ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার নিয়ে বিডি নিউজ ওয়ালের আজকের এই পোস্ট ।ক্যালসিয়াম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এমন একটি খনিজ যা মানব দেহের হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে।
আজকের লেখা হাড় এবং পেশীর জন্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার এর বিস্তারিত । ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার নিয়ে এত সুন্দর লেখা এর আগে কেউ লিখে নাই ।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানবদেহের জন্য দৈনিক প্রায় ৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয় । এই ক্যালসিয়াম বিভিন্ন খাবার থেকে আমরা পেয়ে থাকি।
কখনো কখনো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ওষুধ থেকে পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম মানব দেহের পাশাপাশি দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার Calcium Rich Foods
ক্যালসিয়ামের অভাবের ফলে মানবদেহে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যাগুলি আরও প্রকট হতে পারে যদি ক্যালসিয়ামের অভাব যথাসময়ে পূরণ না করা হয়।
তাই মানব দেহে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান যোগ করা হয়, এর জন্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য পরিমান মত গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও পেশী ধমনীর সংকোচন ও স্নায়ুতন্ত্রের বার্তা সরবরাহ করতে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করে।
হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন অঙ্গে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাড়ের কাঠামো ও পেশী গুলোকে সঠিকভাবে সচল রাখতে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা রয়েছে।
ক্যালসিয়াম আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ক্যালসিয়ামের মাত্রা সঠিক ভাবে ভাল স্তরে রাখতে হলে, আপনি দুগ্ধজাত খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য অনেক খাবার খেতে পারেন।
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার গুলো কি কি? What are calcium containing foods?
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার কি কি এবং এই খাবার খেলে শরীরে কি ধরনের উপকার হয়? এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সার্চ করে থাকেন তাদের জন্য আজকের এই লেখা ।
আজকের ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার নিয়ে আমাদের এই লেখাটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নিন।
ক্যালসিয়াম সাধারণত দেহের হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে থাকে । এবং আরও অনেক কাজ করে যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারি।
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেলে দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়।তবে আমাদের অনেকেরই অজানা রয়েছে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গুলো কি কি?
কোন কোন খাবার খেলে শরীর সঠিকভাবে ক্যালসিয়াম পাবে। এই সকল বিষয়গুলো আজকের লেখায় আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই শেষ পর্যন্ত আমাদের লেখাটি পড়তে আমাদের সাথে থাকুন।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার Foods rich in calcium
শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে দেহে হাড় ক্ষয়জনিত রোগ দেখা দিতে পারে। হাড় ক্ষয়ের কারণে উঠতে বসতে সমস্যা, হাঁটতে গেলে কষ্ট হয় এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
তাই ক্যালসিয়ামের অভাবে জটিল ধরনের রোগের আবির্ভাব ঘটার সম্ভাবনা থাকে।দেহের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের কোন বিকল্প নেই।
ক্যালসিয়ামের একটা উর্ধ্বসীমা রয়েছে যা খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ না করে সম্পর্কের মাধ্যমে বাড়তি ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আমাদের চারপাশে ক্যালসিয়াম যুক্ত অনেক ধরনের খাবার রয়েছে যা দেহের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
আয়রন যুক্ত খাবার Foods containing iron
আমাদের যত রকমের মিনারেল খাওয়া উচিত তাদের মধ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল হচ্ছে ক্যালসিয়াম।
তাই ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেয়ে দেহের ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখা উচিত এবং ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালসিয়ামের খাবারের পাশাপাশি ওষুধ সেবন করা শ্রেয়।
অনেক সময় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে ডায়েট ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গুলো কি কি
দৈনন্দিন আমরা অনেক খাবার খেয়ে থাকি জেনে না জেনে সেগুলো আমাদের জন্য উপকারী এবং অনেক সময় ক্ষতিরও কারণ।
দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে প্রতিদিন খাবার মেনুতে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার থাকা খুবই জরুরী। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের খাবারের দৈনিক ৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকা প্রয়োজন।
এইজন্য ডাক্তাররা সুষম জাতীয় খাদ্য খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারগুলোর মধ্য অন্যতম হচ্ছে;
দুধ Milk
ক্যালসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস হচ্ছে দুধ। দুধে ক্যালসিয়ামের সঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ল্যাকটোজ।
দুধে থাকা এই সমস্ত মিনারেলস গুলো শরীরে ক্যালসিয়াম সুসে নিতে সাহায্য করে।এক কাপ গরুর দুধে ২৭৬ থেকে ৩৫২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।
বাদাম Nuts
বাদাম ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসেরও উৎস। বাদামে হার শক্ত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে।
এছাড়াও বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আর কে মজমুদ রাখতে বাদাম একটি ভালো খাদ্য।
এক কাপ কাঠ বাদামে ২৪৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এর মত খনিজ রয়েছে।
ডাল Dal
বিভিন্ন প্রকারের ডালে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এক কাপ মুগ ডাল রান্নাতে ২৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যাবে।
কলা Banana
কলা ম্যাগনেসিয়াম এর একটি অন্যতম উৎস। ম্যাগনেসিয়াম হার এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। হাড় মজবুত এবং শক্তিশালী রাখতে প্রতিদিন কলা খাওয়া জরুরি।
টক দই Sour Yogurt
টক দই এমন একটি খাবার যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং অনেক জরুরী পুষ্টি সহ প্রোটিন। টক দই ডায়াবেটিস এবং হার্টের অসুখের জন্য খুবই উপকারী।
এছাড়াও ওজন কমাতে সাহায্য করে টক দই। দৈনিক যতটা ক্যালসিয়াম শরীরের দরকার এক কাপ প্লেন টকদইতে তার ২৩ শতাংশ পাওয়া যাবে।
এছাড়াও টক দইয়ে রয়েছে ভিটামিন বি২,বি১২, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস।
চিজ The cheese
চিজ যেহেতু দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় তাই এ থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
Parmesan cheese থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। প্রতি আউন্স চেজে রয়েছে ৩৩১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
মটর The Pea
মটর পাওয়া যাবে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম। পুষ্টিবিদ ক্যারিসা গ্যালওয়ে বলেন, এক কাপ ছোলার মটরে ২৪৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে।
পালং শাক Spinach
বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা দাঁত ও হাড়ের গঠনে সহায়তা করে।
এক কাপ সিদ্ধ পালং শাকে দৈনিক ক্যালসিয়ামের ২৫ শতাংশ পূরণ করে থাকে। এছাড়াও পালং শাকই রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এ এবং আয়রন যা শরীরের হাড় ভালো রাখার পাশাপাশি পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে।
শুকনো ফল Dry Fruit
বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফল, খেজুর, বাদাম এইসব ধরনের খাবারেও পাওয়া যাবে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা আপনার হারকে মজবুত করতে সাহায্য করবে।
কমলার রস Orange Juice
কমলার রসের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি যা একজন ব্যক্তির হারকে মজমুদ করার পাশাপাশি শরীরে ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে।
দৈনিক কমলালেবুর রস খেলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকিও হ্রাস পায়।
ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ Calcium Deficiency Symptoms
হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ক্যালসিয়ামের কোন বিকল্প নেই। ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে হাড় দুর্বল হয়ে যায়।
শুধু হার নয় শরীরের বিভিন্ন রোগ দূর করতে ক্যালসিয়াম খুবই উপকারী। যেমন রক্ত জমাট বাধা, পেশি সংকোচন প্রসারন ও হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখা। তবে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকলে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। নিম্মে ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত লক্ষণ গুলো আলোচনা করা হলো-
১) দুর্বল বোধ করা।
২) ক্লান্তি অনুভব করা।
৩) বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।
৪) মৃগী রোগ হতে পারে।
৫) নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে।
৬) ত্বকে অতিরিক্ত শুষ্কতা হতে পারে।
৭) আঙ্গুল হাত এবং পায়ে ঝিরঝির করতে পারে।
৮) অষ্টিঅপেনিয়া এবং অষ্টি ওপুরোসিস হতে পারে।
৯) দাঁত এবং এনামেলের হাই পলাশিয়া ভোতা ভাবে দাঁতের গোড়ায় বিকাশ এবং দেরি করে দাঁত উঠতে পারে।
১০) ক্ষুধা বাড়তে পারে।
১১) অস্বাভাবিক লেডিস স্পন্দন হতে পারে।
১২) পেশি ব্যথা হাওয়া।
ক্যালসিয়ামের অভাব হওয়ার মূল কারণগুলো
বিভিন্ন কারণে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরের অনেক ধরনের ক্ষতির সম্মুখ হতে হয়। চলুন জেনে নিন ক্যালসিয়ামের ঘাটতির মূল কারণ গুলো কি কি:-
- ক্যালসিয়ামের ঘাটটির মূল কারণ হলো যারা ডায়েট করে থাকেন তাদের ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম জাতীয় খাদ্য না থাকা।
- অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়ামের ফলে অনেক সময় ক্যালসিয়াম শুকিয়ে যায়।
- শরীরের যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও দেখা দেয়। কারণ ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণের প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে।
- অতিরিক্ত কোমল পানীয় পান করার ফলে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিতে পারে।
- শারীরিক দুর্বলতা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়ার অন্যতম কারণ।
- অতিরিক্ত মেদ, চিনিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া, প্রোটিন ডায়েট, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সৃষ্টি করে থাকে।
- সাধারণত নারীদের ঋতুর সময় বেশি ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়।
- মিহি শস্য দানায় ক্যালসিয়াম কম থাকে ।
- বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল, তামাক, অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে ক্যালসিয়ামের অভাব হতে পারে।
ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত চিকিৎসা
একজন চিকিৎসক প্রথমে ক্লিনিক্যালি বিভিন্ন উপস্থাপনা এবং রক্ষণাবলির উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
একজন ব্যক্তির ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত সমস্যার নির্ণয় করতে হলে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয় যার মধ্যে রয়েছে সীরাম ক্যালসিয়াম, প্যারাথাইরয়েড হরমোন, সিরাম ফসফেট, ম্যাগনেসিয়াম, ২৫ হাইড্রক্সি, ভিটামিন ডি এবং ১,২৫ ডাইহাইড্রোক্সি ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষা।
অনেক সময় দেখা যায় চিকিৎসকরা ক্যালসিয়াম সেন্সিং রিসেপ্টরের জি প্রোটিন সাব ইউনিট অ্যালফা ১১ র জেনেটিক মিউটেশনের পরীক্ষা করাতে বলেন।
ক্যালসিয়ামের চিকিৎসায় ডাক্তাররা সবসময় খাবারের প্রতি বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয় এছাড়াও অতিরিক্ত সমস্যা হয়ে গেলে ডাক্তাররা বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট এর মাধ্যমে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করার চেষ্টা করতে পারেন।
একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে ।
শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ নির্ণয়
একজন ব্যক্তির শরীরে কতটুকু ক্যালসিয়াম প্রয়োজন তা তার বয়স লিঙ্গের উপর নির্ভর করে। একজন সাধারণ ব্যক্তির ক্যালসিয়াম প্রস্তাবিত চাহিদা প্রতিদিন ঘরে প্রায় ১০০০ মিলিগ্রাম।
কিশোরী মনোপোজ পরবর্তী মহিলা এবং ৭০ বছর বেশি বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের এর চেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয়।
মানবদেহের ৯৯ পার্সেন্ট ক্যালসিয়াম শক্ত টিস্যু হিসেবে জমা হয় হাড় এবং দাঁতের আকার ধারণ করে থাকে। ক্যালসিয়ামের অভাব হাইপাক্যালসেমিয়া নামেও পরিচিত।
যথাসময়ে যদি ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ না হয় তাহলে দীর্ঘস্থায়ীভাবে হার পাতলা হয়ে যেতে পারে।
বাচ্চাদের মতো দুর্বল হার এবং হাড়ের ঘনত্ব অত্যধিক কমে যেতে পারে যা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
তাই ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করতে হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবে এবং অতিরিক্ত সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
প্রশ্ন ও উত্তর পর্ব
প্রশ্নঃ একজন ব্যক্তির দৈনিক কত গ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন?
উত্তর: একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক প্রায় ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম শরীরে প্রয়োজন হয়।
প্রশ্নঃ কতটুকু ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে?
উত্তর: একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক দুই হাজার মিলিগ্রামের বেশি ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলে শরীরে ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
প্রশ্নঃ কোন ভিটামিন শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সহায়তা করে?
উত্তর: ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম কে শোষণ করতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি গ্রহণ করার মাধ্যমে শরীরে ক্যালসিয়ামের কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব।
উপসংহার
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার এবং এর অভাবে কি সমস্যা হতে পারে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমাদের আজকের এই লেখায় যে সমস্ত বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়েছে সেগুলোর সম্পর্কে আপনারা যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে করতে পারেন ।বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ।
আরও লেখা পেতে এইখানে চাপুন
পোস্ট ট্যাগ-
ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল,ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়,আয়রন ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার,ক্যালসিয়াম ডি যুক্ত খাবার,গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার,ক্যালসিয়াম যুক্ত সবজি,ক্যালসিয়াম ঔষধ,ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ।