পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় ।  ঘরোয়া উপায়ে পাইলস থেকে কি ভাবে মুক্তি পাবেন ? 

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় । ঘরোয়া উপায়ে পাইলস থেকে কি ভাবে মুক্তি পাবেন ? 

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় নিয়ে আজকে আমাদের মূল আলোচনা । এই পর্যায়ে লেখাটি দিয়েছেন ডঃ সালমা বেগম । তিনি আমাদের বিডি নিউজ ওয়াল এর স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়মিত লেখা লেখি করে থাকেন । পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় এবং এই ধরনের আরও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত লেখা পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন বিডি নিউজ ওয়াল ডট কম । 

পায়ুপথের স্বাস্থ্যসমস্যা গুলোর মধ্য পাইলস অন্যতম একটি সাধারণ সমস্যা। প্রায় বেশিরভাগ মানুষই পাইলস এর সমস্যায় ভোগেন। পাইলস রোগ থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় খুজে থাকে এমন লোকের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। 

আঁশজাতীয় খাবার কম খাওয়া ও সঠিক জীবনযাপনে অনিয়ম করার কারণেই প্রধানত এই রোগ হয়।চলুন পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় এবং এর চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আরেকটু বিশদভাবে জেনে নেই।

পাইলস সচরাচর অর্শ্বরোগ বা হেমোরেয়ড নামেও পরিচিত। মলদ্বারের ভিতরে ও বাইরের শিরা ফুলে যাওয়া, মলদ্বারে চুলকানি এবং মলদ্বার থেকে রক্তপাত হওয়া সাধারণভাবে পাইলসের লক্ষণ ধরা হয়।

এগুলো একদিকে যেমন বেদনাদায়ক তেমনি অস্বস্তিকরও। বাড়িতে চিকিৎসার মাধ্যমেও পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যায়, তবে তীব্রতার উপর ভিত্তি করে কখনও কখনও চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োজন হয়। বেশি ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া পাইলস প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় Piles
পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় Piles

পাইলসের একটি সাধারণচিত্র 

পাইলস, গেজ, এনাল ফিসার এসব মলদ্বারের রোগ । পাইলস এর সাধারন এক চিত্রে দেখা যায় আনুমানিক গড়ে ২০ জনের মধ্যে ১ জন মানুষের পাইলস এর সমস্যা রয়েছে। পাইলস সব বয়স, লিঙ্গ, এবং জাতি সত্তার মানুষকে প্রভাবিত করে। এই রোগ টি যে কোন বয়সে হতে পারে । এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, এই পাইলস রোগ টি  ৫০ বছর বা তার ও  বেশি বয়সী লোকেরও হতে পারে।

পাইলস হওয়ার অন্যতম কারণ গুলোঃ 

পাইলস সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে হয়ে থাকে । অনেক সময় তীব্র পায়খানার বেগ থাকে কিন্তু তা ত্যাগ করা খুব কষ্ট দায়ক । আপনি যখন টয়লেট করতে যান তখন কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে আপনার মলদ্বারে চাপ পড়ে।এই চাপ আপনার মলদ্বারের রক্তনালীগুলির এক ধরনের উপর চাপ সৃষ্টি করে, ফলে সেগুলি ফুলে যায়। এক পর্যায়ে এগুলো নানা রকম জটিলতার মাধ্যমে পাইলস এর রূপ ধারন করে ।

পাইলস, যা  হেমোরয়েড নামেও পরিচিত ।পাইলস হলে মলদ্বার এবং মলদ্বারের রক্তনালীগুলি ফুলে যায় এবং স্ফীত হয়, যার ফলে অস্বস্তি, ব্যথা এবং কখনও কখনও রক্তপাত হয়। 

এই লেখায় , আমরা পাইলসের শীর্ষ ১০ টি কারণের সন্ধান করেছি, যে কারণগুলি এই অবস্থার জন্য দায়ী তার উপর আলোকপাত করব। 

এই কারণগুলি বোঝার মাধ্যমে, আপনি পাইলস প্রতিরোধ করতে সক্রিয় ব্যবস্থা নিতে পারেন।

স্থূলতা বা মেয়াদ যুক্ত শরীর এর কারনে পাইলস হতে পারে: অতিরিক্ত ওজন হেমোরয়েডাল টিস্যুতে চাপ দিতে পারে।এর কারনে পাইলস হতে পারে ।

বয়স এর কারনে পাইলস হতে পারে: বয়স বৃদ্ধি পাবার সাথে মানুষের মলদ্বারের টিস্যু অনেক সময় দুর্বল হয়ে যেতে পারে, আর এই কারনেও এই রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে।

গর্ভাবস্থায় পাইলস হতে পারে: ভ্রূণ বেড়ে ওঠার সাথে সাথে পেটে চাপ পড়ে, মলদ্বার এবং মলদ্বারের শিরাগুলি বড় হয়ে যেতে পারে। সমস্যাটি সাধারণত জন্মের পরে চলে যায়।

ডায়রিয়ার কারনে পাইলস হতে পারেঃ অনেক সময় ডায়রিয়ার হলে পাইলস হতে পারে ।

টয়লেটে দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারনে পাইলস হতে পারেঃ অনেকের বদভ্যাস থাকে টয়লেটে দীর্ঘ সময় বসে থাকার । এর ফলে পায়ুপথে অতিরিক্ত চাপ পরে এবং  এর কারনে পাইলস হতে পারে ।

নিয়মিত ভারী বস্তু উত্তোলনের কারনে পাইলস হতে পারেঃ অনেক সময় দেখা যায় যারা ভারী বস্তু উত্তোলনের কাজ দীর্ঘ মেয়াদে করতে থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে ।

দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য এর কারনে পাইলস হতে পারেঃ যাদের দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য এদের পাইলস হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী ।

মলত্যাগের স্ট্রেইন এর কারনে পাইলস হতে পারেঃ মলত্যাগকে প্রভাবিত করে এমন রোগ মলদ্বার এ বাঁধা তৈরি করে ।মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত স্ট্রেইন মলদ্বার এর হেমোরয়েডগুলির উপর চাপ পরে এবং এর কারনে এই রোগ হতে পারে ।

কম ফাইবার যুক্ত খাবার না খাওয়ার কারনে পাইলস হতে পারেঃ কম ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে অনেক সময় এই রোগ হয় ।

বেশি সময় বসে থাকলে পাইলস হতে পারেঃ অনেক সময় কাজের ধরন এর জন্য বেশী সময় বসে থাকতে হয় । এর জন্য এই রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে ।

পুষ্টিকর খাবার খাওয়ায় ঘাটতিঃ দেহে প্রয়োজনের তুলনায় পুষ্টিকর খাবার  এর ঘাটতি থাকলেও পাইলস রোগ হতে পারে । 

অলস জীবন যাপন এর কারনে পাইলস হতে পারেঃ যারা কায়িক শ্রম করে না । তাদের অনেক সময় এই রোগ হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় ।

পাইলস রোগের চিকিত্সা বাড়িতে বসে

পাইলস রোগের চিকিত্সা বাড়িতে বসে ?

হেমোরয়েড বা পাইলস রোগ প্রায়শই চিকিত্সা ছাড়াই নিজেরাই চলে যায়। ব্যথা এবং রক্তপাতের মতো উপসর্গগুলি এক সপ্তাহ বা সামান্য বেশি স্থায়ী হতে পারে। ইতিমধ্যে, আপনি লক্ষণগুলি কমাতে এই পদক্ষেপগুলি নিতে পারেন:

  • ডায়েট এবং সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে ফাইবার গ্রহণ বাড়ান। প্রতিদিন কমপক্ষে 20 থেকে 35 গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।
  • দিনে ১০ থেকে ২০ মিনিটের জন্য একটি উষ্ণ স্নানে (সিটজ বাথ) মলদ্বার ভিজিয়ে রাখুন।
  • এমন কিছু সেবন করতে হবে যা মল নরম করে।যেমনঃ ইসবগুল, বেল ইত্যাদি ।
  • ব্যথা এবং প্রদাহের উপশমের জন্য নন স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি মেডিসিন  (NSAIDs) নিন।
  • লোশন বা ফ্লাশেবল ভেজা ওয়াইপ সহ টয়লেট পেপার ব্যবহার করুন আলতো করে প্যাট করুন এবং পুপ করার পরে আপনার নীচে পরিষ্কার করুন। 

পাইলস আক্রান্ত রোগীর কখন ডাক্তার দেখানো উচিত?

পাইলস অনেক সময় কোনো রকম চিকিৎসা ছাড়াই চলে যায়। মলত্যাগের সময় যদি আপনি নিয়মিত ভাবে রক্ত ​​​যেতে দেখেন এবং এটার ভাল হবার কোন লক্ষন দেখতে না পান এবং আপনার পাইলস এর অন্যান্য লক্ষণগুলি আরও গুরুতর কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ডাক্তারের দ্বারা পরীক্ষা করানো একান্ত প্রয়োজন । পাইলসের লক্ষণগুলি অনেক সময় অন্ত্রের ক্যান্সারের সাথে খুব মিল দেখা যায়।

আপনি যদি পাইলস সন্দেহ যুক্ত নিম্ন লিখিত অস্বাভাবিক কোনো লক্ষণ লক্ষ্য করে থাকেন, তবে অবশ্যই আপনার ডাক্তারকে বলতে দ্বিধা করবেন না ।

পাইলস বা আপনার হেমোরয়েড এর সন্দেহ হলে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে দেখান উচিত:

  • পেটে ব্যথা হলে।
  • দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া হলে।
  • জ্বর এবং সর্দি না সারলে।
  • বমি বমি ভাব এবং বমি.
  • গুরুতর মলদ্বার রক্তপাত এবং ব্যথা।
  • আপনার মলে রক্ত ​​বা শ্লেষ্মা যায় কি না?
  • আপনার অন্ত্রের অভ্যাস বা নড়াচড়ার পরিবর্তন হচ্ছে কি  না ?
  • আপনার মলের রঙের পরিবর্তন হয়ে গেছে কি না ?
  • সম্প্রতি ওজন হ্রাস হয়েছে কি না ?
  • মলদ্বারে দীর্ঘমেয়াদী ব্যাথা অনুভব করেন কি না ? 
পাইলসের ধরন ও প্রকার ভেদ
পাইলসের ধরন ও প্রকার ভেদ

পাইলসের ধরন ও প্রকার ভেদ ।

পাইলস নিয়ে অনেকেই দ্বিধা দন্দে ভুগতে থাকেন । আসলেই পাইলস হয়েছে কি না ? তবে আপনি সহজেই পাইলস রোগে আক্রান্ত কি না তা শনাক্ত করতে পারেন।মলত্যাগের সময়  টয়লেটে লাল রক্ত ​​দেখতে পাইলে পাইলস হবার সম্ভাবনা থাকে তবে এটা প্রাইমারী ধারনা ।  

মলত্যাগের সময়  টয়লেটে লাল রক্ত দেখতে পেলেই যে পাইলস এ আক্রান্ত হয়েছেন এটা ডাক্তারি পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া  এছাড়াও আপনার মলদ্বারের চারপাশে সামান্য থেকে গুরুতর চুলকানি, অস্বস্তি বা মাঝে মাঝে  ব্যথাও হতে পারে। কোন কোন সময় মলদ্বারের শিরা ফুলে যেতে পারে । এবং গোটা অনুভব হতে পারে ।

পাইলস আক্রান্ত রোগীর মধ্যে কারো কারো আবার কোনো লক্ষণই প্রকাশ পায় না। আবার কারো জন্য পাইলস বেশ কষ্টদায়ক। পাইলস মলদ্বারের ভিতরে বা বাইরে হতে পারে। এর ধরনের উপর নির্ভর করে মলদ্বারের শিরা ফোলা বিকশিত হয়। 

পাইলস বিভিন্ন ধরনের হতে পাড়ে প্রকারভেদ হল:

বাহ্যিক বা বাহিরের অংশেঃ  এই অবস্থায় আপনার মলদ্বারের চারপাশে ত্বকের নীচে থাকা শিরা ফুলতে শুরু করে। বাহ্যিক পাইলস চুলকানি এবং বেদনাদায়ক হতে পারে। মাঝে মাঝে রক্তপাতও হয়। কখনও কখনও ক্ষতস্থানে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। এতে ভয় পাবার কিছু নেই ।এটি তেমন বিপজ্জনক নয়।

অভ্যন্তরীণ: অভ্যন্তরীণ পাইলসে মলদ্বারের ভিতরের শিরা ফোলা শুরু হয়। আপনার মলদ্বার হল পাচনতন্ত্রের অংশ যা কোলন (বৃহৎ অন্ত্র) মলদ্বারের সাথে সংযুক্ত করে। অভ্যন্তরীণ পাইলসে রক্তপাত হতে পারে, তবে সেগুলি সাধারণত বেদনাদায়ক হয় না।

প্রল্যাপ্সড: অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উভয় পাইলসেই প্রল্যাপস করতে পারে। যার অর্থ মলদ্বারের বাইরে প্রসারিত এবং ফুলে যায়।এই পাইলসে ভিতরে রক্ত ​​জমাট বাঁধতে পারে এবং পিণ্ডগুলি খুব বেদনাদায়ক হতে পারে। বহিরাগত অর্শ মলদ্বারের বাইরে একটি পিণ্ড হিসাবে দেখা দেয়। ফলে থ্রম্বোজড পাইলস দেখা দেয় যখন মলদ্বারের উপরিস্থিত ত্বকে রক্ত ​​জমাট বাঁধে; এমনকি গুরুতর ব্যথা হতে পারে।

পাইলসের সাধারণ লক্ষন সমূহ

পাইলসের সাধারণ লক্ষন সমূহ

আপনি যদি প্রথমে পাইলসের লক্ষণ কি তা জেনে নিন, তাহলে সহজেই পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় পেয়ে যাবেন। সাধারনত পাইলস খুব বেশি ব্যথা বা সমস্যার সৃষ্টি করে না। অভ্যন্তরীণ পাইলসে খুব কমই ব্যথা সৃষ্টি করে (এবং সাধারণত অনুভূত হয় না) যদি না তারা প্রল্যাপস হয়।  পাইলসে আক্রান্ত রোগী অনেকসময় জানে না যে তাদের পাইলস আছে ; কারণ কোনো সাধারন লক্ষণ নেই।

পাইলসের সাধারণ লক্ষণগুলি এখানে দেয়া হল:

  • মলদ্বার বা পায়ুপথের কোন অংশ বিশেষ ফুলে যাওয়া।
  • মলদ্বার বা পায়ুপথে অনেক বেদনা হতে পারে ।
  • মলত্যাগে সমস্যা হতে পারে।
  • মলত্যাগ বা অন্য যে কোন সময় মলদ্বার থেকে রক্ত বের হতে পারে। 
  • পায়খানার রাস্তায় বিরক্তিকর চুলকান ।
  • মলদ্বারের চারপাশে একটি শক্ত দানা দানা অনুভব করা।

মলদ্বার বা অন্ত্রের রোগ যা রক্তপাতের কারণ হতে পারে:

  • কোলন ক্যান্সার ।
  • ক্রোনের রোগ ।
  • আলসারেটিভ কোলাইটিস ।

পাইলস রোগ নির্ণয় এবং পরীক্ষা

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় এর জন্য প্রথমে উচিত হবে সঠিক ভাবে ডাক্তারের কাছে গিয়ে পাইলস রোগ নির্ণয় করা।

রেকটাল পরীক্ষা: আপনার পাইলস আছে কিনা তা জানার জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তার একটি গ্লাভস, মলম জাতীয় জিনিস আবৃত আঙুল মলদ্বারে প্রবেশ করিয়ে চেক করে থাকেন । এতে তিনি বুঝতে পারেন কোন সমস্যা আছে কি না?।

অ্যানোস্কোপি: এই যন্ত্র ব্যবহার করে সহজেই আপনার পাইলস আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়।

সিগমোডোস্কপি টেস্ট বা পরীক্ষা: এই যন্ত্র টি ব্যবহার করে কোলন এবং মলদ্বারের নীচের অংশের ভিতরে দেখে রোগ নির্ণয় করা হয়।

উপরের পরীক্ষাগুলি আপনার করা একান্ত দরকার। এগুলি সাধারণত ডাক্তার পরিক্ষা করে থাকেন । এর জন্য হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হয় না।

পাইলস রোগের জটিলতা

পাইলস একটি জটিল রোগ । এই রোগ অনেক রোগীর জন্য যন্ত্রণার কারণ হয়ে থাকে । এটি মাঝে মাঝে খুব অস্বস্তিকর এবং যন্ত্রণা দায়ক হয়ে থাকে । আবার কিছু কিছু রোগীর তেমন কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না । পাইলস রোগ কখনো অবহেলা করা উচিৎ না ।

পাইলস রোগের জটিলতা হিসেবে নীচের কারণ গুলো হতে পারেঃ –

  • রক্তশূন্যতা ।
  • বাহ্যিক অর্শ্বরোগে রক্ত ​​জমাট বাঁধা ।
  • সংক্রমণ।
  • স্কিন ট্যাগ
পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়ঃ
পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়ঃ

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়ঃ

পাইলস তেমন কোনো শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে না বলে বেশিরভাগ সময়ই এর চিকিৎসা ঘরোয়া ভাবে করা যেতে পারে। পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় হিসেবে ঘরোয়া প্রতিকার বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।

আপনি যদি পাইলস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে নিচে দেয়া ঘরোয়া প্রতিকার গুলো চেষ্টা করে দেখতে পারেন । এগুলো আপনাকে অনেক আরাম দিবে ।

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় করার পদ্ধতি: ঘরোয়া প্রতিকার যারা নিতে চান তারা দেখতে পারেন।

১) উইচ হ্যাজেল

উইচ হ্যাজেল একটি জাদুকরী প্রাকৃতিক উদ্ভিদ । এটি শরীরের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যাবহার করা হয় । উইচ হ্যাজেল শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে । এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে যা ব্যাপক প্রদাহ প্রতিরোধ করে । জাদুকরী হ্যাজেলএটি প্রায়ই অর্শ্বরোগ দ্বারা সৃষ্ট অস্বস্তি এবং ব্যথা উপশম করার জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। উইচ হ্যাজেল লিকুইড সরাসরি পাইলস নিরাময়ে প্রয়োগ করা হয়।বর্তমানে উইচ হ্যাজেলযুক্ত নানা রকম প্রতিষেধক পাওয়া যায় ।

২) ঘৃতকুমারী

আলোভেরা জেল একটি অপরিহার্য ঔষধি এবং থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে পাইলসের চিকিত্সায় এটি যুগ যুগে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আলোভেরা জেলের শক্তিশালী এন্টি-ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি ফোলাভাব এবং জ্বালা কমাতে পারে।

পাইলস নিরাময়ে বিশেষত বাহ্যিক পাইলসে ত্বকের উপরিভাগে জেলটি প্রয়োগ করুন এবং ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। আন্তরিক পাইলস নিরাময়ের জন্য আপনি সকালে খালি পেটে আলোভেরা রস পান করতে পারেন যা হজমের উন্নতি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

৩) ইপসম সল্ট দিয়ে হট বাথ

উষ্ণ স্নান স্ফীত পাইলস প্রশমিত করতে ভাল কাজ করতে পারে। আপনি মলত্যাগের পরে ১৫-২০ মিনিটের একটি স্টিম বাথে জন্য উষ্ণ স্নান করতে পারেন যা পাইলসের ব্যথা কমাতে সবচেয়ে কার্যকর। পানিতে পরিমাণ মত ইপসম লবণ যোগ করে একই পাত্রে রেখে তার উপর বসে থাকেন তবে পায়ুপথের পেশী তে এটা কাজ করবে এবং আরাম বোধ করবেন।

৪. ক্যাস্টর অয়েল

ক্যাস্টর অয়েলের শক্তিশালী নিরাময় বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রভাব। এই প্রাকৃতিক তেলটি পাইলসের আকার কমাতে এবং সংশ্লিষ্ট অস্বস্তি দূর করার একটি অসাধারণ ক্ষমতা প্রদর্শন করে। পাইলস স্থায়ীভাবে দূর করার জন্য, একটি প্রস্তাবিত প্রয়োগে 3 মিলি ক্যাস্টর অয়েল দুধের সাথে একত্রিত করা এবং প্রতি সন্ধ্যায় আক্রান্ত স্থানে মিশ্রণটি প্রয়োগ করা প্রয়োজন।

৫. চা গাছের তেল

চা গাছের তেল, যাকে মেলালেউকা তেলও বলা হয়, এটি একটি অসাধারণ প্রাকৃতিক প্রতিকার যা ত্বকের সমস্যা সমাধানে এবং চুলকানি দূর করার জন্য এর কার্যকারিতার জন্য বিখ্যাত। এর শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি নিশ্চিত করে যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ক্ষতিকারক অণুজীব থেকে মুক্ত থাকে। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য, চা গাছের তেলের মিশ্রণটি প্রভাবিত এলাকায় প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়, এটি প্রায় 10 মিনিটের জন্য বসতে দেয় এবং এই প্রক্রিয়াটি দিনে তিনবার পুনরাবৃত্তি করে।

৬. লেবুর রস

লেবুর রস, যা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পাইলসের চিকিৎসায় অসাধারণ কার্যকারিতা প্রদর্শন করে। এটি রক্তনালীগুলির স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং মলদ্বারে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, এটি পাইলস নির্মূলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর করে তোলে। অতএব, এই অবস্থার উপশম করতে চাওয়া ব্যক্তিদের জন্য, তাদের ডায়েটে লেবুর রস অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অত্যন্ত সুপারিশ করা হয়

৭. আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সাইডার ভিনেগার পাইলস দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। তুলোর সাহায্যে আপনার ব্যথাযুক্ত স্থানে আপেল সিডার ভিনেগার লাগিয়ে আপনি সহজেই আপনার ব্যথা, চুলকানি উপশম করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে খেলে অভ্যন্তরীণ পাইলস নিরাময় করতে পারেন।

০৮) ইসবগুল এর ভুসি খাওয়াঃ

পাইলস থেকে চির তরে মুক্তির উপায় হিসেবে ইসবগুল এর ভুসি নিয়ম অনুযায়ী খেতে পারেন ।

এছাড়াও আরও অনেক আছে যা আপনি একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে করতে পারেন ।  কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায়  মলকে প্রাধান্য দিতে হবে । মল নরম হতে  সাহায্য করতে পারে, এবং ব্যথাহীন মলত্যাগকে সহজ করে তুলতে হবে। 

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় ও পাইলসের চিকিৎসা
পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় ও পাইলসের চিকিৎসা

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় ও পাইলসের চিকিৎসা

পাইলসের লক্ষণগুলি আরও খারাপ হলে বা আপনার দৈনন্দিন জীবন বা ঘুমে হস্তক্ষেপ করলে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে দেখা উচিত। বাড়িতে চিকিৎসার এক সপ্তাহ পরেও যদি লক্ষণগুলির উন্নতি না হয় তবে চিকিৎসকের সাহায্য নিন। 

পাইলস এর  চিকিৎসা আপনাকে প্রদানকারী পাইলসের চিকিৎসা গুলো হতে পারে-

রাবার ব্যান্ড লাইগেশন: পাইলসের গোড়ার চারপাশে রাখা একটি ছোট রাবার ব্যান্ড যা শিরায় রক্ত ​​সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

ইলেক্ট্রোকোয়াগুলেশন: এই ধরনের চিকিৎসা একটি বৈদ্যুতিক প্রবাহ দ্বারা পাইলসে রক্ত ​​​​প্রবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়।

ইনফ্রারেড জমাট: এটি একটি যন্ত্র দ্বারা মলদ্বারে পাইলস থেকে নিরাময়  পেতে তাপ এর মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে ।

স্ক্লেরোথেরাপি:  পাইলস আক্রান্ত ফুলে থাকা শিরায় এক ধরনের  ইনজেকশন দেওয়া হয় । এর মাধ্যমে পাইলস এর টিস্যু ধ্বংস করে এর চিকিৎসা করা হয় ।

হেমোরয়েডেক্টমি:  সার্জারির মাধ্যমে বাহ্যিক পাইলস বা অভ্যন্তরীণ পাইলস অপসারণ করা হয় ।

হেমোরয়েড স্ট্যাপলিং: এটি একটি স্ট্যাপলিং যন্ত্র  এর মাধ্যমে একটি অভ্যন্তরীণ পাইলস অপসারণ করে। আবার কখনো এটি একটি  অভ্যন্তরীণ পাইলসকে মলদ্বারের ভিতরে টেনে ধরে রাখে।

পাইলস এবং গর্ভাবস্থায় করনীয় 

গর্ভাবস্থায়  মহিলাদের পাইলস বা অর্শ্বরোগ হবার সম্ভাবনা থাকে । এই সময়ে পেটের বাচ্চার কারনে  জরায়ু মলদ্বার এবং মলদ্বারের কাছে শিরাগুলির উপর চাপ পরে। 

গর্ভাবস্থায় হরমোন প্রোজেস্টেরনের বর্ধিত মাত্রাও পাইলস বিকাশে কাজ করে । প্রোজেস্টেরন হরমোন শিরাগুলির দেয়ালকে শিথিল করে দেয় এবং এর ফলে তাদের ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

কেউ কেউ প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার সময় পাইলসে ভোগেন। কিন্তু যদি আপনার আগে পাইলস হয়ে থাকে, আপনার গর্ভাধারণকালীন সময়ে আবার পাইলস হওয়ার সম্ভাবনাও আরও বেশি থাকে।

পাইলস সাধারণত গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য বা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয়। সাধারণত শিশু জন্ম হওয়ার পরে পাইলসের লক্ষণ নিজে থেকেই চলে যায়। 

ঘরোয়া উপকরন ও সাধারন যত্ন এর মাধ্যমে গর্ভধারণকালীন সময়ের পাইলসের উপসর্গগুলি উপশম করা যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় কোন চিকিৎসা নিরাপদ বা কোনটি নয় তা নিশ্চিত করতে  হবে এবং এর জন্য প্রথমে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ  ডাক্তারের সাথে এই বিষয়ে পরামর্শ করতে হবে ।

Read Also

ব্যায়ামের সঠিক সময় জেনে নিন

পাইলস থেকে মুক্তির উপায় ও পাইলস নিয়ে প্রচলিত ধারণা

পাইলস নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের ধারনা রয়েছে। তার মধ্যে বেশ সাধারণ একটি পাইলস অপারেশন করলেও আবার হবার সম্ভাবনা আছে। মূলত এর পেছনের কারন সবাই জানে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া মুশকিল। 

প্রধানত মানুষের মলদ্বারের তিন ধরনের পাইলস থাকে। যখন আপনার মলদ্বার শিরার উপর চাপ পড়ে তা ফুলে যায়, রক্তক্ষরণ হয় এবং অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করে, তখন মূলত রোগের সৃষ্টি হয়।

আপনার একটি পাইলস নিচে নেমে এই সমস্যার সৃষ্টি করে। দেখা গেছে একবার অপারেশন বা সার্জারি করে হয়তো নিরাময় করা হয়েছে। 

কিন্তু পরবর্তীতে আপনার অন্য দুইটি পাইলস যে সমস্যার সৃষ্টি করবে না তার তো কোনো নিশ্চয়তা নাই। তবে লেজার পদ্ধতিতে একসময়ে আপনার মলদ্বারের একাধিক পাইলস নিরাময় সম্ভব।

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি
পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়ঃ প্রতিরোধ করার উপায় সমূহ 

বয়স বাড়ার সাথে সাথে হেমোরয়েড হওয়া সাধারণ। এই পদক্ষেপগুলি শক্ত মল এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে যা হেমোরয়েড হতে পারে:

কিছু কিছু অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে ।

১) পায়খানায় বসার অভ্যাস পরিবর্তনঃ টয়লেটে বেশিক্ষণ বসবেন না বা খুব জোরে চাপ দেবেন না। 

০২) মলত্যাগ এর নিয়ম মেনে চলতে হবেঃ মলত্যাগে প্রচণ্ড বেগ হলে টয়লেটে যেতে  হবে এবং মলত্যাগে দেরি করা যাবে না।

০৩)  নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবেঃ জীবন ধারা পরিবর্তন এর জন্য ব্যায়াম বা কায়িক শ্রম একটি গুরুত্ব অধ্যায় । নিয়মিত ব্যায়াম এর মাধ্যমে শরীরের অনেক রোগ ভাল রাখা যায় । 

০৪) খাবার এর ধরণ পরিবর্তন করতে হবেঃ যে সমস্ত খাবার এ কোস্ট কাঠিন্য হয় সেগুলো বাদ দিতে হবে । যেমন গরুর মাংস ।

৫) টয়লেট করার নিয়ম পরিবর্তন করতে হবেঃ বেশিক্ষণ বসবেন না বা খুব জোরে চাপ দেবেন না।

০৬) পানি পানের অভ্যাস করতে হবেঃ পরিমান মত সারাদিন পানি পান করতে হবে ।

০৭) বেশি বেশি আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবেঃ তাজা ফল, শাকসবজি এবং শস্য বা পরিপূরক গ্রহণ করুন। সাধারনত, মহিলাদের জন্য নির্ধারিত ফাইবার প্রতিদিন ২৫ গ্রাম ফাইবার খাওয়া উচিত, পুরুষদের ৩৫ গ্রাম ফাইবার খাওয়া উচিত।

০৮) শারীর কে সক্রিয় রাখতে হবেঃ  চলাফেরায় থাকা অন্ত্রকে সচল রাখে তাই শরীর কে সক্রিয় রাখতে প্রয়োজনীয় সব কিছু করতে হবে ।

আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পরামর্শ অনুযায়ী জোলাপ নিন বা এনিমা ব্যবহার করুন। আবার অত্যধিক জোলাপ বা এনিমা আপনার শরীরের পক্ষে সমস্যা হতে পারে । অনেক সময় মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন করে তুলতে পারে।

পাইলস সম্পর্কে বিস্ততারিত জানতে নিচের ভিডিও টি দেখতে পারেন । আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন ।

সবশেষেঃ-  

প্রতি বছর এই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।পাইলস তেমন শারীরিক ভোগান্তি সৃষ্টি না করে না তবুও আপনার সতর্ক থাকা উচিত। যথাসম্ভব আপনার লক্ষণগুলি সম্পর্কে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে কথা বলতে খুব বেশি বিব্রত হওয়া  উচিত নয়।

পাইলস যদি ব্যথা বা অস্বস্তি সৃষ্টি করে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সহজেই তা উপশম করা যাবে। সুস্থ নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন ও সঠিক খাদ্যভাসই হচ্ছে আপনার পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়।

পায়ুপথে সাধারণত এনাল ফিসার, ফিস্টুলা, পাইলস বা হেমোরয়েড, ফোড়া, প্রোলাপস, রক্ত জমাট, পলিপ বা টিউমার ইত্যাদি রোগ হতে পারে। এর  অন্যতম একটি কারণ  কোষ্ঠকাঠিন্য। 

পাইলস  ও এই  বিষয়ে আগে থেকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। সময় মত চিকিৎসা না নিলে এ থেকে অনেক সময় ক্যানসার  এর মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যথাসময়ে পাইলস বা মলদ্বারের  চিকিৎসা ও সতর্ক থাকা একান্ত  জরুরি।

আরও জানতে পড়তে থাকুন

বিডি নিউজ ওয়াল থেকে

পাইলস সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তরঃ  

প্রশ্নঃ পাইলস সম্পর্কে  ডাক্তারকে কি ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা উচিত?

উঃ পাইলস সম্পর্কিত যত ধরনের প্রশ্ন আপনার মনে আসতে পারে সব ।

প্রশ্নঃ পাইলস কেন হয় ?

উঃ উপরের লেখাটি ভাল ভাবে পড়ুন এখানে উল্লেখ আছে ।

প্রশ্নঃ পাইলসের জন্য সেরা চিকিৎসা কি?

উঃ পাইলস এর ধরন দেখে অভিজ্ঞ ডাঃ নির্ণয় করে থাকেন ।

  • বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন এবং যেকোনো প্রশ্ন করুতেঃ এখানে ক্লিক করুন
  • বিডি নিউজ ওয়াল ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
  • বিডি নিউজ ওয়াল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
  • গুগল নিউজে বিডি নিউজ ওয়াল সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
  • বিডি নিউজ ওয়াল সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে
  • বিডি নিউজ ওয়াল এর সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন এই সাইট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *