
গাজীপুরের বাঘের বাজার থেকে রিকশা বা অটোরিকশা ভাড়া করে সহজেই বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে যাওয়া যায়।
পরিদর্শনের সময় : সকাল ১০:০০- বিকাল ০৫:০০
বন্ধ : সাপ্তাহিক ছুটি মঙ্গলবার বন্ধ থাকে । অন্য ৬ দিন খোলা থাকে ।
খরচঃ
গাজীপুর পর্যন্ত যে কোন মাধ্যমে যেতে হবে । ঢাকা থেকে বাসে যে কোন জায়গা থেকে ভাড়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকার মত কম বেশী হতে পারে । গাজী পুরের বাঘের বাজার থেকে রিকসা ভাড়া ২০ টাকা মাত্র । প্রবেশ টিকেট ১৫০ টাকা জনপ্রতি । আগে ছিল ৫০ টাকা মাত্র । জন প্রতি ঢাকা থেকে আসা যাওয়া এবং দুপুরের খাবার মিলে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে হতে পারে ।
০৩) পানাম নগর, নারায়নগঞ্জ ঢাকার আশেপাশে দর্শনীয় স্থান
ঢাকার আশে পাশে দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে আপনি যদি প্রাচীন কোন মায়াজালে হারিয়ে যেতে চান তবে পানাম সিটি বা পানাম নগর আপনার জন্য হতে পারে সেরা দর্শনীয় স্থান ।
পুরনো ইমারত গুলোর সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আপনার কখন যে সময় ফুরিয়ে যাবে সেটা একদমই টের পাবেন না ।
আপনি যদি পুরো পরিবার নিয়ে অথবা আপনার প্রিয়জনকে নিয়ে একদিনের জন্য ঢাকার আশে পাশে থেকে ঘুরে আসতে চান তাহলে পানাম নগরী হতে পারে আপনার জন্য এক নম্বর চয়েজ ।
ঈসা খাঁ কতৃক নির্মিত প্রায় ২০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এই পানাম নগর গড়ে উঠে । পৃথিবীর ১০০ টি ধ্বংস প্রায় ঐতিহাসিক শহরের তালিকার একটি পানামনগর।
পানাম নগরের কাছেই মেঘনা নদী। নদীর ওপাশে গেলেই দেখবেন কাশফুলে ঘেরা বিস্তৃত মাঠ । চাইলে একবার সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।
যাতায়ত ব্যবস্থাঃ map
হারানো নগরী হিসাবে খ্যাত পানাম নগর বা পানাম সিটি ঢাকার খুব কাছে প্রায় ২৭কি.মি দক্ষিণ-পূর্বে নারায়নগঞ্জ এর সোনারগাঁতে অবস্থিত ।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে দোয়েল, স্বদেশ কিংবা বোরাকের বাসে করে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা নেমে ১০ থেকে ১৫ মিনিটে ব্যাটারী চালিত অটোতে কিংবা রিকশায় করে পানাম নগরীতে যেতে পারবেন।
পরিদর্শনের সময়ঃ
সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত
বন্ধ :
পানাম নগর বন্ধ থাকে না। তবে জাদুঘর সপ্তাহের রবিবার বন্ধ থাকে ।
খরচঃ
পানাম নগরে ঢুকতে ১৫ টাকা । যাদুঘরে ঢুকতে ৩০ টাকা লাগবে । ঢাকা থেকে আসা যাওয়া ও খাওয়া খরচ সহ এক জনের আনুমানিক ২৫০ তেকে ৫০০ টাকা কম বেশী খরচ হতে পারে ।
০৪) ড্রিম হলিডে পার্ক, নরসিংদী
ঢাকার আশে পাশে দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে দেখার ও উপভোগ করার মত একটি জায়গা হল এই ড্রিম হলিডে পার্ক ।
আপনি পরিবারর পরিজন নিয়ে এইখানে এক দিনের মধ্যে ঘুরে আসতে পারেন । এইখানের নিরাপত্তা অনেক ভাল মানের ।
নরসিংদী জেলার পাঁচদোনার চৈতাবাতে প্রায় ৬০ একর জমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে ড্রিম হলিডে পার্ক।
পার্কটিতে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় রাইড ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ইমু পাখি, মায়াবি স্পট, কৃত্রিম অভয়্যারণ্য, ডুপ্লেক্স কটেজ এবং কৃত্রিম পর্বত যা এখানে আগত দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে।
এছাড়াও এই পার্কে রয়েছে ওয়াটার পুল যেখানে কান পাতলে সমুদ্রের গর্জন অনুভব করা যায়।
যাতায়ত ব্যবস্থাঃ Map
ঢাকা টু সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত পার্কটিতে আসতে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া অথবা সিলেটের যেকোনো বাসে চড়ে সরাসরি পার্কের সামনে নামতে পারবেন।
গুলিস্তান থেকে ড্রিম হলিডে পার্কে যেতে বাসের ভাড়া জন প্রতি ১৩০ থেকে ১৫০ টাকার কম বেশী হবে । ঢাকা থেকে যেতে সময় লাগবে প্রায় ১ থেকে ১.৩০ মিনিট এর মত ।
প্রাপ্তবয়স্কদের প্রবেশ টিকিটের মূল্য: জনপ্রতি ৩২০ টাকা
অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রবেশ টিকিটের মূল্য: ২২০ টাকা
ফ্যামিলি প্যাকেজ: ৪৫০০ টাকা (৪ জন)।
কাপল প্যাকেজের মূল্য: ২,৫০০ টাকা (স্বামী-স্ত্রী)
প্রতিটি রাইটের জন্য ফি: ৫৫ থেকে ৩২০ টাকা জনপ্রতি।
বন্ধঃ কোন বন্ধ নেই । ড্রিম হলিডে পার্কে কোন সাপ্তাহিক ছুটি বা বন্ধ নেই । বছরে ৩৬৫ দিন ই খোলা থাকে । সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ।
আরও জানতে
ঢাকার দর্শনীয় স্থান । ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান ।
০৫) মৈনট ঘাট, দোহার (Moinot Ghat Dohar )
ঢাকার আশে পাশে দর্শনীয় স্থান এর মদ্ধে অল্প সময়ের মধ্যে মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাট থেকে খুব সহজেই ঘুরে আসতে পারেন ।
ঢাকার অদূরে দোহার উপজেলায় অবস্থিত এই জায়গা আপনাকে সাগরের কথা মনে করিয়ে দেবে। মৈনট ঘাট কে মিনি কক্সবাজার নামে ডাকা হয়ে থাকে ।
মৈনট ঘাট সূর্যাস্তের সুন্দর দৃশ্য আপনার ভাল লাগবে । ঘাটের সাথে বিশাল চর সমুদ্রের বেলাভূমির স্বাদ নিতে পারেন ।
ঢাকার খুব কাছে হওয়ায় এই জায়গাটা ভ্রমণ প্রিয় মানুষের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ।
এছাড়াও পদ্মার ইলিশ কিংবা নৌকায় ঘুরার ইচ্ছা থাকলে ঘুরতে পারবেন । দোহারের মৈনট ঘাট কাটিয়ে যেতে পারেন একটি সুন্দর বিকাল।
যাতায়ত ব্যবস্থাঃ Map
খরচঃ গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের সামনে থেকে বাসে করে দোহারের মৈনট ঘাট কাটিয়ে যেতে পারেন একটি সুন্দর বিকাল। বাস ভাড়া ৯০ থেকে ১০০ টাকা ।
বন্ধঃ কোন বন্ধ নাই ।
০৬) জিন্দা পার্ক, নারায়নগঞ্জ ( Zinda Park )
ঢাকার আশেপাশে দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে খুব কম সময়ে ও কম খরচে ঘুরে আসার জন্য যেতে পারেন পূর্বাচল হাইওয়ের কাছেই নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত জিন্দা পার্ক থেকে। ঢাকা থেকে দুরত্ব মাত্র ৩৭ কিলোমিটার ।
এই যায়গা টা মুলত একটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাঁত । জিন্দা পার্ক টিকে একটি আদর্শ গ্রাম হিসেবে দেখা হয় ।
পিকনিক অথবা ডে আউট করতে চাইলে এই খানে চলে আসতে পারেন । নিরিবিলি পরিবেশ বিন্দু পরিমান ঝামেলা নেই । সম্পূর্ণ নিরাপদ একটি যায়গা ।
খাওয়া দাওয়ার জন্য পার্কের ভিতরেই রেস্টুরেন্ট আছে । এছাড়া, রাতে থাকার জন্যেও আছে গেস্ট হাউজ ।
যাতায়াত ম্যাপঃ
জিন্দা পার্কে যাবার সুন্দর মাদ্ধম হল কুড়িল বিশ্বরোড ৩০০ ফুট থেকে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে যেতে মোট খরচ পরবে জন প্রতি ৬০ টাকার মত কম বেশী । ঢাকা থেকে চাইলে আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে যেতে পারবেন ।
বন্ধঃ সাধারণত সাত দিন খোলা থাকে । বন্ধ থাকলে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জানান হয় ।
খরচঃ
প্রবেশ টিকেট জনপ্রতি ১০০ টাকা । বাচ্চাদের ৫০ টাকা । পার্কের ভিতরে খাবার খেতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মত লাগবে । খাবার সম্পূর্ণ দেশীয় কোন ভেজাল নেই । আপনি চাইলে বাহির থেকেও খাবার নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন ।
০৭) বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্ট ( Bongobondhu Setu Resort )
ঢাকার আশেপাশে দর্শনীয় স্থান বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্ট এর আগে নাম ছিল যমুনা রিসোর্ট । টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার মাঝে যমুনা সেতুর কাছেই অবস্থিত ।
পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা ছাড়াও ভিতরে রয়েছে সুইমিং পুল, খেলাধুলার ব্যবস্থা, জিম ও অন্যান্য সুবিধা ।
। এছাড়া, বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানেওরিসোর্টটি বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজের সুবিধা দিয়ে থাকে । পিকনিক, গেটটুগেদার, ডিজে পার্টি থেকে শুরু করে নানা ধরনের আয়োজন করা হয়ে থাকে ।
যাতায়াত ম্যাপঃ
ঢাকার গাবতলি অথবা মহাখালি বাস স্ট্যান্ড থেকে যে কোন বাসে যাওয়া যায় ।
বন্ধঃ কোন বন্ধ নাই । 01715-852997
খরচ: খরচ পড়বে জনপ্রতি ৪০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা । এখানে নানা ধরনের প্যাকেজ আছে ।
০৮) শালবন বৌদ্ধ বিহার, কুমিল্লা ( Shalbon Buddha Bihar )
ঢাকার আশেপাশে দর্শনীয় স্থান শালবন বৌদ্ধ বিহার, কুমিল্লা । ঢাকা থেকে বাসে করে শালবন বৌদ্ধ বিহার যেতে মাত্র আড়াই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগে।
ঢাকার পাশে অবস্থিত হবার কারনে অল্প সময়েই পরিবার বা প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন । এক দিনের ট্যুরে আপনি এই সুন্দর প্রাচীন সভ্যটার অন্যতম নিদর্শন নিজের চোখে ঘুরে দেখে আসতে পারেন ।
বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থান থেকে ঘুরে আসতে পারেন। শালবন বিহার ছাড়াও এখানে রয়েছে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, ময়নামতি প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর, লালমাই পাহাড় এবং ব্লু-ওয়াটার পার্ক (পিকনিক স্পট)। আর সুযোগ থাকলে মাতৃভান্ডারের বিখ্যাত রসমালাই খেয়ে আসতে পারেন।
যাতায়াত ম্যাপ
বন্ধঃ সপ্তাহে প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে । এবং সরকারি ছুটির দিন বন্ধ থাকে । সোমবার অর্ধ দিবস খোলা থাকে ।
খরচঃ সাধারনের জন্য টিকেট ২০ টাকা । দশম শ্রেণী পর্যন্ত স্টুডেন্ট দের প্রবেশ টিকেট মাত্র ৫ টাকা ।
০৯) পদ্মা রিসোর্ট, মুন্সিগঞ্জ ( Padma Resort )
ঢাকার আশেপাশে দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে পদ্মা রিসোর্ট হতে পারে আপনার ভ্রমণের একটি সুন্দর জায়গা । ঢাকা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে এই পদ্মা রিসোর্ট টির অবস্থান ।
মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলায় পদ্মা নদীর পাশে নয়নাভিরাম লোকেশনে গড়ে তোলা হয়েছে পদ্মা রিসোর্ট।
যারা শহরের কোলাহাল ও যান্ত্রিক জীবনের গণ্ডী থেকে মাঝে মাঝে রিলাক্স পেতে চান
তাদের জন্য ঢাকার পাশে এই রিসোর্ট টি হতে পারে একটি আদর্শ নিরিবিলি এবং সিকিউরড জায়গা ।
শহরের কোলাহল ছেড়ে ঢাকার পাশে পদ্মার পাড়ে একটি দিন কাটানো আপনার মনকে প্রশান্তি এনে দেবে। পদ্মার বুকে নৌকায় ঘুরোঘুরি ছাড়াও চাইলে ফিশিং করে কাটিয়ে দিতে পারেন একটি বিকাল।
মোট ১৬ টি কটেজ আছে। ১২ টি কটেজ রয়েছে যেগুলো বাংলা ১২ মাসের নামের সাথে মিল রেখে রাখা হয়েছে ।
যাতায়াত ম্যাপ
গুলিস্থান থেকে বাসে চড়ে মাওয়া ফেরী ঘাট থেকে লৌহজং চৌরাস্তা মোড় দিয়ে রিক্সা বা অটোরিক্সা নিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ মিনিটে পৌঁছে যেতে পারবেন পদ্মা রিসোর্টে যাবার জন্য লৌহজং থানার সামনে মসজিদের ঘাটে । এই ঘাট থেকে ট্রলারে করে যেতে হবে পদ্মা রিসোর্টে । ট্রলার বা স্পীড বোট ভাড়া ৫০ টাকা কম বেশী হতে পারে ।
বন্ধ: আগে থেকে বুকিং করে নিশ্চিত হতে পারলে ভাল । খালি থাকা সাপেক্ষে আপনি স্পটে গিয়ে চাইলে ভাড়া নিতে পারেন ।
পদ্মা রিসোর্ট, মুন্সিগঞ্জ
01712170330
খরচঃ
সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত কটেজ ভাড়া নিতে ২৩০০ টাকা লাগবে আর সকাল ১০ টা থেকে পরদিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত ভাড়া দিতে হবে ৩৪৫০ টাকা । খাবার খরচ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মত আলাদা হিসেব করতে হবে ।
মালদ্বীপ ভ্রমণ গাইড । পর্যটনের স্বর্গভূমি মালদ্বীপ । Maldives Heaven on Earth
১০) নুহাশ পল্লী, গাজীপুর ( Nuhash Polli Gazipur )
ঢাকার আশেপাশে দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে নুহাশ পল্লী কে আপনি অনায়াসে বেছে নিতে পারেন ।
এক সময়ের গল্পের জাদুকার কথা সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাঁত হুমায়ুন আহমেদ এর নিজের হাতের স্পর্শে গড়া এই পল্লী বাগান বাড়ি । এখানে যেতে পারেন আপনার প্রিয়জন, পরিবার সবাইকে নিয়ে ।
এক দিনের মধ্যে ঘুরে আসতে পারেন নুহাশ পল্লী থেকে । হুমায়ুন আহমেদ তার কল্পনার সমস্ত কিছুই এখানে বাস্তবে রুপ দিয়ে গেছেন।
এখানে আছে বৃষ্টি বিলাস, ভুত বিলাস নামের বাড়ি, ট্রি হাউজ, বিভিন্ন ভাস্কর্য্য, প্রায় ৩০০ প্রজাতির বিভিন্ন গাছের বাগান। পদ্ম পুকুর, মৎস্য কন্যা, প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের অনুকীর্তি দেখতে পাবেন ।
আর নুহাশ পল্লীর লিচু তলায় তার সমাধিস্থল দেখে আসতে পারেন ।ঢাকার আশে পাশে ভ্রমণের জন্য এই যায়গাটি আপনার পছন্দের তালিকায় যে কোন নাম্বারে রাখতে পারেন ।
ঢাকা হতে বাসে করে প্রথমে গাজীপুরের হোতাপাড়া নামক বাস স্ট্যান্ড নামতে হবে । এখানে নেমে রিকশা বা সিএনজি তে নুহাশ পল্লী অনায়াসে যাওয়া যায় ।
যাতায়াতঃ Map
গাজীপুর জেলার চৌরাস্তা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে এক হোতাপাড়া বাজারের পিরুজালী নামক গ্রামে এই নুহাশ পল্লী অবস্থিত ।
খরচঃ
ঢাকা থেকে বাস ভাড়া গুলিস্তান অথবা মহাখালি থেকে গাজীপুর হোতা পাড়া বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত ৮০ থেকে ১০০ টাকার কম বেশী হতে পারে ।
হোতা পাড়া থীক নুহাশ পল্লী রিকশা বা সি এন জি জন প্রতি ভাড়া পরবে ৮০ টাকার মত ।
নুহাশ পল্লীতে প্রবেশ টিকেট জন প্রতি ২০০ টাকা টিকেট । ১২ বছরের নিচে বয়স তাদের টিকেট লাগে না ।
বন্ধঃ
সপ্তাহের ৭ দিন খোলা থাকে । এপ্রিল থেকে মারছ মাস পর্যন্ত সকল দর্শনার্থী দের জন্য খোলা থাকে । বাকি সময় শুধু পিকনিকের জন্য ভাড়া দেয়া হয় ।
ঢাকার আশেপাশে দর্শনীয় স্থান দেখতে ভিজিট করুন
প্রশ্ন উত্তর পর্ব ঢাকার আশে পাশে দর্শনীয় স্থান
ঢাকার আশেপাশে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়?
ঢাকার দর্শনীয় স্থান গুলো কি কি?
বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা কোনটি?
কোথায় যাওয়া যায়?
ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান
ঢাকার ভিতরে দর্শনীয় স্থান
ঢাকার বাইরে একদিনের ট্যুর
ঢাকার আশেপাশে নদীর পাড়
ঢাকার আশেপাশে পার্ক,
মিরপুরে ঘোরার জায়গা
মোহাম্মদপুর ঘোরার জায়গা
পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান
বিডি নিউজ ওয়াল আপডেট পেতে
- বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং যেকোনো প্রশ্ন করুতেঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বিডি নিউজ ওয়াল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বিডি নিউজ ওয়াল সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বিডি নিউজ ওয়াল সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- বিডি নিউজ ওয়াল এর সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন এই সাইট।