আইন বলতে কিছু নিয়ম, বিধান বা প্রবিধানকে বোঝায় যা ব্যক্তি, সংস্থা এবং সরকারের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে । এই নিয়মগুলি রাষ্ট্র বা অন্যান্য অনুমোদিত সংস্থা দ্বারা প্রয়োগ করা হয় এবং আইনের এই নিয়মগুলি লঙ্ঘনের ফলে জরিমানা বা শাস্তি দেয়া হতে পারে ।আজ আমাদের লেখায় থাকছে আইন কাকে বলে ও এর বিস্তারিত।
সাধারণত আইনের উদ্দেশ্য হল সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা । ব্যক্তি অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং বিরোধ ও দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য একটি কাঠামো প্রদান করা।
আইন অনেক বিষয়ে যেমনঃ ফৌজদারি আইন, দেওয়ানী আইন, বাণিজ্যিক আইন, সাংবিধানিক আইন এবং আন্তর্জাতিক আইন সহ বিস্তৃত ক্ষেত্রকে কভার করে।

আইন শব্দটির উৎপত্তি কি ভাবে? Origin of the word law?
“আইন” শব্দের উৎপত্তি প্রাচীন ইংরেজি ভাষা হতে। এই শব্দটি প্রাচীন ইংরেজি ভাষার “lagu” বা “loeg” থেকে উৎপন্ন হয়েছে, যা একটি কমিউনিটির নির্ধারিত নীতি বা রীতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
“লাগু” শব্দটি পুরোপুরি ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি নয়, এর আগের উৎপত্তি সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে জানা নেই। তবে, এই শব্দটি বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে পাওয়া যায়, এমনকি প্রাচীন সংস্কৃতিতেও একই ধরনের শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়েছে।
সমস্ত সংস্কৃতিতে আইন বিভিন্ন রীতিতে রয়েছে, যা স্থানীয় সম্প্রদায়ের নীতিমালা হিসেবে পরিচয় হতে পারে।একইভাবে, আধুনিক বাংলা ভাষার আইন শব্দটির উৎপত্তি ইংরেজি ভাষার লাগু শব্দ থেকে হয়েছে।
আবার কোন কোন ক্ষেত্রে থেকে জানা যায় যে,‘আইন’ হলো একটি ফারসি বা পারসিয়ান শব্দ । ‘আইন’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো- সরকারি বিধি, বিধান, কানুন, নিয়মাবলি যা দেশের সমস্ত মানুষ মেনে চলে বা মানতে বাধ্য।
সাধারণ আইন কি? Common Law.
সাধারণ আইন হল এমন একটি আইনি ব্যবস্থা যেখানে বিচারিক সিদ্ধান্ত এবং মামলার আইন হল আইনের একটি প্রাথমিক উৎস । লিখিত আইন বা ধারা গুলোর উপর ভিত্তি করে যে আইন হয়ে থাকে এটা তার বিপরীত।
সাধারণ আইন ব্যবস্থা ইংল্যান্ডে চালু এবং নজির নীতির উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে । এই আইনে একই ধরনের মামলায় সব আদালত উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করতে বাধ্য।
এটি মামলা আইনের একটি বডি তৈরি করে যা ক্রমাগত বিকশিত হয় এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অভিযোজিত হয়।
সাধারণ আইন প্রায়ই দেওয়ানী আইন ব্যবস্থার সাথে বিপরীত হয় । সাধারণ আইন ব্যবস্থায়, বিচারকদের আইনের ব্যাখ্যা করার এবং প্রতিটি মামলার নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও বিচক্ষণ হতে হয়।
এটি আইনি ব্যবস্থায় আরও নমনীয়তা এবং অভিযোজন যোগ্যতার দিকে নিয়ে যেতে পারে, তবে এর ফলে ধারাবাহিকতা এবং পূর্বাভাসের অভাবও হতে পারে।

সাধারণ আইন এবং দেওয়ানী আইনের মধ্যে পার্থক্য
সাধারণ আইন এবং দেওয়ানী আইন দুটি বিভিন্ন ধরণের আইন সিস্টেম । সাধারণ আইন একটি আইনের সিস্টেম যা আইন সংশোধন এবং বর্ণনা করে।
সাধারণ আইনের উদ্দেশ্য হল সকল মৌলিক আইনগুলি প্রতিষ্ঠা করা এবং বিভিন্ন বিষয়গুলি বিবেচনায় নেওয়া।
দেওয়ানী আইন একটি বিশেষ ধরণের আইন যা আইনগণ এবং বিচারকের দ্বারা সৃষ্টি করা হয়। এটি বিভিন্ন ধরণের মামলার জন্য কাজ করে । বিচারকের কাছে মামলার সমাধানের জন্য সমর্থন প্রদান করে।
দেওয়ানী আইন একটি অত্যন্ত পরিষেবামূলক আইন যা সমাধানের জন্য মামলার বিশ্লেষণ এবং বিচারকের সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
আইনের সংজ্ঞা সারসংক্ষেপ । Summary of Law Definitions
আইনের সংজ্ঞা ও আইন বিশ্লেষণ করলে বলা যেতে পারে, আইন হলো মানুষের একটি ব্যাবহারিক আচরণ এবং নিয়ন্ত্রণ বিষয়ের একটি সংবিধিবদ্ধ নিয়ম কানুন যা রাষ্ট্র ও সমাজ দ্বারা গৃহীত, সমর্থিত হয়ে থাকে ।
একটি দেশের জনগণের সুবিধার জন্য আইন দরকার। আইন ভঙ্গ করলে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে বল প্রয়োগ ও শাস্তি প্রদান করে আইন মেনে চলতে বাধ্য করে থাকে ।
আইন প্রয়োগ কি ভাবে করা হয় ? How is the law enforced?
আইন প্রয়োগ করা হয় এর প্রয়োজনীয় সমস্ত ধারা ও বিধিমালা অনুসরণ করে। এটি স্থানীয়, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
আইন প্রয়োগের প্রথম ধাপ হলো আইনগুলো তৈরি করা। এটি স্থানীয় পরিষদ, বিধায়ক সভা, বা সরকার দ্বারা করা হতে পারে।
এরপর আইনগুলো কানুন হিসেবে সমর্থন পেলে সরকার বা অন্য কোন বৈধ ক্ষমতাধিকারী সংস্থা তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়। এই পদক্ষেপ এর মাধ্যমে আইন সম্পূর্ণ প্রয়োজনীয় ভাবে প্রয়োগ করা হয়।
বাংলাদেশে সাধারণভাবে, আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা হয় বিভিন্ন আইনি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে, যার মধ্যে রয়েছে সংসদ, আইনসভা, আদালত এবং প্রশাসনিক সংস্থা। আইনের ব্যাখ্যা এবং প্রয়োগ জটিল হতে পারে এবং এতে আইনি নীতি, নজির এবং আইনি যুক্তি জড়িত থাকতে পারে।

আইনের বৈশিষ্ট্যসমূহ কি কি ?What are the characteristics of law?
আইনের বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো নিম্নলিখিত জিনিসগুলোঃ
১. সর্বজনীনতা: সকল মানুষ আইনের অধীন থাকে এবং এর বিরুদ্ধে কোন কাজ না করে এর বিধান অনুসারে চলতে হয়।
২. ন্যায্যতা: সকল আইনের উদ্দেশ্য হলো ন্যায্যতা বজায় রাখা। এটি সমস্ত মানুষকে সমান অধিকার এবং সমান সুযোগ দেয়।
৩. নিরপেক্ষতা: সকল আইন নিরপেক্ষতার উপর নির্ভর করে এবং সমস্ত মানুষকে সমান ন্যায্যতা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়।
৪. স্বাধীনতা: সকল মানুষকে আইনের অধীন থাকার স্বাধীনতা দেওয়া হয়। এটি মানুষকে নিজেদের জীবন ও মতামত স্বাধীনতা বজায় রাখে।
৫. অবলম্বনশীলতা: সকল আইন সমস্ত মানুষকে সমানভাবে অবলম্বনশীল করে। এটি সমস্ত মানুষকে একই স্তরের ন্যায্য সমানভাবে অবলম্বনশীল করে এবং কার্যকরী করে। এটি মানুষের অধিকারকে সংরক্ষণ করে এবং এর পালন করার জন্য আইন প্রণীত হয়।
আইন ভঙ্গ করলে কি হয়? What happens if you break the law?
আইন হচ্ছে একটি বৃহত্তম ক্ষেত্র যা মানুষের আচার-আচরণ ও ক্রিয়াকলাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে তবে সে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে এবং শাস্তিও পেতে পারে।
একটি সমাজে যদি আইন বিতর্ক করে তবে সেই সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে আইনের পালন বৃদ্ধি করা দরকার।
সকল ব্যক্তি আইন মেনে চলতে বাধ্য হওয়া উচিত এবং এর পালন করা হলে সমাজে নিয়মিততা ও শান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
আইন একটি নিয়ম বা শাস্ত্র যা সমাজ ও সংস্থাগুলির পরিচালনা করে এবং মানুষের বিভিন্ন অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে।
আইন প্রকৃতির নির্দেশনা মেনে চলে। আইন নিশ্চিত একটি প্রণীত পদক্ষেপ যা স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহার করা যায় না। এটি সমাজের সমগ্র উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আইনের উৎসসমূহ
আইনের উৎসসমূহ বলতে বুঝানো হয় সেসব উৎসগুলো, যেখান থেকে আইনের ধারা বা কাঠামো সহ বিস্তারিত গঠন হয় । আইনের উৎসসমূহ নিম্নলিখিত হতে পারে:
- সংবিধান: একটি দেশের সর্বোচ্চ আইনগ্রন্থ হল সংবিধান। এটি একটি বিশেষ আইন হিসাবে বিবেচিত হয় এবং একটি দেশের সমস্ত আইনের উৎস হিসাবে গণ্য করা হয়।
- আইনগ্রন্থ: আইনগ্রন্থ বিভিন্ন আইনের নির্দেশনা এবং পরিপ্রেক্ষিত সংগ্রহ করা বই। এটি বিভিন্ন স্থান এবং ধর্মগুলিতে রচিত হতে পারে।
- নীতি ও শৃঙ্খলা: একটি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নীতি ও শৃঙ্খলা হল সেটির কর্মকাণ্ড এবং কাজকর্ম পরিচালিত করার জন্য নির্ধারিত নীতিমালা এবং বিধি বিধান।
- স্থানীয় নিয়ম: স্থানীয় সরকার এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রণীত হওয়া আইন বা নিয়ম ।
- সম্প্রদায়গত ব্যবস্থা: এটি একটি পুরাতন উৎস যেখানে সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়গুলি তাদের ব্যবস্থার উদ্দেশ্যে আইন প্রণীত করেছে। এই সম্প্রদায়গত আইনগুলি সামাজিক ও ধর্মীয় মানদণ্ড বা শৃঙ্খলা উল্লেখ করে।
- আধুনিক আইনসমূহ: এই উৎসসমূহ আধুনিক সময়ে আইন প্রণীত করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক এবং সুপ্রিম আদালতের সিদ্ধান্ত ও সাপেক্ষ আইন উল্লেখযোগ্য। এটি সাধারণত সমাজের নীতিমালা এবং আইনগুলির ব্যবহারের উন্নয়নের জন্য প্রণীত হয়।
- আন্তর্জাতিক আইন: এটি আন্তর্জাতিক মঞ্চ যেখানে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সমন্বয় ও সমঝোতা করা হয়। এর উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন আইন ও নীতিমালার মধ্যে সমন্বয় ও সমঝো
আইন বিভিন্ন উৎস আছে । অধ্যাপক হল্যান্ড এর মত অনুসারে আইনের উৎস ৬ টি ।
আইনের এই উৎস সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা গেল :
১. প্রথা বা রীতিনীতিঃ
আইন প্রাচীন সমস্ত সমাজের প্রথা ও রীতিনীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। সাধারণত একটি সমাজের প্রচলিত প্রথার উপর সর্বাধিক ভিত্তি করে আইন তৈরি করা হয়। এছাড়াও ধর্ম, নৈতিকতা, বিজ্ঞান, বিচারপদ্ধতি এবং রাষ্ট্রীয় স্থাপত্য ইত্যাদি আইনের উৎস হিসেবে দেখা হয়।
আইনের উদ্দেশ্য সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণের দিকে দৃষ্টি নিয়ে প্রয়োজনীয় নিয়ম ও নীতি সংজ্ঞায়িত করা। আইন একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবে সমাজ এবং রাষ্ট্র সংরক্ষণ করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে। আইন না থাকলে সমাজ ও রাষ্ট্র বিপর্যস্ত এবং আনর্কি হতে পারে।
২. ধর্মঃ
সত্যিকার ভাবে বলা যায় যে ধর্ম আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। বিভিন্ন ধর্মের অনুশাসন ও মর্যাদা সহকারে সমাজ জীবন পরিচালিত হয় এবং সমাজের একটি স্থিতিশীল বিকাশের উপকারিতা হয়।
অনেক আইন বা নীতি ধর্মের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয় যাতে সমাজ জীবনে স্থিতিশীলতা ও সম্প্রসারণ বিকাশের লক্ষ্য থাকে। মুসলিম, খ্রিষ্টীয় ও হিন্দু ধর্মের সমস্ত অনুশাসন সামাজিক ও রাজনৈতিক অবদান রাখে ।
৩. বিচারকের রায়ঃ
বিচারকদের কর্তব্য হলো নিষ্পত্তি গ্রহণ করা নিয়ে আইনের সম্পর্কে নির্ণয় নেওয়া। সেই নির্ণয় গ্রহণের জন্য তারা নতুন নতুন সূত্র তৈরি করতে পারেন বা প্রচলিত সূত্রের ব্যাখ্যা করতে পারেন।
এছাড়াও, কখনও কখনও তারা সুপ্রিম কোর্ট এবং আইনগণ সমিতিতে অংশগ্রহণ করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে থাকেন। সেই সিদ্ধান্ত আইনের নতুন নতুন সূত্র হিসাবে অবদান করতে পারে।
৪. ন্যায়বিচারঃ
সময় এর পরিবর্তনের নতুন সমস্যার সমাধানের জন্য নতুন আইনের প্রয়োজন পড়তে পারে। বিচারকগণ এই সমস্যার সমাধানের জন্য নিজেদের বিচারবুদ্ধি ব্যবহার করে নতুন আইন সৃষ্টি করতে পারেন। এটি ন্যায়বিচারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং নতুন আইনের মাধ্যমে সমাজে ন্যায় ও বিকাশ বজায় রাখা হয়।
৫. বিজ্ঞানসম্মত আলোচনাঃ
সম্প্রতি আইনের বিভিন্ন বিষয়কে সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞদের মতামত ও পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আইনজ্ঞদের বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা এবং ব্যাখ্যা বিচারালয়কর্তৃক গৃহীত হলে নিশ্চিত হয় যে ন্যায্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান ও নতুন আইন সৃষ্টি হতে পারে। আইনজ্ঞদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ একত্রে আসলে নতুন আইনের উৎপত্তি ও আইনের সঠিক ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
৬. আইনসভাঃ
আইনসভা হচ্ছে এমন একটি সংস্থা যা স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে আইনের উন্নয়ন এবং পরিবর্তনে অবদান রাখে। এটি আইন প্রণয়ন করার জন্য জনমতের সাথে সংগতি রেখে নতুন নতুন আইন তৈরি করে থাকে এবং আইনের রদবদল ও সংশোধন করে থাকে।
সমস্ত দেশেই আইনসভা রয়েছে, একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক পরিষদ হিসেবে বিভিন্ন নাম ও কার্যক্রমে অভিজ্ঞতা লাভ করে থাকে।
এই ছয়টি উৎস ছাড়াও কেউ কেউ জনমতকে আইনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অপেনহেম বলেন, ‘জনমত আইনের অন্যতম উৎস’। জনমতের প্রভাবে সরকার অনেক আইন তৈরি করে।
Read Also
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম । স্মার্ট কার্ড সহ নতুন নিয়ম অনুসারে আপডেট জানুন

Read Also
অনলাইনে মামলা দেখার নিয়ম . থানার মামলা দেখার উপায়
উপসংহারঃ
আইন সমাজের বিভিন্ন পার্থক্যমূলক প্রতিষ্ঠানকে একত্রিত করে থাকে ।একটি নির্দিষ্ট বিধি-বিধানের সৃষ্টি করে। এটি সামাজিক পরিবর্তনের প্রবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং সমাজের সাধারণ মানদণ্ডকে নির্ধারণ করে।
আইনের বৈশিষ্ট্যগুলো বিধিবদ্ধ নিয়মাবলি, রাষ্ট্রীয় অনুমোদন, সার্বজনীন ও শাস্তিযোগ্য হয়ে থাকে। আইন অনেক সমস্যার সমাধান করে থাকে ।আইন সমাজের অবিচ্ছিন্ন অংশ এবং বিনা আইনে সমাজকে নির্দিষ্টভাবে পরিচালিত করা অসম্ভব।
প্রশ্ন ও উত্তর পর্ব
প্রশ্নঃ আইন এর জনক কে?
উত্তরঃ হুগো গ্রোশিয়াস
প্রশ্নঃ সাধারণ আইন কি?
উত্তরঃ সাধারণ আইন হল অলিখিত আইন ।
প্রশ্নঃ আইনের প্রধান উৎস গুলো কি কি?
উওরঃ উপরে দেয়া আছে ।একটু দেখে নিতে পারেন ।